মাতৃত্বকালীন মৃত্যুতে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতিতে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণে স্বাস্থ্য ভবনকে নির্দেশ নবান্নের

- আপডেট : ৮ অগাস্ট ২০২২, সোমবার
- / 29
পুবের কলম প্রতিবেদকঃ মাতৃত্বকালীন মৃত্যুতে কিছু নির্দিষ্ট সরকারি ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ নবান্ন। রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে মুখ্য সচিবের পরামর্শ তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন জেলার জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেছিল নবান্ন।
মূলত এই বৈঠকের বিষয়বস্তু ছিল কিভাবে মাতৃত্বকালীন মৃত্যু আরও কমিয়ে আনা যায়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে প্রত্যেক জেলাকে নির্দিষ্ট গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে এই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যে, বৈঠক হয়েছিল সেখানে বিভিন্ন জেলা থেকে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে নবান্ন। এক্ষেত্রে প্রত্যেক জেলার জেলাশাসকের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, মৃত্যুর ঘটনাগুলি ঘটেছে, তার কারণ কি।
সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের একটি জেলা থেকে সেই জেলার জেলাশাসকের যে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন তাতে নড়ে চড়ে বসে নবান্ন। কারণ ওই রিপোর্টে দেখা যায়, এখনও পর্যন্ত সেখানে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর সংখ্যা ১২। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, জেলাশাসক জি রিপোর্ট দিয়েছেন তাতে স্পষ্টতই দেখানো হয়েছে কিছু চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আর এই রিপোর্ট হাতে আসতেই মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন এই ঘটনা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না। কি ধরনের গাফিলতির ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করতে হবে। যারা এই গাফিলতির সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এক্ষেত্রে মুখ্য সচিব লিখেছেন, এদের বিরুদ্ধে যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া যায়, তাহলে মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর ক্ষেত্রে গাফিলতির ঘটনা একটা একাডেমিক প্র্যাকটিসে পরিণত হবে। অতএব তার নির্দেশ মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর ঘটনায় যদি কোনও চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর গাফিলতির অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।