২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 67

রবীন্দ্র সদনে 'রুপদর্শী গৌর কিশোর' শীর্ষক বই প্রকাশক অনুষ্ঠানে অধ্যাপক সুগত বসু, মেধা পটেকর ,ডঃ অমিত রায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু,সুধাংশু শেখর দে। ছবি- সঞ্জয় পুরকাইত

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ­ সাংবাদিকতার জগতে একটি বিশেষ নাম গৌর কিশোর ঘোষ। সেই মানুষটির জন্মশতবর্ষ ছিল সোমবার। সেই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান হয় রবীন্দ্র সদনে। সেই সভায় স্মারক বক্তৃতা করেন অধ্যাপক সুগত বসু, গৌর কিশোরের অন্য একটি দিক মানবতা, সে-সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন নর্মদা আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ও সমাজকর্মী মেধা পটেকর। এ দিন গৌর কিশোরকে নিয়ে দু’টি বইয়ের উদ্বোধনও হয়।

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু
ছবি- সঞ্জয় পুরকাইত

এ দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি গৌর কিশোর ঘোষ সম্পর্কে বলেন, গৌর কিশোর ঘোষ একজন আশ্চর্য রঙিন মানুষ ছিলেন। বাংলা ও বাঙালির জীবনের সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি ও ধর্মীয় দিক নিয়ে বাঙালির বহতা জীবনে তিনি ছিলেন এক ঘনিষ্ঠ বিপ্লব। তিনি পৃথক ও নিজস্ব জগৎ সৃষ্টি করেছিলেন। একইসঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন মানবতাবাদের জন্য। ১৯৪৮ সালে সত্যযুগ কাগজে সাংবাদিক হিসাবে তাঁর কাজ শুরু হয়েছিল। তারপর আনন্দবাজার পত্রিকার জুনিয়র রিপোর্টার হিসাবে কাজে যোগ দেন। সাংবাদিক হিসাবে তিনি শুধু দক্ষ নন, তিনি ছিলেন দুঃসাহসী। তাঁর দেখার চোখ ছিল স্বতন্ত্র। পর্যবেক্ষণ ও পরিবেশনার এই অসাধারণ দক্ষতা তাঁকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকেই অ্যাডমিশন পোর্টালে আবেদন করা যাবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু

আরও পড়ুন: গরমে দু’দিন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

গৌর কিশোর ঘোষের সাংবাদিকতার দিক নিয়ে বহু আলোচনা হলেও সাহিত্যকর্ম ও সৃষ্টি নিয়ে সেভাবে হয়তো চর্চা হয়নি। এই দিকটা নিয়ে ব্রাত্য বসু মনে করেন, এটা আমাদের দেশের একটা সমস্যা। আমরা সাংবাদিকের কাছ থেকে শুধু সংবাদ চাই, তার বাইরে তিনি যে বড় সাহিত্যিক হতে পারেন তা অনুধাবণ করতে পারি না। ব্রাত্য বসুর প্রত্যাশা, একদিন গৌর কিশোর ঘোষের সাহিত্য নতুন করে চর্চার বিষয় হবে।
এ দিন প্রধান বক্তা অধ্যাপক সুগত বসু বলেন, গৌর কিশোর ঘোষ নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সব সময় নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকতেন। অসহায় ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষকে সামনে তুলে আনার চেষ্টা করতেন। এর পাশাপাশি তিনি বড় মাপের সাহিত্যিক ছিলেন।

আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

 

এ প্রসঙ্গে সুগত বসু তাঁর মা কৃষ্ণা বসু ও গৌর কিশোর ঘোষের কথা তুলে আনেন। এ দিন সাহিত্য আলোচনায় সৈয়দ মুজতবা আলির প্রসঙ্গও উঠে আসে সুগত বসুর কথায়। অন্যদিকে, মেধা পটেকর উল্লেখ করেন, গদি মিডিয়ার মতো অপপ্রচার না করে গৌর কিশোর ঘোষের মত নির্ভীক সাংবাদিক হতে হবে। মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে হবে। গৌর কিশোর ঘোঘের স্মৃতি চারণা করেন এদিনের আলোচনাসভার সভাপতি ড. আমিত রায়।

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু

প্রসঙ্গত, এ দিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন প্রিয়াঙ্গী লাহিড়ী। তিনি ‘আনন্দ ধ্বনি জাগাও গগনে’ ও ‘জয় আজানার জয়’ শীর্ষক গৌর কিশোর ঘোষের পছন্দের দু’টি গান পরিবেশন করেন। অন্যদিকে, গৌর কিশোর ঘোষকে নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের প্রকাশক শুধাংশু শেখর দে বলেন, গৌরবাবু নির্ভীক সাংবাদিক। তাঁকে নিয়ে বই প্রকাশ করা ও তাঁর নির্ভীক সাংবাদিকতাকে স্মরণ করা বড় গর্বের। আমি তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়ে কাজ করেছি, বই প্রকাশ করেছি। সঞ্চালিকা ছিলেন সাহানা নাগ চৌধুরি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু

