০৭ অগাস্ট ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ২১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চিনের সঙ্গে বড় চুক্তি সাক্ষর মালদ্বীপের, ভাবাচ্ছে নয়াদিল্লিকে

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার
  • / 172

নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি: চিনের সঙ্গে বড় চুক্তি সাক্ষর করল মালদ্বীপ। চিনের দক্ষিণ চিন সাগর ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট এবং মালদ্বীপের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে এই চুক্তি। সোমবার মালদ্বীপ সরকার ঘোষণা করেছে, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পর্যটন ও পরিবেশমন্ত্রী থোরিক ইব্রাহিম এতে স্বাক্ষর করেন। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট চিনের বৃহত্তম সামুদ্রিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির একটি। সংস্থাটি জাহাজের নকশা ও নির্মাণের কাজ করে।

সূত্রের খবর, এই চুক্তির অধীনে বেশকিছু ডিভাইস সমুদ্রের তলদেশ এবং সমুদ্র পৃষ্ঠে ইনস্টল করা হবে। এর ফলে ব্যাপক লাভবান হবে চিন। দক্ষিণ চীন সাগর ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির ফলে বাতাস, সমুদ্রের স্রোত, শব্দ, লবণাক্ততা ও তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারবে জিংপিং-এর দেশ। এই চুক্তির অধীনে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, সোনার সংকেত (শব্দ নেভিগেশন এবং রেঞ্জিংয়ের সংক্ষিপ্ত রূপ) রেকর্ডিং এবং পর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা। সোনার সমুদ্র অন্বেষণ এবং মানচিত্র তৈরির জন্য সহায়ক। এই চুক্তির মাধ্যমে চিন জীবিত এবং জড় বস্তুর শব্দ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এই ডিভাইসগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠে জাহাজ এবং সমুদ্রের নীচে সাবমেরিনও সনাক্ত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তির ফলে চিন তার মিত্রদের ব্যবহার করে আঞ্চলিক শত্রুদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে একই চুক্তি করেছিল মালদ্বীপ। তবে দ্বীপ রাষ্ট্রে মুহাম্মদ মুইজু ক্ষমতায় আসার পর ২০২৩ সালে ওই চুক্তি বাতিল করে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এদিকে চিনের সঙ্গে নয়া চুক্তি সাক্ষর করে ভারতকে বড় ধাক্কা দিয়েছে মুইজুর দেশ বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। এই চুক্তির ফলে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ চড়বে। বিশেষ করে লাক্ষাদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি। তাহলে কি ভারতের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে মুইজুর দেশ! ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে কি ফের ফাটল! চিনের সঙ্গে কি সখ্যতা বাড়াচ্ছে মালদ্বীপ! এই সমস্ত প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে সাউথ ব্লককে।

আরও পড়ুন: সন্তান জন্ম দিলেই মিলবে টাকা, জন্মহার বাড়াতে অনুদান দিচ্ছে শি জিনপিং-এর সরকার

আরও পড়ুন: করোনা পরবর্তী ভারতে একাকীত্ব বড় সমস্যা! শহুরে যুবক-যুবতীরা বেশি ভুগছেন একাকীত্বে! রিপোর্টে প্রকাশিত

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চিনের সঙ্গে বড় চুক্তি সাক্ষর মালদ্বীপের, ভাবাচ্ছে নয়াদিল্লিকে

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, সোমবার

নয়াদিল্লি, ২৪ ফেব্রুয়ারি: চিনের সঙ্গে বড় চুক্তি সাক্ষর করল মালদ্বীপ। চিনের দক্ষিণ চিন সাগর ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট এবং মালদ্বীপের পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে এই চুক্তি। সোমবার মালদ্বীপ সরকার ঘোষণা করেছে, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পর্যটন ও পরিবেশমন্ত্রী থোরিক ইব্রাহিম এতে স্বাক্ষর করেন। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চিন সাগর ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউট চিনের বৃহত্তম সামুদ্রিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির একটি। সংস্থাটি জাহাজের নকশা ও নির্মাণের কাজ করে।

সূত্রের খবর, এই চুক্তির অধীনে বেশকিছু ডিভাইস সমুদ্রের তলদেশ এবং সমুদ্র পৃষ্ঠে ইনস্টল করা হবে। এর ফলে ব্যাপক লাভবান হবে চিন। দক্ষিণ চীন সাগর ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির ফলে বাতাস, সমুদ্রের স্রোত, শব্দ, লবণাক্ততা ও তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারবে জিংপিং-এর দেশ। এই চুক্তির অধীনে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হল, সোনার সংকেত (শব্দ নেভিগেশন এবং রেঞ্জিংয়ের সংক্ষিপ্ত রূপ) রেকর্ডিং এবং পর্যবেক্ষণের সম্ভাবনা। সোনার সমুদ্র অন্বেষণ এবং মানচিত্র তৈরির জন্য সহায়ক। এই চুক্তির মাধ্যমে চিন জীবিত এবং জড় বস্তুর শব্দ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এই ডিভাইসগুলি সমুদ্রপৃষ্ঠে জাহাজ এবং সমুদ্রের নীচে সাবমেরিনও সনাক্ত করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই চুক্তির ফলে চিন তার মিত্রদের ব্যবহার করে আঞ্চলিক শত্রুদের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন: চতুর্থ স্তম্ভবের ওপর আঘাত, ভারতে বন্ধ হল রয়টার্সের এক্স অ্যাকাউন্ট

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে একই চুক্তি করেছিল মালদ্বীপ। তবে দ্বীপ রাষ্ট্রে মুহাম্মদ মুইজু ক্ষমতায় আসার পর ২০২৩ সালে ওই চুক্তি বাতিল করে দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। এদিকে চিনের সঙ্গে নয়া চুক্তি সাক্ষর করে ভারতকে বড় ধাক্কা দিয়েছে মুইজুর দেশ বলেই মনে করেছে ওয়াকিবহাল মহল। এই চুক্তির ফলে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনার পারদ চড়বে। বিশেষ করে লাক্ষাদ্বীপে অবস্থিত ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি নিয়ে সবথেকে বেশি চিন্তায় রয়েছে নয়াদিল্লি। তাহলে কি ভারতের থেকে মুখ ফেরাচ্ছে মুইজুর দেশ! ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে কি ফের ফাটল! চিনের সঙ্গে কি সখ্যতা বাড়াচ্ছে মালদ্বীপ! এই সমস্ত প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে সাউথ ব্লককে।

আরও পড়ুন: সন্তান জন্ম দিলেই মিলবে টাকা, জন্মহার বাড়াতে অনুদান দিচ্ছে শি জিনপিং-এর সরকার

আরও পড়ুন: করোনা পরবর্তী ভারতে একাকীত্ব বড় সমস্যা! শহুরে যুবক-যুবতীরা বেশি ভুগছেন একাকীত্বে! রিপোর্টে প্রকাশিত