২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

 চলছে নির্মাণকাজ,  পরিবেশ রক্ষায় গাছ বাঁচাতে  অভিনব প্রতিবাদ পুণেতে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার
  • / 41

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পুণেতে মুলা-মুথা নদীর পাড়ে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে নির্মাণকাজ। এই কাজকে সামনে রেখে যথেচ্ছ ভাবে কাটা হচ্ছে গাছ পালা। তাই পরিবেশ রক্ষার্থে এবার গাছকে জড়িয়ে ধরে এক অভিনব আন্দোলনে  নামলেন এলাকাবাসী।

‘পুণা রিভার ফ্রন্ট ডেভেলপমেন্ট সংস্থার’ নয়া প্রকল্পের অধীনে এই কাজ চলছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালের মার্চ মাসে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন  করেছিলেন। এই ভাবে বেহিসাবি গাছ কাটলে স্থানীয় পরিবেশে ওপর এর একটি বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তাই পরিবেশ বাঁচাতে গাছকে জড়িয়ে প্রতিবাদে নামেন তারা।

ঐতিহাসিক চিপকো আন্দোলনের ধাঁচে এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের নাম রেখেছে ‘চলো গাছকে জড়িয়ে ধরি’।  ঘটনাপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ চালাতে যথেচ্ছ ভাবে  দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহ্য প্রাচীন গাছ গুলি কেটে ফেলা হচ্ছে।ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় ৬০ হাজার গাছ বসানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

 যদিও পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, এই রকম কোনও গাছ আমরা কাটিনি। এছাড়াও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ওই এলাকায় নতুন করে ৬৫ হাজার গাছ বসানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমরা।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

 চলছে নির্মাণকাজ,  পরিবেশ রক্ষায় গাছ বাঁচাতে  অভিনব প্রতিবাদ পুণেতে

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পুণেতে মুলা-মুথা নদীর পাড়ে প্রায় ৪৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে চলছে নির্মাণকাজ। এই কাজকে সামনে রেখে যথেচ্ছ ভাবে কাটা হচ্ছে গাছ পালা। তাই পরিবেশ রক্ষার্থে এবার গাছকে জড়িয়ে ধরে এক অভিনব আন্দোলনে  নামলেন এলাকাবাসী।

‘পুণা রিভার ফ্রন্ট ডেভেলপমেন্ট সংস্থার’ নয়া প্রকল্পের অধীনে এই কাজ চলছে বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২২ সালের মার্চ মাসে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন  করেছিলেন। এই ভাবে বেহিসাবি গাছ কাটলে স্থানীয় পরিবেশে ওপর এর একটি বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা। তাই পরিবেশ বাঁচাতে গাছকে জড়িয়ে প্রতিবাদে নামেন তারা।

ঐতিহাসিক চিপকো আন্দোলনের ধাঁচে এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের নাম রেখেছে ‘চলো গাছকে জড়িয়ে ধরি’।  ঘটনাপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, প্রকল্পের কাজ চালাতে যথেচ্ছ ভাবে  দুষ্প্রাপ্য ও ঐতিহ্য প্রাচীন গাছ গুলি কেটে ফেলা হচ্ছে।ইতিমধ্যেই ওই এলাকায় ৬০ হাজার গাছ বসানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।

 যদিও পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, এই রকম কোনও গাছ আমরা কাটিনি। এছাড়াও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ওই এলাকায় নতুন করে ৬৫ হাজার গাছ বসানো হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছি আমরা।