২৫ জুন ২০২৫, বুধবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মসজিদের লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি এবার বিহারেও পৌঁছাল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১ মে ২০২২, রবিবার
  • / 21

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মসজিদে লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের দেখানো পথেই এবার বিহারও।

একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেপি নেতা জনক রাম বলেন, যদি উত্তর প্রদেশে লাউডস্পিকার সংক্রান্ত আইন আসে, তাহলে বিহারেও এর প্রভাব পড়বে। নীতীশ কুমার সরকারের খনি ও ভূতত্ত্ব মন্ত্রী জনক রাম আরও বলেন, দেশের আইনের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নেই। দেশ ও রাজ্য আইন দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। তাই এই আইন যদি ইউপিতে আসে তবে এর প্রভাব বিহারেও পড়বে। কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতারা একসঙ্গে বসে এটি বিবেচনা করবেন এবং বিহারে এটি বাস্তবায়ন করবেন।”

আরও পড়ুন: পাঁচ বালককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, বিহারে প্রকাশ্যে নির্মমতা

কিন্তু জেডিইউ এবং বিরোধী আরজেডি ওই বিজেপি নেতার মন্তব্যের নিন্দা করে বলেছে বিহারে এমন কোনো ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও জনক রাম জানান, যেভাবে হিন্দুদের কোনও উৎসবের সময়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো কিংবা ডিজে বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ঠিক একইভাবে আজানের সময়ে মসজিদে লাউড স্পিকার বাজানোর ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জেডিইউ নেতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রাবণ কুমার বলেছেন, ধর্মীয় বিষয়ে বলপ্রয়োগ করা উচিত নয়। সব ধর্মকে সম্মান করা উচিত।”

আরও পড়ুন: বিহার নির্বাচন: ‘ইন্ডিয়া’-তে যোগ দিতে পারে ওয়াইসির মীম, সীমাঞ্চলে ২৪টি আসনের দাবি

অন্যদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, “সকল ধর্মকে সম্মান করা উচিত। বিজেপি সর্বদা সমাজে বিভাজনের রাজনীতি করে।” উল্লেখ্য, সবার আগে কর্নাটকে মসজিদে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি করা হয়। সেই ধারা বজায় রেখে একে একে দিল্লি, মহারাষ্ট্রেও এই প্রসঙ্গে গলা চড়াতে শুরু করেন অনেকে। মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়ক তো আবার আজান রুখতে মন্দিরের বাইরে হনুমান চালিশা বাজানোর নিদানও দেন বেশ কিছুদিন আগে। এবার সেই তালিকাতেই যোগ হল বিহারের নাম।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ আইন: প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলেন আইপিএস নুরুল হুদা

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মসজিদের লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি এবার বিহারেও পৌঁছাল

আপডেট : ১ মে ২০২২, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ মসজিদে লাউডস্পিকার সরানোর বিষয়টি নিয়ে উত্তরপ্রদেশের দেখানো পথেই এবার বিহারও।

একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজেপি নেতা জনক রাম বলেন, যদি উত্তর প্রদেশে লাউডস্পিকার সংক্রান্ত আইন আসে, তাহলে বিহারেও এর প্রভাব পড়বে। নীতীশ কুমার সরকারের খনি ও ভূতত্ত্ব মন্ত্রী জনক রাম আরও বলেন, দেশের আইনের চেয়ে বড় কোনো ধর্ম নেই। দেশ ও রাজ্য আইন দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে। তাই এই আইন যদি ইউপিতে আসে তবে এর প্রভাব বিহারেও পড়বে। কেন্দ্র ও রাজ্যের নেতারা একসঙ্গে বসে এটি বিবেচনা করবেন এবং বিহারে এটি বাস্তবায়ন করবেন।”

আরও পড়ুন: পাঁচ বালককে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, বিহারে প্রকাশ্যে নির্মমতা

কিন্তু জেডিইউ এবং বিরোধী আরজেডি ওই বিজেপি নেতার মন্তব্যের নিন্দা করে বলেছে বিহারে এমন কোনো ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও জনক রাম জানান, যেভাবে হিন্দুদের কোনও উৎসবের সময়ে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানো কিংবা ডিজে বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় ঠিক একইভাবে আজানের সময়ে মসজিদে লাউড স্পিকার বাজানোর ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জেডিইউ নেতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শ্রাবণ কুমার বলেছেন, ধর্মীয় বিষয়ে বলপ্রয়োগ করা উচিত নয়। সব ধর্মকে সম্মান করা উচিত।”

আরও পড়ুন: বিহার নির্বাচন: ‘ইন্ডিয়া’-তে যোগ দিতে পারে ওয়াইসির মীম, সীমাঞ্চলে ২৪টি আসনের দাবি

অন্যদিকে বিধানসভায় বিরোধী দলের নেতা তেজস্বী যাদব বলেছেন, “সকল ধর্মকে সম্মান করা উচিত। বিজেপি সর্বদা সমাজে বিভাজনের রাজনীতি করে।” উল্লেখ্য, সবার আগে কর্নাটকে মসজিদে লাউড স্পিকার ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি করা হয়। সেই ধারা বজায় রেখে একে একে দিল্লি, মহারাষ্ট্রেও এই প্রসঙ্গে গলা চড়াতে শুরু করেন অনেকে। মহারাষ্ট্রের এক বিজেপি বিধায়ক তো আবার আজান রুখতে মন্দিরের বাইরে হনুমান চালিশা বাজানোর নিদানও দেন বেশ কিছুদিন আগে। এবার সেই তালিকাতেই যোগ হল বিহারের নাম।

আরও পড়ুন: ওয়াকফ আইন: প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করলেন আইপিএস নুরুল হুদা