১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ধর্মতলায় বাস পার্কিং এখনও কেন? বিকল্প পার্কিং গড়ার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, শনিবার
  • / 20

পারিজাত মোল্লা:  চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এক আদালত অবমাননার মামলার শুনানি চলে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা কার্যকর হচ্ছেনা। সেই বিষয়ে মামলার শুনানি চলে। বিভিন্ন যানবাহন এর ধোঁয়া-দূষণ থেকে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধকে বাঁচাতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরানো হোক। কলকাতা হাইকোর্টে এই দাবি তুলে এর আগে মামলা দায়ের হয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যার ভিত্তিতে গত ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট  রাজ্য সরকারকে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের কথা বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল।

তবে প্রায় বারো বছরেও তা কার্যকর না হওয়ায় ফের এ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।গত শুক্রবার যার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে। ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের বিকল্প পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আইএসএফ

এই মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করে ধর্মতলায় ভূপৃষ্ঠ বা ভূগর্ভস্থ বহুতল বাস পার্কিং তৈরির ব্যাপারে রাজ্যকে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তিনি আরও বলেন -‘ ধর্মতলায় বাসস্ট্যান্ড ভূগর্ভে, না কি ভূপৃষ্ঠে হবে, তা ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’  পর্যবেক্ষণ করার পরেই সিদ্ধান্ত হোক।

আরও পড়ুন: Breaking: ২১ শে জুলাই:  ধর্মতলায় মঞ্চের দিকে রওনা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পাশাপাশি,  হাইকোর্টের আইনজীবীদের গাড়ি রাখার জন্য কিরণশঙ্কর রায় রোডের এক জায়গায় পার্কোম্যাট তৈরির সুপারিশও করা হয়েছে। সুভাষবাবু জানান, ”বাবুঘাটে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা-ও দেখতে বলেছে আদালত।”

আরও পড়ুন: ধর্মতলায় ট্রান্সপোর্ট হাব!

সেই সঙ্গে ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন এলাকার ট্র্যাফিক সিগন্যাল এমন ভাবে গড়ে তুলতে বলা হয়েছে, যাতে সেখানে স্টপেজ না থাকে বা যানবাহন বেশিক্ষণ না দাঁড়ায়। যানবাহন থামার অর্থই হল, সংলগ্ন এলাকায় ধোঁয়া-দূষণ বেড়ে যাওয়া’।

উল্লেখ্য,  ধোঁয়ার দূষণ থেকে ঐতিহ্যশালী ভিক্টোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করার সুপারিশ করেছিল এক পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা। তারই ভিত্তিতে দায়ের মামলার প্রেক্ষিতে সেই গত ২০০৭ সালে ওই বাসস্ট্যান্ডকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা  হাইকোর্ট।

যে রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য।  তবে পরিবেশ সৃষ্টি ওই সংস্থার পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টও। এখন দেখার গত শুক্রবারে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কথা অনুযায়ী রাজ্য সরকার পার্কিং নিয়ে কি প্রকল্প গ্রহণ করে?

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ধর্মতলায় বাস পার্কিং এখনও কেন? বিকল্প পার্কিং গড়ার পরামর্শ ডিভিশন বেঞ্চের

আপডেট : ১০ জুন ২০২৩, শনিবার

পারিজাত মোল্লা:  চলতি সপ্তাহে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এক আদালত অবমাননার মামলার শুনানি চলে। সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কেন তা কার্যকর হচ্ছেনা। সেই বিষয়ে মামলার শুনানি চলে। বিভিন্ন যানবাহন এর ধোঁয়া-দূষণ থেকে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধকে বাঁচাতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড সরানো হোক। কলকাতা হাইকোর্টে এই দাবি তুলে এর আগে মামলা দায়ের হয়েছিল। যা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যার ভিত্তিতে গত ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট  রাজ্য সরকারকে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরের কথা বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল।

তবে প্রায় বারো বছরেও তা কার্যকর না হওয়ায় ফের এ নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।গত শুক্রবার যার শুনানি ছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চে। ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ডের বিকল্প পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করতে রাজ্য সরকারকে এগিয়ে আসতে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সভা করতে চেয়ে হাইকোর্টে আইএসএফ

এই মামলার আবেদনকারী সুভাষ দত্ত বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করে ধর্মতলায় ভূপৃষ্ঠ বা ভূগর্ভস্থ বহুতল বাস পার্কিং তৈরির ব্যাপারে রাজ্যকে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তিনি আরও বলেন -‘ ধর্মতলায় বাসস্ট্যান্ড ভূগর্ভে, না কি ভূপৃষ্ঠে হবে, তা ‘ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট’  পর্যবেক্ষণ করার পরেই সিদ্ধান্ত হোক।

আরও পড়ুন: Breaking: ২১ শে জুলাই:  ধর্মতলায় মঞ্চের দিকে রওনা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

পাশাপাশি,  হাইকোর্টের আইনজীবীদের গাড়ি রাখার জন্য কিরণশঙ্কর রায় রোডের এক জায়গায় পার্কোম্যাট তৈরির সুপারিশও করা হয়েছে। সুভাষবাবু জানান, ”বাবুঘাটে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা-ও দেখতে বলেছে আদালত।”

আরও পড়ুন: ধর্মতলায় ট্রান্সপোর্ট হাব!

সেই সঙ্গে ভিক্টোরিয়া সংলগ্ন এলাকার ট্র্যাফিক সিগন্যাল এমন ভাবে গড়ে তুলতে বলা হয়েছে, যাতে সেখানে স্টপেজ না থাকে বা যানবাহন বেশিক্ষণ না দাঁড়ায়। যানবাহন থামার অর্থই হল, সংলগ্ন এলাকায় ধোঁয়া-দূষণ বেড়ে যাওয়া’।

উল্লেখ্য,  ধোঁয়ার দূষণ থেকে ঐতিহ্যশালী ভিক্টোরিয়াকে রক্ষা করার জন্য ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তরিত করার সুপারিশ করেছিল এক পরিবেশ সংক্রান্ত সংস্থা। তারই ভিত্তিতে দায়ের মামলার প্রেক্ষিতে সেই গত ২০০৭ সালে ওই বাসস্ট্যান্ডকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা  হাইকোর্ট।

যে রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় রাজ্য।  তবে পরিবেশ সৃষ্টি ওই সংস্থার পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল সুপ্রিম কোর্টও। এখন দেখার গত শুক্রবারে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের কথা অনুযায়ী রাজ্য সরকার পার্কিং নিয়ে কি প্রকল্প গ্রহণ করে?