১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যে মোদি আসার আগেই বাংলা পেল কেন্দ্রীয় বরাদ্দের আশ্বাস

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 35

পুবের কলম প্রতিবেদক: মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্র সরকার সঠিক সময়ে টাকা দিচ্ছে না ফলে থমকে থাকছে উন্নয়নমূলক কাজ। এরই মধ্যে রাজ্যে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগেই বাংলা পেল কেন্দ্রীয় বরাদ্দের আশ্বাস।

জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাংলায় পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একাধিক কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন বলে খবর। সরকারি ও দলের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সফরের আগেই বাংলাকে ৩৫০০ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিল মোদি সরকার।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ভাঙা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার, চাইলেন হস্তক্ষেপ

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে বাংলার বুকে ৩৬০০ কিমি রাস্তার অনুমোদন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস প্লাসের টাকা কেন্দ্র রাজনৈতিক স্বার্থেই আটকে রেখেছে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রকের রাজ্যওয়াড়ি পর্যালোচনা বৈঠকে আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন দিল্লির আমলারা। কিন্তু সামনের বছরই ভোট। সেই নির্বাচনের কথা ভেবে কিছুটা হলেও তৃণমূলকে হাতে রাখার জন্য এখন প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পকে বাংলায় ভালোভাবে রূপায়ণে জোর দিচ্ছে মোদি সরকার।

আরও পড়ুন: দু’বেলার আহার জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে গ্রামীণ ভারত: গবেষণা রিপোর্ট

গত অর্থবর্ষেও বাংলায় কেন্দ্রের তরফে এত সংখ্যক গ্রামীণ রাস্তা তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এবারে তা দেওয়া হচ্ছে। কোন কোন রাস্তা সারাই হবে, কোথায় নতুন রাস্তা তৈরি হবে সেই সব তালিকায় আগেই চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। মে মাসে সেই সব রাস্তার তালিকা নবান্ন থেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়াও হয়েছে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, রাজ্য সরকার যখন টাকা খরচ করে রাস্তাশ্রী ও পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ হাজার কিমি রাস্তা নির্মাণ করছে,  তখন একই কাজের জন্য কেন্দ্র কেন টাকা পাঠাচ্ছে? অনেকের দাবি— অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল গ্রামের গরিব মানুষদের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা পাঠানো। সেটা না করে এখন রাস্তার জন্য টাকা পাঠিয়ে মোদি সরকার কী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতার দলকে ফাঁকা মাঠে গোল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে!

তবে এখন কেন্দ্রের তরফে শুধুই আশ্বাস এসেছে। টাকা কবে আসবে, কয় দফায় আসবে, সঙ্গে কী কী শর্ত জুড়বে, এসবের কিছুই কেন্দ্রের তরফে এখনও জানানো হয়নি। তবে যদি টাকা দ্রুত আসে তাহলে বাংলায় গ্রামীণ সড়কের চেহারাটাই বদলে যাবে। কেন্দ্রের এই প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি ও সংস্কার করা যাবে ১০ বছরের পুরনো রাস্তাগুলি।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যে মোদি আসার আগেই বাংলা পেল কেন্দ্রীয় বরাদ্দের আশ্বাস

আপডেট : ২ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্র সরকার সঠিক সময়ে টাকা দিচ্ছে না ফলে থমকে থাকছে উন্নয়নমূলক কাজ। এরই মধ্যে রাজ্যে আসার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তার আগেই বাংলা পেল কেন্দ্রীয় বরাদ্দের আশ্বাস।

জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বাংলায় পা রাখতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একাধিক কর্মসূচিতে তিনি থাকবেন বলে খবর। সরকারি ও দলের অনুষ্ঠানে থাকতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সফরের আগেই বাংলাকে ৩৫০০ কোটি টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিল মোদি সরকার।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথের বাড়ি ভাঙা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি মমতার, চাইলেন হস্তক্ষেপ

জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পে বাংলার বুকে ৩৬০০ কিমি রাস্তার অনুমোদন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে বৈঠকের আগে মন্ত্রীদের করতে হবে কোভিড পরীক্ষা!

সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস প্লাসের টাকা কেন্দ্র রাজনৈতিক স্বার্থেই আটকে রেখেছে বলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রকের রাজ্যওয়াড়ি পর্যালোচনা বৈঠকে আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন দিল্লির আমলারা। কিন্তু সামনের বছরই ভোট। সেই নির্বাচনের কথা ভেবে কিছুটা হলেও তৃণমূলকে হাতে রাখার জন্য এখন প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্পকে বাংলায় ভালোভাবে রূপায়ণে জোর দিচ্ছে মোদি সরকার।

আরও পড়ুন: দু’বেলার আহার জোগাড়ে হিমশিম খাচ্ছে গ্রামীণ ভারত: গবেষণা রিপোর্ট

গত অর্থবর্ষেও বাংলায় কেন্দ্রের তরফে এত সংখ্যক গ্রামীণ রাস্তা তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। এবারে তা দেওয়া হচ্ছে। কোন কোন রাস্তা সারাই হবে, কোথায় নতুন রাস্তা তৈরি হবে সেই সব তালিকায় আগেই চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। মে মাসে সেই সব রাস্তার তালিকা নবান্ন থেকে দিল্লিতে পাঠিয়ে দেওয়াও হয়েছে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, রাজ্য সরকার যখন টাকা খরচ করে রাস্তাশ্রী ও পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে ১২ হাজার কিমি রাস্তা নির্মাণ করছে,  তখন একই কাজের জন্য কেন্দ্র কেন টাকা পাঠাচ্ছে? অনেকের দাবি— অনেক বেশি প্রয়োজন ছিল গ্রামের গরিব মানুষদের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা পাঠানো। সেটা না করে এখন রাস্তার জন্য টাকা পাঠিয়ে মোদি সরকার কী পঞ্চায়েত নির্বাচনে মমতার দলকে ফাঁকা মাঠে গোল না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে!

তবে এখন কেন্দ্রের তরফে শুধুই আশ্বাস এসেছে। টাকা কবে আসবে, কয় দফায় আসবে, সঙ্গে কী কী শর্ত জুড়বে, এসবের কিছুই কেন্দ্রের তরফে এখনও জানানো হয়নি। তবে যদি টাকা দ্রুত আসে তাহলে বাংলায় গ্রামীণ সড়কের চেহারাটাই বদলে যাবে। কেন্দ্রের এই প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি ও সংস্কার করা যাবে ১০ বছরের পুরনো রাস্তাগুলি।