আপডেট : ২১ জুন ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ­ সাংবাদিকতার জগতে একটি বিশেষ নাম গৌর কিশোর ঘোষ। সেই মানুষটির জন্মশতবর্ষ ছিল সোমবার। সেই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান হয় রবীন্দ্র সদনে। সেই সভায় স্মারক বক্তৃতা করেন অধ্যাপক সুগত বসু, গৌর কিশোরের অন্য একটি দিক মানবতা, সে-সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন নর্মদা আন্দোলনের অন্যতম নেত্রী ও সমাজকর্মী মেধা পটেকর। এ দিন গৌর কিশোরকে নিয়ে দু’টি বইয়ের উদ্বোধনও হয়।

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু
ছবি- সঞ্জয় পুরকাইত

এ দিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি গৌর কিশোর ঘোষ সম্পর্কে বলেন, গৌর কিশোর ঘোষ একজন আশ্চর্য রঙিন মানুষ ছিলেন। বাংলা ও বাঙালির জীবনের সাহিত্য, রাজনীতি, সমাজনীতি ও ধর্মীয় দিক নিয়ে বাঙালির বহতা জীবনে তিনি ছিলেন এক ঘনিষ্ঠ বিপ্লব। তিনি পৃথক ও নিজস্ব জগৎ সৃষ্টি করেছিলেন। একইসঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন মানবতাবাদের জন্য। ১৯৪৮ সালে সত্যযুগ কাগজে সাংবাদিক হিসাবে তাঁর কাজ শুরু হয়েছিল। তারপর আনন্দবাজার পত্রিকার জুনিয়র রিপোর্টার হিসাবে কাজে যোগ দেন। সাংবাদিক হিসাবে তিনি শুধু দক্ষ নন, তিনি ছিলেন দুঃসাহসী। তাঁর দেখার চোখ ছিল স্বতন্ত্র। পর্যবেক্ষণ ও পরিবেশনার এই অসাধারণ দক্ষতা তাঁকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন: আগামিকাল থেকেই অ্যাডমিশন পোর্টালে আবেদন করা যাবে, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু

আরও পড়ুন: গরমে দু’দিন স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

গৌর কিশোর ঘোষের সাংবাদিকতার দিক নিয়ে বহু আলোচনা হলেও সাহিত্যকর্ম ও সৃষ্টি নিয়ে সেভাবে হয়তো চর্চা হয়নি। এই দিকটা নিয়ে ব্রাত্য বসু মনে করেন, এটা আমাদের দেশের একটা সমস্যা। আমরা সাংবাদিকের কাছ থেকে শুধু সংবাদ চাই, তার বাইরে তিনি যে বড় সাহিত্যিক হতে পারেন তা অনুধাবণ করতে পারি না। ব্রাত্য বসুর প্রত্যাশা, একদিন গৌর কিশোর ঘোষের সাহিত্য নতুন করে চর্চার বিষয় হবে।
এ দিন প্রধান বক্তা অধ্যাপক সুগত বসু বলেন, গৌর কিশোর ঘোষ নির্ভীক সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সব সময় নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকতেন। অসহায় ও পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষকে সামনে তুলে আনার চেষ্টা করতেন। এর পাশাপাশি তিনি বড় মাপের সাহিত্যিক ছিলেন।

আরও পড়ুন: কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া নিয়ে বিধানসভায় জানালেন শিক্ষামন্ত্রী

 

এ প্রসঙ্গে সুগত বসু তাঁর মা কৃষ্ণা বসু ও গৌর কিশোর ঘোষের কথা তুলে আনেন। এ দিন সাহিত্য আলোচনায় সৈয়দ মুজতবা আলির প্রসঙ্গও উঠে আসে সুগত বসুর কথায়। অন্যদিকে, মেধা পটেকর উল্লেখ করেন, গদি মিডিয়ার মতো অপপ্রচার না করে গৌর কিশোর ঘোষের মত নির্ভীক সাংবাদিক হতে হবে। মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠতে হবে। গৌর কিশোর ঘোঘের স্মৃতি চারণা করেন এদিনের আলোচনাসভার সভাপতি ড. আমিত রায়।

গৌর কিশোর ঘোষ ছিলেন একজন দুঃসাহসী সাংবাদিক­ ব্রাত্য বসু

প্রসঙ্গত, এ দিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন প্রিয়াঙ্গী লাহিড়ী। তিনি ‘আনন্দ ধ্বনি জাগাও গগনে’ ও ‘জয় আজানার জয়’ শীর্ষক গৌর কিশোর ঘোষের পছন্দের দু’টি গান পরিবেশন করেন। অন্যদিকে, গৌর কিশোর ঘোষকে নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের প্রকাশক শুধাংশু শেখর দে বলেন, গৌরবাবু নির্ভীক সাংবাদিক। তাঁকে নিয়ে বই প্রকাশ করা ও তাঁর নির্ভীক সাংবাদিকতাকে স্মরণ করা বড় গর্বের। আমি তাঁর সঙ্গে নানা বিষয়ে কাজ করেছি, বই প্রকাশ করেছি। সঞ্চালিকা ছিলেন সাহানা নাগ চৌধুরি।