১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মী ভাণ্ডার থেকে রূপান্তরিত হয়ে বার্ধক্য ভাতার সুযোগ পাচ্ছেন ৬ লক্ষের বেশি মহিলা: শশী পাঁজা

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার
  • / 57

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২০২৩ সাল থেকে লক্ষীর ভাণ্ডারের উপভোক্তারা ৬০ পেরোলেই সরাসরি বার্ধক্য ভাতার জন্যই নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রায় ছয় লক্ষ ছাড়িয়েছে শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা জানালেন রাজ্যের নারী শিশু এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানার প্রশ্নের জবাবে বিধানসভাকে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৯৫ জন লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে সরাসরি বার্ধক্য ভাতার জন্য রূপান্তরিত উপভোক্তা তালিকায় গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের জয়বাংলা পোর্টালে এদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় গিয়েছেন ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৩৭ জন। লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে তপশিলি বন্ধুতে সুবিধা পাচ্ছেন ৪১ হাজার ৮৯২ জন। লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে জয় জোহার পাচ্ছেন ৬১৬৬ জন।

এই মুহূর্তে রাজ্যে সামগ্রিকভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকের সংখ্যা, দু কোটি কুড়ি লক্ষের বেশি। এ বছর ১০ ই জুন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৬১৫ কোটি টাকার বেশি লক্ষীর ভাণ্ডার খাতে খরচ করেছে রাজ্য। আগস্ট ২০২১ থেকে শুরু হওয়া আটটি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে উপভোক্তারা লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছিল।

এর বেশিরভাগ সংখ্যক মহিলারা এখন এই লক্ষী ভাণ্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যখন লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হয়েছিল তখন সাধারণ মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং প্রজাতিভুক্ত মহিলাদের দেওয়া হতো হাজার টাকা। এখন সাধারণ মহিলারা লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পান হাজার টাকা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা এই প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে পাল বারোশো টাকা করে।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

লক্ষ্মী ভাণ্ডার থেকে রূপান্তরিত হয়ে বার্ধক্য ভাতার সুযোগ পাচ্ছেন ৬ লক্ষের বেশি মহিলা: শশী পাঁজা

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ২০২৩ সাল থেকে লক্ষীর ভাণ্ডারের উপভোক্তারা ৬০ পেরোলেই সরাসরি বার্ধক্য ভাতার জন্যই নথিভুক্ত হয়ে যাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত এই সংখ্যা প্রায় ছয় লক্ষ ছাড়িয়েছে শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে কথা জানালেন রাজ্যের নারী শিশু এবং সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানার প্রশ্নের জবাবে বিধানসভাকে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত রাজ্যে ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৯৫ জন লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে সরাসরি বার্ধক্য ভাতার জন্য রূপান্তরিত উপভোক্তা তালিকায় গিয়েছেন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের জয়বাংলা পোর্টালে এদের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্য ভাতায় গিয়েছেন ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৮৩৭ জন। লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে তপশিলি বন্ধুতে সুবিধা পাচ্ছেন ৪১ হাজার ৮৯২ জন। লক্ষীর ভাণ্ডার থেকে জয় জোহার পাচ্ছেন ৬১৬৬ জন।

এই মুহূর্তে রাজ্যে সামগ্রিকভাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকের সংখ্যা, দু কোটি কুড়ি লক্ষের বেশি। এ বছর ১০ ই জুন পর্যন্ত ৬৩ হাজার ৬১৫ কোটি টাকার বেশি লক্ষীর ভাণ্ডার খাতে খরচ করেছে রাজ্য। আগস্ট ২০২১ থেকে শুরু হওয়া আটটি দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে উপভোক্তারা লক্ষীর ভাণ্ডারের জন্য আবেদন করেছিল।

এর বেশিরভাগ সংখ্যক মহিলারা এখন এই লক্ষী ভাণ্ডারের সুবিধা পাচ্ছেন। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে যখন লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু হয়েছিল তখন সাধারণ মহিলাদের জন্য ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং প্রজাতিভুক্ত মহিলাদের দেওয়া হতো হাজার টাকা। এখন সাধারণ মহিলারা লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে পান হাজার টাকা, তপশিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলারা এই প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে পাল বারোশো টাকা করে।