‘অপারেশন সিঁদুর’-এর লোগো ট্রেডমার্ক হিসাবে আবেদন আম্বানির

- আপডেট : ৮ মে ২০২৫, বৃহস্পতিবার
- / 149
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সবার মুখে মুখে এখন একটাই নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত জঙ্গি ঘাঁটিতে ভারতের প্রত্যাঘাত। আর সেই প্রত্যাঘাতের নাম ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই নাম রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সবার মনে। এবার সেই নামের লোগোকে ট্রেডমার্ক হিসাবে পেতে চাইলেন রিলায়েন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। নাইস শ্রেণি বিভাগের ৪১ নম্বর শ্রেণির অধীনে শিক্ষা ও বিনোদনমূলক পরিষেবার ক্ষেত্রে লোগোটি ব্যবহারের জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার গভীর রাতে ভারতীয় সেনা ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। ২৫ মিনিটের এই অভিযানে নিকেশ করা হয় ৯টি জঙ্গিঘাঁটি। আর বুধবারই অপারেশন সিঁদুরকে ওয়ার্ক মার্ক হিসাবে নথিভুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ। আম্বানি ছাড়াও আবেদন জানিয়েছেন মুকেশ চেত্রাম আগরওয়াল, অবসরপ্রাপ্ত গ্রুপ ক্যাপ্টেন কমল সিং ওবেরয় এবং অলোক কোঠারি।
সামরিক অভিযানের নাম কি ট্রেডমার্ক করা যেতে পারে? ভারতে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মতো সামরিক অভিযানের নামগুলি আইন দ্বারা সুরক্ষিত নয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই ধরনের নামগুলিকে ইন্টেলেকচুয়াল প্রপারটি নথিভুক্ত বা সংরক্ষণ করে না।যদি সরকার হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে নামগুলি ব্যক্তিগত কাজে ট্রেডমার্ক হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে ট্রেডমার্ক আইন, ১৯৯৯-এর অধীনে ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রির এই ধরনের নথিভুক্ত বাতিলও করতে পারে। প্রতারণামূলক বা বিভ্রান্তিকর (ধারা ৯(২)), জনসাধারণের অনুভূতিতে আঘাত বা জননীতির পরিপন্থী, জাতীয় প্রতিরক্ষার সঙ্গে মিথ্যা সংযোগ (ধারা ১১) এই সব ক্ষেত্রে সরকার অনুমতি নাও দিতে পারে। এছাড়া কোনও রকম আপত্তি যদি কেউ না করে সেক্ষেত্রে সাধারণত সরকার কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করে না।
ভারতে ট্রেডমার্ক প্রক্রিয়া কীভাবে কাজ করে?ফি সহ আবেদন দাখিল করার পর ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রি কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করে। ট্রেডমার্ক জার্নালে প্রকাশ করা হয়। চার মাসের জন্য সময়সীমা দেওয়া থাকে। এই সময়সীমার মধ্যে কেউ কোনও রকম বিরোধিতা না করলে তখন ছাড়পত্র দেওয়া হয়।