২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ইরাকে ১৩০০ বছরের পুরাতন উমাইয়া যুগের মসজিদের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

পুবের কলম
  • আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 24

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইরাকের দক্ষিণের জি কার প্রদেশের আল-রাফায়ি শহরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটি খুঁড়ে বের করেছেন উমাইয়া খেলাফতের সময়ের মসজিদ।মাটির মসজিদ। খেজুর গাছের কাঠামো।ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দল স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের সহায়তায় এই খননকাজ করে।মসজিদটির প্রস্থ আট মিটার (২৬ ফুট) ও দৈর্ঘ্য পাঁচ মিটার (১৬ ফুট)। মোট ২৫ জন মুসল্লি একত্রে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন বলে খননের সঙ্গে জড়িত প্রত্নতাত্ত্বিক দলটি জানিয়েছে ।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, মসজিদটি ৬০ হিজরী তথা ৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়েছিল।মাটির তৈরি মসজিদটি কালের প্রবাহে জলও বাতাসের সংস্পর্শে স্বাভাবিভাবেই ক্ষয়ে গিয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন বিভাগের প্রধান আলী শালকম মসজিদটির আবিষ্কারকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আবদুল রহমান আল হুদাইফি

তিনি জানান, ইসলামের প্রাথমিক যুগের মাটির নির্মিত এই মসজিদটি প্রাকৃতিক কারণে ক্ষয়ে যাওয়ায় এর থেকে বেশি কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়।ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘আমরা এর সম্পর্কে খুব কম তথ্য পেয়েছি যা প্রকাশ করছে, স্থাপনাটি ইসলামের সূচনালগ্নের।’

আরও পড়ুন: জমে উঠেছে জাকারিয়া স্ট্রিটের ঈদের বাজার!

আল রাফাই শহরের অনুসন্ধান ও খনন বিভাগের প্রধান আলি শালগাম ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ধরনের প্রাপ্তি। কারণ এটি সম্পূর্ণভাবে মাটির তৈরি এবং ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: মসজিদের লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি এবার বিহারেও পৌঁছাল

তিনি আরও বলেন, ইসলাম প্রচারের শুরুর সময় সম্পর্কে আমরা খুব কম তথ্য জানতে পেরেছি। পানি, বাতাস ও বৃষ্টির কারণে ক্ষয়ে যাওয়াতে ভবনটির কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। আরও কিছু পাওয়ার আশায় আছি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ইরাকে ১৩০০ বছরের পুরাতন উমাইয়া যুগের মসজিদের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা

আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : ইরাকের দক্ষিণের জি কার প্রদেশের আল-রাফায়ি শহরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটি খুঁড়ে বের করেছেন উমাইয়া খেলাফতের সময়ের মসজিদ।মাটির মসজিদ। খেজুর গাছের কাঠামো।ব্রিটিশ মিউজিয়ামের একটি প্রত্নতাত্ত্বিক দল স্থানীয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের সহায়তায় এই খননকাজ করে।মসজিদটির প্রস্থ আট মিটার (২৬ ফুট) ও দৈর্ঘ্য পাঁচ মিটার (১৬ ফুট)। মোট ২৫ জন মুসল্লি একত্রে এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারেন বলে খননের সঙ্গে জড়িত প্রত্নতাত্ত্বিক দলটি জানিয়েছে ।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, মসজিদটি ৬০ হিজরী তথা ৬৭৯ খ্রিস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়েছিল।মাটির তৈরি মসজিদটি কালের প্রবাহে জলও বাতাসের সংস্পর্শে স্বাভাবিভাবেই ক্ষয়ে গিয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক খনন বিভাগের প্রধান আলী শালকম মসজিদটির আবিষ্কারকে ‘গুরুত্বপূর্ণ ও বৃহৎ ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন: মসজিদে নববীর প্রধান ইমাম হলেন শেখ আবদুল রহমান আল হুদাইফি

তিনি জানান, ইসলামের প্রাথমিক যুগের মাটির নির্মিত এই মসজিদটি প্রাকৃতিক কারণে ক্ষয়ে যাওয়ায় এর থেকে বেশি কোনো তথ্য পাওয়া সম্ভব নয়।ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘আমরা এর সম্পর্কে খুব কম তথ্য পেয়েছি যা প্রকাশ করছে, স্থাপনাটি ইসলামের সূচনালগ্নের।’

আরও পড়ুন: জমে উঠেছে জাকারিয়া স্ট্রিটের ঈদের বাজার!

আল রাফাই শহরের অনুসন্ধান ও খনন বিভাগের প্রধান আলি শালগাম ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরাকি নিউজ এজেন্সিকে বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বড় ধরনের প্রাপ্তি। কারণ এটি সম্পূর্ণভাবে মাটির তৈরি এবং ইসলাম প্রচারের শুরুর দিকে এটি নির্মাণ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন: মসজিদের লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি এবার বিহারেও পৌঁছাল

তিনি আরও বলেন, ইসলাম প্রচারের শুরুর সময় সম্পর্কে আমরা খুব কম তথ্য জানতে পেরেছি। পানি, বাতাস ও বৃষ্টির কারণে ক্ষয়ে যাওয়াতে ভবনটির কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। আরও কিছু পাওয়ার আশায় আছি।