১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একশো দিনের প্রকল্প মামলা, সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি ২৭ অক্টোবর

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার
  • / 73

মোল্লা জসিমউদ্দিন: সোমবার রাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্প মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।

ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, -‘চলতি মাসেই এই মামলার শুনানি হবে। সোমবার ১০০ দিনের কাজের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর এই মামলাটি শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: এসএসসির গ্রুপ সি ও ডি মামলায় হস্তক্ষেপ করলো না সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। অভিযোগ, এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারদের বঞ্চিত করে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

আরও পড়ুন: সারদা মামলায় রাজীবের জামিন প্রশ্নে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট

এমনই নানা যুক্তিতে এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।গত জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ১০০ দিনের কাজ আবার শুরু করতে হবে।

আরও পড়ুন: কবে ফিরবে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা? চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত জানাতে ডেডলাইন শীর্ষ আদালতের

বদলে দুর্নীতি রুখতে রাজ্য সরকারকে যে কোনও শর্ত দিতে পারবে কেন্দ্র। তবে গোটা প্রকল্প বন্ধ রাখা যাবে না’। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -’যাঁরা কাজ করতে পারছেন না বা কাজ করেও যাঁরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের কেন ভুগতে হবে? প্রয়োজনে যে চার জেলা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই জেলা বাদ দিয়ে বাকি অংশে ১০০ দিনের কাজ চালু করা হোক’।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

একশো দিনের প্রকল্প মামলা, সুপ্রিম কোর্টে ফের শুনানি ২৭ অক্টোবর

আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার

মোল্লা জসিমউদ্দিন: সোমবার রাজ্যে ১০০ দিনের প্রকল্প মামলার শুনানি পিছিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিক্রম নাথ এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ।

ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, -‘চলতি মাসেই এই মামলার শুনানি হবে। সোমবার ১০০ দিনের কাজের মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭ অক্টোবর এই মামলাটি শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: এসএসসির গ্রুপ সি ও ডি মামলায় হস্তক্ষেপ করলো না সুপ্রিম কোর্ট

রাজ্যে গত তিন বছর ধরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে রয়েছে। অভিযোগ, এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা কেন্দ্রীয় সরকার আটকে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের দাবি, পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রের দেওয়া ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত জব কার্ড হোল্ডারদের বঞ্চিত করে ওই টাকা পাঠানো হয়েছে অন্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

আরও পড়ুন: সারদা মামলায় রাজীবের জামিন প্রশ্নে সিবিআইয়ের ভূমিকায় বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট

এমনই নানা যুক্তিতে এ রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র।গত জুন মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায় দাসের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ১০০ দিনের কাজ আবার শুরু করতে হবে।

আরও পড়ুন: কবে ফিরবে পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা? চার সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রকে সিদ্ধান্ত জানাতে ডেডলাইন শীর্ষ আদালতের

বদলে দুর্নীতি রুখতে রাজ্য সরকারকে যে কোনও শর্ত দিতে পারবে কেন্দ্র। তবে গোটা প্রকল্প বন্ধ রাখা যাবে না’। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, -’যাঁরা কাজ করতে পারছেন না বা কাজ করেও যাঁরা প্রাপ্য টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের কেন ভুগতে হবে? প্রয়োজনে যে চার জেলা থেকে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেই জেলা বাদ দিয়ে বাকি অংশে ১০০ দিনের কাজ চালু করা হোক’।