১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাতের অন্ধকারে বেআইনি নির্মাণ, পুকুর বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা স্থানীয়দের

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার
  • / 73

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পুকুরের উপর বেআইনি নির্মাণ। তা রুখতে সরব এলাকার মানুষ।রাতের অন্ধকারে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। নির্মাণ আটকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বাসিন্দারা। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় প্রায় তিন বিঘা একটি পুকুর রয়েছে। স্নান-সহ বিভিন্ন কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুকুরটি ব্যবহার করেন। সপ্তাহ দু’য়েক আগে হঠাৎই পুকুরের জল সেচ করে বের করে দেওয়া হয়। তারপরই পুকুরের একাংশে বেআইনি ভাবে শুরু হয় কংক্রিটের নির্মাণ। দ্রুত ওই নির্মাণ বন্ধের দাবিতে পুরসভায় ‘মাস পিটিশন’ দেন এলাকার বাসিন্দারা। বেআইনি কাজ বন্ধের জন্য থানারও দ্বারস্থ হন তাঁরা। পুরসভার তরফে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশও এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন: বেআইনী নির্মাণের উপর মোবাইল টাওয়ার, পুলিশ কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

পুরসভার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্মাণের কাজ চলার অভিযোগ। দিনের বদলে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে কাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই রাত পাহারার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত শুক্রবার থেকে রাত জেগে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন এলাকার মহিলা-পুরুষরা।

আরও পড়ুন: অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ইন্দোরের বেলেশ্বর মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বুলডোজার দিয়ে

বাসিন্দারা জানান, পুকুরের কিছুটা সরকারি সম্পত্তি। বাকিটা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অংশের বহু শরিক রয়েছে। তাঁদের অনেকেই বর্তমানে মৃত। কেউ কেউ বাইরে থাকেন। মালিকপক্ষের তরফে পুকুর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিই বাইরে থেকে লোক এনে এই নির্মাণ করাচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চায়নি।

আরও পড়ুন: ইউপিতে ‘বেআইনি’ নির্মাণের দাবি করে মসজিদ ভাঙচুর করল ভিএইচপি ও  বজরং

স্থানীয় এসইউসি কাউন্সিলর পাঁচুগোপাল মিস্ত্রি বলেন, “পুরসভা নোটিস দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশও এসে বারণ করে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাতের অন্ধকারে কাজ হচ্ছে। পুলিশ চলে গেলেই ওরা আসছে। তাই এলাকার বাসিন্দারাই পালা করে রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছে। এত কিছুর পরেও কী ভাবে, কাদের মদতে কাজ হচ্ছে? এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।”

জয়নগর-মজিলপুরের পুরপ্রধান সুকুমার হালদার বলেন, “খবর পেয়েই পুরসভার তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য স্তরেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাতের অন্ধকারে বেআইনি নির্মাণ, পুকুর বাঁচাতে রাত জেগে পাহারা স্থানীয়দের

আপডেট : ১১ জুন ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: পুকুরের উপর বেআইনি নির্মাণ। তা রুখতে সরব এলাকার মানুষ।রাতের অন্ধকারে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ। নির্মাণ আটকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বাসিন্দারা। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এই এলাকায় প্রায় তিন বিঘা একটি পুকুর রয়েছে। স্নান-সহ বিভিন্ন কাজে স্থানীয় বাসিন্দারা এই পুকুরটি ব্যবহার করেন। সপ্তাহ দু’য়েক আগে হঠাৎই পুকুরের জল সেচ করে বের করে দেওয়া হয়। তারপরই পুকুরের একাংশে বেআইনি ভাবে শুরু হয় কংক্রিটের নির্মাণ। দ্রুত ওই নির্মাণ বন্ধের দাবিতে পুরসভায় ‘মাস পিটিশন’ দেন এলাকার বাসিন্দারা। বেআইনি কাজ বন্ধের জন্য থানারও দ্বারস্থ হন তাঁরা। পুরসভার তরফে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশও এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন: বেআইনী নির্মাণের উপর মোবাইল টাওয়ার, পুলিশ কে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

পুরসভার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্মাণের কাজ চলার অভিযোগ। দিনের বদলে রাতের অন্ধকারে লুকিয়ে কাজ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরেই রাত পাহারার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গত শুক্রবার থেকে রাত জেগে পালা করে পাহারা দিচ্ছেন এলাকার মহিলা-পুরুষরা।

আরও পড়ুন: অবৈধ নির্মাণের অভিযোগে ইন্দোরের বেলেশ্বর মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হল বুলডোজার দিয়ে

বাসিন্দারা জানান, পুকুরের কিছুটা সরকারি সম্পত্তি। বাকিটা ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অংশের বহু শরিক রয়েছে। তাঁদের অনেকেই বর্তমানে মৃত। কেউ কেউ বাইরে থাকেন। মালিকপক্ষের তরফে পুকুর দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিই বাইরে থেকে লোক এনে এই নির্মাণ করাচ্ছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা অবশ্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চায়নি।

আরও পড়ুন: ইউপিতে ‘বেআইনি’ নির্মাণের দাবি করে মসজিদ ভাঙচুর করল ভিএইচপি ও  বজরং

স্থানীয় এসইউসি কাউন্সিলর পাঁচুগোপাল মিস্ত্রি বলেন, “পুরসভা নোটিস দিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলেছে। পুলিশও এসে বারণ করে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও রাতের অন্ধকারে কাজ হচ্ছে। পুলিশ চলে গেলেই ওরা আসছে। তাই এলাকার বাসিন্দারাই পালা করে রাত পাহারার ব্যবস্থা করেছে। এত কিছুর পরেও কী ভাবে, কাদের মদতে কাজ হচ্ছে? এ ব্যাপারে প্রশাসনের আরও কড়া পদক্ষেপ করা উচিত।”

জয়নগর-মজিলপুরের পুরপ্রধান সুকুমার হালদার বলেন, “খবর পেয়েই পুরসভার তরফে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ ও প্রশাসনের অন্যান্য স্তরেও চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।