১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করুণাময়ী থেকে ধর্মতলা, চলছে শাসক-বিরোধী রাজনীতির জমি দখলের লড়াই

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
  • / 22

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সব চেয়ে আলোচিত দুটি স্পট ঠিক করে দিচ্ছে রাজ্য-রাজনীতির গতিপথ। বিগত কয়েকদিন যাবত সংবাদ শিরোনামে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধী দলগুলির ভবিষ্যৎ সরু সুতোয় ঝুলছে। কে সফল কে ব্যর্থ তা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে শুক্রবার আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল এই বিরোধীদের যাবতীয় জারিজুরি সবটাই নির্ভর করছে এই চাকরি প্রার্থীদের উপরই।

একুশে গণ দেবতার রায়ে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস। বিজেপি প্রধান বিরোধী হলেও এখনও শাসককে বেকায়দায় ফেলার মতো পৌঁছয়নি। আর এই অবস্থায় তাদের ভরসা করতে হচ্ছে অন্যের আন্দোলনের উপর। আর তাই শুক্রবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে করুণাময়ী এবং নিবেদিতা মূর্তির ধরণা মঞ্চ।

আরও পড়ুন: সেক্টর ৫-করুণাময়ী-বিশ্ববাংলায় চলবে আরও ১২টি বাস

তাই এ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা বিরোধী রাজনীতির গতিমুখ থাকল এই আন্দোলনের ভিত্তি ভূমিই। এ দিন খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনকে জিইয়ে রাখতে চাইছে। কারণ এই আন্দোলন জিইয়ে থাকলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে।

আরও পড়ুন: ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আইএসএফ

আর বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনাই শাসকদল তৃণমূলের জন্য কাল হবে। সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য মনে করেন, যেভাবে বল প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করা হল, এর ফল আখেরে ভুগতে হবে বাংলার শাসককে। বাংলার ছাত্র-যুবরা কোনোভাবেই এই অত্যাচার মেনে নেবে না। এই অত্যাচার আদতে শাসককে সরাসরি গদি থেকে রাজপথে নামিয়ে আনবে।

আরও পড়ুন: Breaking: ২১ শে জুলাই:  ধর্মতলায় মঞ্চের দিকে রওনা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

যদিও শাসক তৃণমূল মীনাক্ষীর এই দাবিকে সেভাবে আমল দিচ্ছে না। সব শুনে তৃণমূল নেতারা মুচকি হাসছেন শুধু। আর বলছেন, আন্দোলনের নেত্রীর নাম মমতা। আন্দোলন কিভাবে করতে হয় ভালোভাবেই জানেন তিনি। তাই করুণাময়ী হোক বা ধর্মতলা বিরোধীদের এখনও অনেক পথ চলতে হবে। তৃণমূল অথবা বিরোধী নেতারা যাই বলুন, ভবিষ্যৎ কি হবে জানা নেই কারও। সব দেখছে জনতা। করুণাময়ী হয়ে ধর্মতলা, দুটো প্রান্তেই চলছে প্রতিবাদ, চড়ছে রাজনীতির উত্তাপ।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

করুণাময়ী থেকে ধর্মতলা, চলছে শাসক-বিরোধী রাজনীতির জমি দখলের লড়াই

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজনীতিতে এই মুহূর্তে সব চেয়ে আলোচিত দুটি স্পট ঠিক করে দিচ্ছে রাজ্য-রাজনীতির গতিপথ। বিগত কয়েকদিন যাবত সংবাদ শিরোনামে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন। এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শাসক এবং বিরোধী দলগুলির ভবিষ্যৎ সরু সুতোয় ঝুলছে। কে সফল কে ব্যর্থ তা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে শুক্রবার আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল এই বিরোধীদের যাবতীয় জারিজুরি সবটাই নির্ভর করছে এই চাকরি প্রার্থীদের উপরই।

একুশে গণ দেবতার রায়ে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে শূন্য হয়ে গিয়েছে বাম-কংগ্রেস। বিজেপি প্রধান বিরোধী হলেও এখনও শাসককে বেকায়দায় ফেলার মতো পৌঁছয়নি। আর এই অবস্থায় তাদের ভরসা করতে হচ্ছে অন্যের আন্দোলনের উপর। আর তাই শুক্রবার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে করুণাময়ী এবং নিবেদিতা মূর্তির ধরণা মঞ্চ।

আরও পড়ুন: সেক্টর ৫-করুণাময়ী-বিশ্ববাংলায় চলবে আরও ১২টি বাস

তাই এ দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা বিরোধী রাজনীতির গতিমুখ থাকল এই আন্দোলনের ভিত্তি ভূমিই। এ দিন খুব স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ দাবি করেছেন, বিরোধীরা রাজনৈতিক স্বার্থে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনকে জিইয়ে রাখতে চাইছে। কারণ এই আন্দোলন জিইয়ে থাকলে তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত হবে।

আরও পড়ুন: ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আইএসএফ

আর বিরোধীদের দাবি, এই ঘটনাই শাসকদল তৃণমূলের জন্য কাল হবে। সিপিএম নেত্রী মীনাক্ষী ভট্টাচার্য মনে করেন, যেভাবে বল প্রয়োগ করে গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করা হল, এর ফল আখেরে ভুগতে হবে বাংলার শাসককে। বাংলার ছাত্র-যুবরা কোনোভাবেই এই অত্যাচার মেনে নেবে না। এই অত্যাচার আদতে শাসককে সরাসরি গদি থেকে রাজপথে নামিয়ে আনবে।

আরও পড়ুন: Breaking: ২১ শে জুলাই:  ধর্মতলায় মঞ্চের দিকে রওনা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

যদিও শাসক তৃণমূল মীনাক্ষীর এই দাবিকে সেভাবে আমল দিচ্ছে না। সব শুনে তৃণমূল নেতারা মুচকি হাসছেন শুধু। আর বলছেন, আন্দোলনের নেত্রীর নাম মমতা। আন্দোলন কিভাবে করতে হয় ভালোভাবেই জানেন তিনি। তাই করুণাময়ী হোক বা ধর্মতলা বিরোধীদের এখনও অনেক পথ চলতে হবে। তৃণমূল অথবা বিরোধী নেতারা যাই বলুন, ভবিষ্যৎ কি হবে জানা নেই কারও। সব দেখছে জনতা। করুণাময়ী হয়ে ধর্মতলা, দুটো প্রান্তেই চলছে প্রতিবাদ, চড়ছে রাজনীতির উত্তাপ।