০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজস্থানে গণধর্ষণ নাবালিকাকে, সামাজিক মাধ্যমে গোপন ভিডিও ভাইরাল

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 96

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মর্মান্তিক ঘটনা! নাবালিকাকে আটজন মিলে গণধর্ষণ! আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায়ের প্রচেষ্টা। সেই টাকা না মেলাই আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের অলওয়ার জেলায়। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বয়সই কুড়ি থেকে তিরিশের মধ্যে এমন টাই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের কিষাণগঞ্জ বাস পুলিশ স্টেশন এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। বয়স ১৬ বছর। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে।

আরও পড়ুন: রাজস্থানে শ্রমিক খুন, কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন মুর্শিদাবাদের ইসমাইল

অভিযুক্তরা মেয়েটির গোপন ছবি তুলে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, তার পর সেই ছবি দেখিয়ে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে দিনের পর দিন। বলা হয়েছে, টাকা না দিলে গোপন ছবি তাঁরা ফাঁস করে দেবেন। যেমন বলা তেমন কর্ম। টাকা না মেলায় রাগের বশে ছবির ভাইরাল করে দেয় ওই যুবক।

আরও পড়ুন: রবিবার কসবার গণধর্ষণের প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের মিছিল

উল্লেখ্য, বুধবার নাবালিকার দাদা স্থানীয় পুলিশের কাছে গণধর্ষণ ও হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করেছে।এদিন পুলিশের কাছে তিনি জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২১ শেষের দিকে। সেদিন সাহিল নামক একটা ছেলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে রীতিমত মেয়েটিকে ধমকায়। তারা বলে তার গোপন ভিডিও তাদের হাতে রয়েছে । ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও করে। মূল অভিযুক্ত সাহিল এবং তাঁর বন্ধুরা এর পর মেয়েটিকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিয়ো বানানো হয়। তারপর শুরু হয় হুমকির পর হুমকি। এগুলো বন্ধ করতে মেয়েটির পরিবার দফায় দফায় টাকাও দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার ‘ল কলেজে গণধর্ষণ! গ্রেফতার ৩ জন

এই ঘটনায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।খুব শীঘ্রই দোষীরা শাস্তি পাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তবে অভিযুক্তদের কাউকেই এখনও ধরতে পারেন নি পুলিশ। তারা এখনও অধরা রয়েছে বলেই খবর । তাদের খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।

 

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজস্থানে গণধর্ষণ নাবালিকাকে, সামাজিক মাধ্যমে গোপন ভিডিও ভাইরাল

আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মর্মান্তিক ঘটনা! নাবালিকাকে আটজন মিলে গণধর্ষণ! আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায়ের প্রচেষ্টা। সেই টাকা না মেলাই আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের অলওয়ার জেলায়। অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বয়সই কুড়ি থেকে তিরিশের মধ্যে এমন টাই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজস্থানের কিষাণগঞ্জ বাস পুলিশ স্টেশন এলাকার বাসিন্দা ওই নাবালিকা। বয়স ১৬ বছর। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সে।

আরও পড়ুন: রাজস্থানে শ্রমিক খুন, কফিনবন্দি হয়ে ফিরছেন মুর্শিদাবাদের ইসমাইল

অভিযুক্তরা মেয়েটির গোপন ছবি তুলে নিয়েছিলেন বলে দাবি করেছে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ, তার পর সেই ছবি দেখিয়ে মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেল করা হয়েছে দিনের পর দিন। বলা হয়েছে, টাকা না দিলে গোপন ছবি তাঁরা ফাঁস করে দেবেন। যেমন বলা তেমন কর্ম। টাকা না মেলায় রাগের বশে ছবির ভাইরাল করে দেয় ওই যুবক।

আরও পড়ুন: রবিবার কসবার গণধর্ষণের প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের মিছিল

উল্লেখ্য, বুধবার নাবালিকার দাদা স্থানীয় পুলিশের কাছে গণধর্ষণ ও হুমকি দেওয়ার মামলা রুজু করেছে।এদিন পুলিশের কাছে তিনি জানান, ঘটনার সূত্রপাত হয় ২০২১ শেষের দিকে। সেদিন সাহিল নামক একটা ছেলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে রীতিমত মেয়েটিকে ধমকায়। তারা বলে তার গোপন ভিডিও তাদের হাতে রয়েছে । ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ ও করে। মূল অভিযুক্ত সাহিল এবং তাঁর বন্ধুরা এর পর মেয়েটিকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিয়ো বানানো হয়। তারপর শুরু হয় হুমকির পর হুমকি। এগুলো বন্ধ করতে মেয়েটির পরিবার দফায় দফায় টাকাও দিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ কলকাতার ‘ল কলেজে গণধর্ষণ! গ্রেফতার ৩ জন

এই ঘটনায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।খুব শীঘ্রই দোষীরা শাস্তি পাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তবে অভিযুক্তদের কাউকেই এখনও ধরতে পারেন নি পুলিশ। তারা এখনও অধরা রয়েছে বলেই খবর । তাদের খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।