০৬ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুললো কলকাতা হাইকোর্ট

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার
  • / 49

পারিজাত মোল্লা: রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মী সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, ‘কেউ কাজ করতে চায় না। এ ওকে দেখাচ্ছে, ও তাঁকে দেখাচ্ছে। একজন চিকিত্‍সক সব কাজ করবেন, এটা আশা করা যায় না! হাসপাতালে ৮০ শতাংশ কর্মী চুক্তিভিত্তিক। ১২-১৩ হাজার টাকা করে বেতন পান। তাঁদের কাছ থেকে কাজের কী আশা করবেন?’ রাজ্যের সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী থাকায় কাজে দায়সারা মনোভাব এসেছে বলেও এদিন এজলাসে জানান প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান, “ই-পোর্টালে শীর্ষে রয়েছে, এ বার আদালতে রাজ্য এসে বলুক! আমি বুঝিয়ে দেব।”

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর কেন? কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা কত? তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। উত্তর দিতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি জানান, “আপনার জানা উচিত ছিল। মানুষ অনেক দূর থেকে আসেন। কত কত টাকা খরচ করে তাঁরা কলকাতায় থাকেন। খুব খারাপ লাগে ই-পোর্টাল না খুললে। কিন্তু তা ঠিক না করে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।” রাজ্যে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সরকারের পোর্টাল কাজ করছে না। এনিয়ে সোমবার বিরক্ত প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

 

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুজো কমিটি

“এ রাজ্যে কেন আলাদা পোর্টাল? যদি সেটা হয়েও থাকে কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে কেন তথ্য নেওয়া হচ্ছে না?”, সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধান বিচারপতি। বিশেষ সক্ষম মানুষদের সুবিধার্থে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার উদিদ কার্ডের ব্যবস্থা করে। অভিযোগ, রাজ্যের মানুষের জন্য এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে পৃথক একটি পোর্টাল খোলা হয়। অভিযোগ যখনই সেখানে নাম নথিবদ্ধ করতে চাইছেন প্রার্থীরা তাঁদের নাম নথিবদ্ধ বলে দেখানো হচ্ছে। ফলে কেউ কার্ড পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুললো কলকাতা হাইকোর্ট

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা: রাজ্যে চুক্তিভিত্তিক কর্মী সংক্রান্ত মামলায় রাজ্যের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, ‘কেউ কাজ করতে চায় না। এ ওকে দেখাচ্ছে, ও তাঁকে দেখাচ্ছে। একজন চিকিত্‍সক সব কাজ করবেন, এটা আশা করা যায় না! হাসপাতালে ৮০ শতাংশ কর্মী চুক্তিভিত্তিক। ১২-১৩ হাজার টাকা করে বেতন পান। তাঁদের কাছ থেকে কাজের কী আশা করবেন?’ রাজ্যের সব ক্ষেত্রে চুক্তিভিত্তিক কর্মী থাকায় কাজে দায়সারা মনোভাব এসেছে বলেও এদিন এজলাসে জানান প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি এদিন এজলাসে জানান, “ই-পোর্টালে শীর্ষে রয়েছে, এ বার আদালতে রাজ্য এসে বলুক! আমি বুঝিয়ে দেব।”

 

আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি এসআইআর কেন? কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

রাজ্যে এই মুহূর্তে মোট চুক্তিভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা কত? তাও জানতে চান প্রধান বিচারপতি। উত্তর দিতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী। প্রধান বিচারপতি জানান, “আপনার জানা উচিত ছিল। মানুষ অনেক দূর থেকে আসেন। কত কত টাকা খরচ করে তাঁরা কলকাতায় থাকেন। খুব খারাপ লাগে ই-পোর্টাল না খুললে। কিন্তু তা ঠিক না করে মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে।” রাজ্যে বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য সরকারের পোর্টাল কাজ করছে না। এনিয়ে সোমবার বিরক্ত প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

 

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুজো কমিটি

“এ রাজ্যে কেন আলাদা পোর্টাল? যদি সেটা হয়েও থাকে কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে কেন তথ্য নেওয়া হচ্ছে না?”, সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধান বিচারপতি। বিশেষ সক্ষম মানুষদের সুবিধার্থে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকার উদিদ কার্ডের ব্যবস্থা করে। অভিযোগ, রাজ্যের মানুষের জন্য এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারের তরফে পৃথক একটি পোর্টাল খোলা হয়। অভিযোগ যখনই সেখানে নাম নথিবদ্ধ করতে চাইছেন প্রার্থীরা তাঁদের নাম নথিবদ্ধ বলে দেখানো হচ্ছে। ফলে কেউ কার্ড পাচ্ছেন না। এই অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।