০১ জানুয়ারী ২০২৬, বৃহস্পতিবার, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফের চোখ রাঙাচ্ছে নিপা? এই ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের বেশি

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : করোনা অতিমারীর মধ্যেই নয়া আতঙ্ক নিয়ে চোখ রাঙাচ্ছে নিপা ভাইরাস? ভারতে সাম্প্রতিক নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়াতে নিপা ভাইরাসের প্রথম হদিশ মেলে ।সম্প্রতি কেরালায় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে এক যুবকের মৃত্যুর পরই ভারতে নিপার সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমীক্ষা বলছে, কেরালায় ৪ বছরে ৩ গুণ বেড়েছে নিপার সংক্রমণ।
এখন নিপা নিয়ে আতঙ্ক যে অমূলক নয়, তার প্রথম ও প্রধান কারণ হল, এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কোনও ভ্যাকসিনের পরীক্ষাও হয়নি।

বার বার যে প্রশ্ন উঠছে তা হল, নিপা ভাইরাসে অতিমারীর ঝুঁকি কতখানি? এক্ষেত্রে বিবেচনা করে দেখতে হবে নিপা ভাইরাস কীভাবে সংক্রমিত হয় ও কীভাবে নিজের মিউটেশন ঘটায়। এখন নিপা হচ্ছে প্যারামিক্সোভাইরাস।এটা মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার জন্য আমাদের সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি হয়।

আরও পড়ুন: জ়ুবিন গর্গের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ নয়, ‘খুন’, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত

মূলত সংক্রামিত বাদুড় থেকে এর সংক্রমণ ছড়ায়। মলমূত্র, লালারস সহ বাদুড়ের শরীর নিঃসৃত যেকোনও পদার্থের মধ্যে এই ভাইরাস থাকতে পারে। তা থেকেই ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।

আরও পড়ুন: ২০০২ সালে নাম ছিল, তবুও আতঙ্কে মৃত্যু!

বহু সময় ফল থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ফলের সঙ্গে অনেক সময় বাদুড়ের মূত্র মিশে থাকে, সেই ফলের রস খেলে মানব শরীরেও সংক্রণ ঘটতে পারে। এপ্রসঙ্গে বলা যায়, খেজুর- তাল গাছে বাদুড় সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই তালের রসে মিশতে পারে বাদুড়ের মূত্র। তার থেকে নিপা হামলা চালাতে পারে।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা

ট্যাগ :
সর্বধিক পাঠিত

‘জয় শ্রী রাম’ বলাতে চাপ, বিজেপির রাজ্যে নির্যাতনের শিকার কাশ্মীরি ব্যবসায়ীরা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ফের চোখ রাঙাচ্ছে নিপা? এই ভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের বেশি

আপডেট : ১ নভেম্বর ২০২১, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : করোনা অতিমারীর মধ্যেই নয়া আতঙ্ক নিয়ে চোখ রাঙাচ্ছে নিপা ভাইরাস? ভারতে সাম্প্রতিক নিপা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিচ্ছে।১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়াতে নিপা ভাইরাসের প্রথম হদিশ মেলে ।সম্প্রতি কেরালায় নিপা ভাইরাসের সংক্রমণে এক যুবকের মৃত্যুর পরই ভারতে নিপার সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সমীক্ষা বলছে, কেরালায় ৪ বছরে ৩ গুণ বেড়েছে নিপার সংক্রমণ।
এখন নিপা নিয়ে আতঙ্ক যে অমূলক নয়, তার প্রথম ও প্রধান কারণ হল, এই ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যু হার ৫০ শতাংশের বেশি। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে কোনও ভ্যাকসিনের পরীক্ষাও হয়নি।

বার বার যে প্রশ্ন উঠছে তা হল, নিপা ভাইরাসে অতিমারীর ঝুঁকি কতখানি? এক্ষেত্রে বিবেচনা করে দেখতে হবে নিপা ভাইরাস কীভাবে সংক্রমিত হয় ও কীভাবে নিজের মিউটেশন ঘটায়। এখন নিপা হচ্ছে প্যারামিক্সোভাইরাস।এটা মানব শরীরে সংক্রমণ ঘটাতে সক্ষম। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস। যার জন্য আমাদের সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি হয়।

আরও পড়ুন: জ়ুবিন গর্গের মৃত্যু ‘দুর্ঘটনা’ নয়, ‘খুন’, বিধানসভায় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত

মূলত সংক্রামিত বাদুড় থেকে এর সংক্রমণ ছড়ায়। মলমূত্র, লালারস সহ বাদুড়ের শরীর নিঃসৃত যেকোনও পদার্থের মধ্যে এই ভাইরাস থাকতে পারে। তা থেকেই ছড়াতে পারে এই ভাইরাস।

আরও পড়ুন: ২০০২ সালে নাম ছিল, তবুও আতঙ্কে মৃত্যু!

বহু সময় ফল থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ফলের সঙ্গে অনেক সময় বাদুড়ের মূত্র মিশে থাকে, সেই ফলের রস খেলে মানব শরীরেও সংক্রণ ঘটতে পারে। এপ্রসঙ্গে বলা যায়, খেজুর- তাল গাছে বাদুড় সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই তালের রসে মিশতে পারে বাদুড়ের মূত্র। তার থেকে নিপা হামলা চালাতে পারে।

আরও পড়ুন: ৮০ বার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন ইসরাইলের, লাগাতার বিমান হামলায় বাড়ছে নিহতের সংখ্যা