০৩ নভেম্বর ২০২৫, সোমবার, ১৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রধানমন্ত্রী মোদির, ৮,৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন মণিপুরে

মারুফা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার
  • / 194

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০২৩ সালের পরে প্রথমবার মণিপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  রাজ্যে জাতিগত অশান্তি শুরু হওয়ার পর মণিপুরে প্রথমবারের মতো নরেন্দ্র মোদি। ইম্ফলে নামার পর মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার  ভাল্লা ও মুখ্যসচিব পুনীত কুমার গোয়েল মোদিকে স্বাগত জানান।

পরিকল্পনা অনুযায়ী মোদির মূলত মিজোরাম থেকে হেলিকপ্টারে  চুরাচাঁদপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে তিনি ইম্ফলে অবতরণ করেন। যার ফলে সেখান থেকে সড়কপথের মাধ্যমে কুকি সম্প্রদায় অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুরের দিকে রওনা দেন। সহিংসতার ক্ষেত্রে  সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে এই জেলাটিকে আপাতভাবে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে চুরাচাঁদপুর এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

আরও পড়ুন: কুকি মহিলাকে রকেট নিক্ষেপ সিআরপিএফ, কোর্ট জবাব চায় কেন্দ্রের

তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ইতিমধ্যেই দুর্গের বেশ কিছু অংশে  জল জমে গিয়েছে। আরও জানা গেছে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার জন্য এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোট ৮,৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করবেন। মৈতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আর তারপর থেকেই রাজ্যে সংঘাত তীব্র  আকার নেয়। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ঠিক আগেই তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন,  প্রধানমন্ত্রী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে যাননি। প্রায় ৮৬৪ দিন ধরে চলমান সহিংসতার প্রতি মোদি উদাসীন থেকেছেন।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

খাড়গের  অভিযোগ, এই ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। দেড় হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়াও ৬৭ হাজার মানুষ গৃহহীন  হয়েছিলেন। খাড়গে আরও জানিয়েছেন, মোদির সফর অনুতাপের প্রতীক  নয়, বরং এটি একটি স্বাগত অনুষ্ঠান মাত্র। তিনি আরও বলেন, ত্রাণ  শিবিরে এখনও হাজারো মানুষ রয়েছেন যারা দুর্দশায় ভুগছেন। অথচ  তাঁদের আর্তনাদ না শুনে, তার পরিবর্তে রোডশো আয়োজন করা হচ্ছে। এমনকি কংগ্রেস নেতার আরও অভিযোগ, এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ৪৬ বার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। কিন্তু মণিপুরের ক্ষতবিক্ষত মানুষের পাশে  দাঁড়াতে একদিনের জন্যও মণিপুরে যাননি।

আরও পড়ুন: আল্লাহ চাইলে শীঘ্রই পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাবে কাশ্মীর, আশাবাদী ফারুক আবদুল্লাহ 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রধানমন্ত্রী মোদির, ৮,৫০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন মণিপুরে

আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ২০২৩ সালের পরে প্রথমবার মণিপুর সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  রাজ্যে জাতিগত অশান্তি শুরু হওয়ার পর মণিপুরে প্রথমবারের মতো নরেন্দ্র মোদি। ইম্ফলে নামার পর মণিপুরের রাজ্যপাল অজয় কুমার  ভাল্লা ও মুখ্যসচিব পুনীত কুমার গোয়েল মোদিকে স্বাগত জানান।

পরিকল্পনা অনুযায়ী মোদির মূলত মিজোরাম থেকে হেলিকপ্টারে  চুরাচাঁদপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে প্রবল বর্ষণের কারণে তিনি ইম্ফলে অবতরণ করেন। যার ফলে সেখান থেকে সড়কপথের মাধ্যমে কুকি সম্প্রদায় অধ্যুষিত চুরাচাঁদপুরের দিকে রওনা দেন। সহিংসতার ক্ষেত্রে  সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হিসেবে এই জেলাটিকে আপাতভাবে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে চুরাচাঁদপুর এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

আরও পড়ুন: কুকি মহিলাকে রকেট নিক্ষেপ সিআরপিএফ, কোর্ট জবাব চায় কেন্দ্রের

তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ইতিমধ্যেই দুর্গের বেশ কিছু অংশে  জল জমে গিয়েছে। আরও জানা গেছে উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার জন্য এই সফরে প্রধানমন্ত্রী মোট ৮,৫০০ কোটি টাকা ব্যয় করবেন। মৈতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতির মর্যাদা দিয়েছিল মণিপুর হাইকোর্ট। আর তারপর থেকেই রাজ্যে সংঘাত তীব্র  আকার নেয়। অন্যদিকে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের ঠিক আগেই তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন,  প্রধানমন্ত্রী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মণিপুরে যাননি। প্রায় ৮৬৪ দিন ধরে চলমান সহিংসতার প্রতি মোদি উদাসীন থেকেছেন।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোর মুখে প্রধানমন্ত্রীর কলকাতা সফর উপলক্ষ্যে একাধিক রাস্তায় নিষেধাজ্ঞা জারি লালবাজারের

খাড়গের  অভিযোগ, এই ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। দেড় হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। এছাড়াও ৬৭ হাজার মানুষ গৃহহীন  হয়েছিলেন। খাড়গে আরও জানিয়েছেন, মোদির সফর অনুতাপের প্রতীক  নয়, বরং এটি একটি স্বাগত অনুষ্ঠান মাত্র। তিনি আরও বলেন, ত্রাণ  শিবিরে এখনও হাজারো মানুষ রয়েছেন যারা দুর্দশায় ভুগছেন। অথচ  তাঁদের আর্তনাদ না শুনে, তার পরিবর্তে রোডশো আয়োজন করা হচ্ছে। এমনকি কংগ্রেস নেতার আরও অভিযোগ, এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ৪৬ বার বিদেশ সফরে গিয়েছেন। কিন্তু মণিপুরের ক্ষতবিক্ষত মানুষের পাশে  দাঁড়াতে একদিনের জন্যও মণিপুরে যাননি।

আরও পড়ুন: আল্লাহ চাইলে শীঘ্রই পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা পাবে কাশ্মীর, আশাবাদী ফারুক আবদুল্লাহ