০৩ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয়নগরে পুলিশি বাধায় নওশাদ সিদ্দিকী, পুলিশের সঙ্গে বচসা

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 16

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর: জয়নগরে পুলিশের বাধার মুখে এবার নওশাদ সিদ্দিকী। পুলিশের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তি। শুরু হয় উওেজনা। মঙ্গলবার জয়নগর থানার বামুনগাছির দলুয়াখাকি গ্রামে যান আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। গ্রামে ঢোকার আগে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন নওশাদ সিদ্দিকী। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি ও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকার মুখেই পুলিশ বাধা দেয় বাম প্রতিনিধিদলকে।

 

আরও পড়ুন: দু’দিন ধরে নিখোঁজ, ধানখেত থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার কৃষকের

বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, কুলতলির আইসি অর্ধেন্দু দে সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল রাস্তায়। নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকার মুখে পথ আটকান পুলিশকর্মীরা। এরপর গাড়ি থেকে নেমে আসেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। নওশাদ সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলে গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন এবং পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: জয়নগরে পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতনতা মূলক কর্মশালায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার

 

আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথে আইএসএফ বিধায়ক, সায়েন্স সিটির কাছে গ্রেফতার নওশাদ

নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘কি কারনে আমাকে ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি একজন জনপ্রতিনিধি মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর অধিকার আমার আছে। আমাকে লিখিত অর্ডার দিন তাহলে আমি ওই এলাকায় যাব না।’ নওশাদ সিদ্দিকী ওই এলাকায় আসার আগে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কান্তি গাঙ্গুলী,শমীক লাহিড়ী সহ একাধিক হেভিওয়েট বর্ষিয়ান বাম নেতা ওই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেন। তারাও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এরপর দফায় দফায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম নেতৃত্বের প্রতিনিধিরা।

 

সোমবার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের বামনগাছি এলাকা। খুনের ঘটনা কে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে। বামুনগাছির দলুয়াখাকি এলাকায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি এলাকার যে সকল বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে সে সকল গ্রামবাসীরা সবাই সিপিআইএম করে। সেই অপরাধে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর এদিন সন্ধ্যায় দলুয়াখাকির গৃহহীনদের নিয়ে জয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি, শমিক লাহিড়ী সহ একাধিক বাম নেতৃবৃন্দ। জয়নগর থানায় এসে জয়নগর সিআই দেবাঞ্জন সেনের সাথে বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন সুজন চক্রবর্তীরা।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জয়নগরে পুলিশি বাধায় নওশাদ সিদ্দিকী, পুলিশের সঙ্গে বচসা

আপডেট : ১৪ নভেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর: জয়নগরে পুলিশের বাধার মুখে এবার নওশাদ সিদ্দিকী। পুলিশের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তি। শুরু হয় উওেজনা। মঙ্গলবার জয়নগর থানার বামুনগাছির দলুয়াখাকি গ্রামে যান আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। গ্রামে ঢোকার আগে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন নওশাদ সিদ্দিকী। পুলিশের সঙ্গে কার্যত ধস্তাধস্তি ও বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকার মুখেই পুলিশ বাধা দেয় বাম প্রতিনিধিদলকে।

 

আরও পড়ুন: দু’দিন ধরে নিখোঁজ, ধানখেত থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার কৃষকের

বারুইপুর পুলিশ জেলার এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস, কুলতলির আইসি অর্ধেন্দু দে সরকারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল রাস্তায়। নওশাদ সিদ্দিকীর গাড়ি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢোকার মুখে পথ আটকান পুলিশকর্মীরা। এরপর গাড়ি থেকে নেমে আসেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আইএসএফ কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। নওশাদ সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলে গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে কথা বলেন এবং পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আরও পড়ুন: জয়নগরে পড়ুয়াদের নিয়ে সচেতনতা মূলক কর্মশালায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার

 

আরও পড়ুন: সন্দেশখালির পথে আইএসএফ বিধায়ক, সায়েন্স সিটির কাছে গ্রেফতার নওশাদ

নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘কি কারনে আমাকে ওই এলাকায় যেতে দেওয়া হচ্ছে না। আমি একজন জনপ্রতিনিধি মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর অধিকার আমার আছে। আমাকে লিখিত অর্ডার দিন তাহলে আমি ওই এলাকায় যাব না।’ নওশাদ সিদ্দিকী ওই এলাকায় আসার আগে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও কান্তি গাঙ্গুলী,শমীক লাহিড়ী সহ একাধিক হেভিওয়েট বর্ষিয়ান বাম নেতা ওই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করেন। তারাও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন। এরপর দফায় দফায় পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বাম নেতৃত্বের প্রতিনিধিরা।

 

সোমবার জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের বামনগাছি এলাকা। খুনের ঘটনা কে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়ে ওঠে। বামুনগাছির দলুয়াখাকি এলাকায় ২৫ থেকে ৩০টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি এলাকার যে সকল বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে সে সকল গ্রামবাসীরা সবাই সিপিআইএম করে। সেই অপরাধে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। আর এদিন সন্ধ্যায় দলুয়াখাকির গৃহহীনদের নিয়ে জয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে আসেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গাঙ্গুলি, শমিক লাহিড়ী সহ একাধিক বাম নেতৃবৃন্দ। জয়নগর থানায় এসে জয়নগর সিআই দেবাঞ্জন সেনের সাথে বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন সুজন চক্রবর্তীরা।