১৯ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

West Bengal SSC recruitment case: চাকরি খুইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ক্যানিং-র স্কুল শিক্ষিকার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার
  • / 276

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : এবার আত্মহত্যার চেষ্টা এক স্কুল শিক্ষিকার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি যেতেই পাওনাদাররা রীতিমতো জুলুম শুরু করেছিল বাড়িতে। চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত ক্যানিংয়ের এক শিক্ষিকার। সুইসাইড নোটের ছত্রেছত্রে সমস্যার কথা লিখেছেন তিনি। ক্ষমা চেয়েছেন বাবা-মা ও প্রেমিকের কাছে।তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম রুম্পা সিং।মেদিনীপুরের বাসিন্দা তিনি।চাকরি করতেন ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনি হাইস্কুলে। ইতিহাসের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি।২০১৬ সালের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন রুম্পা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে একাই ক্যানিংয়ের নবপল্লি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্ভব নয়, জানিয়ে দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে খানাখন্দ রাস্তা মেরামত করলো ট্রাফিক পুলিশ

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিতেই ভেঙে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে বাড়ির মালিক বুঝতে পারেন, কিছু সমস্যা হয়েছে। এরপরই ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হন রুম্পা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।ঘর থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানেই নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন রুম্পা। রুম্পাদেবী লিখেছেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে চেয়ে ছিলেন।শূন্য থেকে শুরু করে ছিলেন। জীবনে নতুন মানুষ এসেছিলেন। মা-বাবা, প্রেমিককে নিয়ে সময় কাটলে ও মাথায় দেনা ছিল অনেক। চাকরি যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই নাকি পাওনাদাররা বাড়িতে হামলা শুরু করেছিলেন। তাঁরা তখনই পাওনা ফেরতের দাবি করেন বলে অভিযোগ। একে চাকরি হারানোর যন্ত্রণা, তার উপর পাওনাদারের চাপ, সবমিলিয়ে প্রবল মানসিক চাপে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চিঠিতে লিখেছেন কয়েক জনের নাম ও ফোন নম্বর।

আরও পড়ুন: মহাসমারোহে পালিত হল আদিবাসী করম উৎসব

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে আয়োজিত ‘SIR’ আলোচনা সভা থেকে গর্জে উঠলো সংখ্যালঘু পরিষদ

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

West Bengal SSC recruitment case: চাকরি খুইয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ক্যানিং-র স্কুল শিক্ষিকার

আপডেট : ৪ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায় : এবার আত্মহত্যার চেষ্টা এক স্কুল শিক্ষিকার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি যেতেই পাওনাদাররা রীতিমতো জুলুম শুরু করেছিল বাড়িতে। চাপ সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত ক্যানিংয়ের এক শিক্ষিকার। সুইসাইড নোটের ছত্রেছত্রে সমস্যার কথা লিখেছেন তিনি। ক্ষমা চেয়েছেন বাবা-মা ও প্রেমিকের কাছে।তবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই শিক্ষিকা।বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম রুম্পা সিং।মেদিনীপুরের বাসিন্দা তিনি।চাকরি করতেন ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনি হাইস্কুলে। ইতিহাসের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি।২০১৬ সালের প্যানেলের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন রুম্পা। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর থেকে একাই ক্যানিংয়ের নবপল্লি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।

আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্ভব নয়, জানিয়ে দিলেন এসএসসি চেয়ারম্যান

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে খানাখন্দ রাস্তা মেরামত করলো ট্রাফিক পুলিশ

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিতেই ভেঙে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে বাড়ির মালিক বুঝতে পারেন, কিছু সমস্যা হয়েছে। এরপরই ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার হন রুম্পা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ক্যানিং হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।ঘর থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোট। সেখানেই নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন রুম্পা। রুম্পাদেবী লিখেছেন, প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে নিজেকে গুছিয়ে নিতে চেয়ে ছিলেন।শূন্য থেকে শুরু করে ছিলেন। জীবনে নতুন মানুষ এসেছিলেন। মা-বাবা, প্রেমিককে নিয়ে সময় কাটলে ও মাথায় দেনা ছিল অনেক। চাকরি যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই নাকি পাওনাদাররা বাড়িতে হামলা শুরু করেছিলেন। তাঁরা তখনই পাওনা ফেরতের দাবি করেন বলে অভিযোগ। একে চাকরি হারানোর যন্ত্রণা, তার উপর পাওনাদারের চাপ, সবমিলিয়ে প্রবল মানসিক চাপে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। চিঠিতে লিখেছেন কয়েক জনের নাম ও ফোন নম্বর।

আরও পড়ুন: মহাসমারোহে পালিত হল আদিবাসী করম উৎসব

আরও পড়ুন: ক্যানিংয়ে আয়োজিত ‘SIR’ আলোচনা সভা থেকে গর্জে উঠলো সংখ্যালঘু পরিষদ