২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাতারের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি অর্থ নিয়ে বিতর্কে প্রিন্স চার্লস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার
  • / 40

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিতর্কে জড়ালেন ব্রিটেনের প্রিন্স অব ওয়েলস। অভিযোগ উঠেছে, প্রিন্স চার্লস তাঁর দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য কাতারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিমের কাছ থেকে নগদ ১ মিলিয়ন ইউরো-সহ একটি স্যুটকেস গ্রহণ করেছেন। কাতারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সবমিলিয়ে তিনটি নগদ অনুদান নিয়েছেন চার্লস, যার পরিমাণ ৩ মিলিয়ন ইউরো। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তিনি এই অর্থ নেন। ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে এই অনুদান দিয়েছিলেন কাতারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। যদিও লন্ডনে চার্লসের রাজকীয় বাসভবন ক্লিয়ারেন্স হাউজ জানিয়েছে, তিনটি অনুদানই চার্লসের দাতব্য ফাউন্ডেশন ‘প্রিন্স ওয়েলস’স চ্যারিটেবল ফান্ডকে দেওয়া হয়েছিল এবং সব নিয়ম মেনেই তা করা হয়েছে। চার্লস অনুদানের বিনিময়ে কোনও প্রস্তাব দেননি। চার্লসের হিসাবরক্ষকরা বলছেন, সৎ উদ্দেশ্যে নগদ অর্থ নেওয়া বৈধ অনুদান হিসেবেই বিবেচিত। কিন্তু রাজকীয় উপঢৌকন নীতি অনুযায়ী, রাজপরিবারের সদস্যরা কখনোই নগদ অর্থ নিতে পারেন না। তবে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চেক নেওয়ার সুযোগ ছিল তার। যদিও একজন বিদেশি ধনকুবেরের কাছ থেকে স্যুটকেস ভর্তি ইউরো নেওয়ায় চালর্সের বিচার-বিবেচনাবোধ এবং বিচক্ষণতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। রাজকীয় সম্মাননার বিনিময়ে ঘুষ নিতেন চার্লস, সম্প্রতি এমন অভিযাগের ভিত্তিতে তদন্ত কাজ চলছিল। এর মধ্যেই কাতারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অনুদান নেওয়ার ঘটনা সামনে এলো।

আরও পড়ুন: কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কাতারের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি অর্থ নিয়ে বিতর্কে প্রিন্স চার্লস

আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ বিতর্কে জড়ালেন ব্রিটেনের প্রিন্স অব ওয়েলস। অভিযোগ উঠেছে, প্রিন্স চার্লস তাঁর দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য কাতারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হামাদ বিন জসিমের কাছ থেকে নগদ ১ মিলিয়ন ইউরো-সহ একটি স্যুটকেস গ্রহণ করেছেন। কাতারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সবমিলিয়ে তিনটি নগদ অনুদান নিয়েছেন চার্লস, যার পরিমাণ ৩ মিলিয়ন ইউরো। ২০১১ সাল থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তিনি এই অর্থ নেন। ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে এই অনুদান দিয়েছিলেন কাতারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। যদিও লন্ডনে চার্লসের রাজকীয় বাসভবন ক্লিয়ারেন্স হাউজ জানিয়েছে, তিনটি অনুদানই চার্লসের দাতব্য ফাউন্ডেশন ‘প্রিন্স ওয়েলস’স চ্যারিটেবল ফান্ডকে দেওয়া হয়েছিল এবং সব নিয়ম মেনেই তা করা হয়েছে। চার্লস অনুদানের বিনিময়ে কোনও প্রস্তাব দেননি। চার্লসের হিসাবরক্ষকরা বলছেন, সৎ উদ্দেশ্যে নগদ অর্থ নেওয়া বৈধ অনুদান হিসেবেই বিবেচিত। কিন্তু রাজকীয় উপঢৌকন নীতি অনুযায়ী, রাজপরিবারের সদস্যরা কখনোই নগদ অর্থ নিতে পারেন না। তবে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চেক নেওয়ার সুযোগ ছিল তার। যদিও একজন বিদেশি ধনকুবেরের কাছ থেকে স্যুটকেস ভর্তি ইউরো নেওয়ায় চালর্সের বিচার-বিবেচনাবোধ এবং বিচক্ষণতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। রাজকীয় সম্মাননার বিনিময়ে ঘুষ নিতেন চার্লস, সম্প্রতি এমন অভিযাগের ভিত্তিতে তদন্ত কাজ চলছিল। এর মধ্যেই কাতারের কাছ থেকে বড় অঙ্কের অনুদান নেওয়ার ঘটনা সামনে এলো।

আরও পড়ুন: কাতারের সঙ্গে ২৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি ঘোষণা ট্রাম্পের