২৩ জুন ২০২৫, সোমবার, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুমূর্ষু প্রসূতিকে নিজের রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচালেন খোদ চিকিৎসক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 32

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসক দেবাশিস মিশ্র। এক প্রসূতিকে রক্তদান করে সবার প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেন চিকিৎসক। উল্লেখ্য, এক প্রসূতির পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা হওয়ায় তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমসে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা করে চিকিৎসকরা দেখেন ওই প্রসূতির একটোপিক প্রেগনেন্সি হয়েছে, এবং সেটি ফেটে গেছে। এমত অবস্থায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে জরুরি অবস্থায় রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রসূতির রক্তের গ্রুপ বি নেগেটিভ হওয়ায় শুরু হয় সমস্যা। মহিলার জন্য প্রয়োজনীয় B-Ve রক্ত ​​দান করতে পারে এমন কোনও আত্মীয় ছিল না। একই সময়ে, B-Ve রক্ত ​​ব্লাড ব্যাঙ্কে পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার হাতে শংসাপত্র, তুলে দিলেন স্বাস্থ্যসচিব

বি নেগেটিভ রক্ত খুবই দুর্লভ। ভুবনেশ্বর এইমসে এক অন্তসত্ত্বা মহিলার এই রক্তের প্রয়োজন পরে। মহিলার শারীরিক অবস্থার এমনই অবনতি ঘটতে থাকে, যে সময়ে রক্ত না পেলে মহিলাকে বাঁচানো বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। এই ঘটনা কানে যায় চিকিৎসক দেবাশিস মিশ্রর। একটুও দেরি না করে নিজেই রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেবাশিস। তাঁর এই সিদ্ধান্তে প্রাণ বাঁচে মহিলার।

আরও পড়ুন: R.G. Kar মামলায় গতি! ৭ জন নার্সকে তলব সিবিআইয়ের

 

আরও পড়ুন: ফার্মা কোম্পানিগুলির কাছ থেকে উপহার নিতে পারবেন না চিকিৎসকেরা, একগুচ্ছ নিয়ম জারি এনএমসি-র

এইমস ভুবনেশ্বরে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিকিৎসক ও প্রফেসর আশুতোষ বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একজন ডাক্তারের দায়িত্ব হল রোগীকে সুস্থ করে তোলা। তবে দেবাশিস যে শুধু ভাল চিকিৎসক তা নয়,  ভাল মানুষও বটে। তিনি আরও জানান, ওই মহিলা এখন একেবারে সুস্থ। রবিবার তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুমূর্ষু প্রসূতিকে নিজের রক্ত দিয়ে প্রাণে বাঁচালেন খোদ চিকিৎসক

আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দিয়ে প্রাণ বাঁচালেন ভুবনেশ্বর এইমসের চিকিৎসক দেবাশিস মিশ্র। এক প্রসূতিকে রক্তদান করে সবার প্রশংসা কুড়িয়ে নিলেন চিকিৎসক। উল্লেখ্য, এক প্রসূতির পেটে প্রচণ্ড ব্যাথা হওয়ায় তাঁকে ভুবনেশ্বর এইমসে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসা করে চিকিৎসকরা দেখেন ওই প্রসূতির একটোপিক প্রেগনেন্সি হয়েছে, এবং সেটি ফেটে গেছে। এমত অবস্থায় প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকলে জরুরি অবস্থায় রক্তের প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রসূতির রক্তের গ্রুপ বি নেগেটিভ হওয়ায় শুরু হয় সমস্যা। মহিলার জন্য প্রয়োজনীয় B-Ve রক্ত ​​দান করতে পারে এমন কোনও আত্মীয় ছিল না। একই সময়ে, B-Ve রক্ত ​​ব্লাড ব্যাঙ্কে পাওয়া যায়নি।

 

আরও পড়ুন: আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবার হাতে শংসাপত্র, তুলে দিলেন স্বাস্থ্যসচিব

বি নেগেটিভ রক্ত খুবই দুর্লভ। ভুবনেশ্বর এইমসে এক অন্তসত্ত্বা মহিলার এই রক্তের প্রয়োজন পরে। মহিলার শারীরিক অবস্থার এমনই অবনতি ঘটতে থাকে, যে সময়ে রক্ত না পেলে মহিলাকে বাঁচানো বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। এই ঘটনা কানে যায় চিকিৎসক দেবাশিস মিশ্রর। একটুও দেরি না করে নিজেই রক্ত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেবাশিস। তাঁর এই সিদ্ধান্তে প্রাণ বাঁচে মহিলার।

আরও পড়ুন: R.G. Kar মামলায় গতি! ৭ জন নার্সকে তলব সিবিআইয়ের

 

আরও পড়ুন: ফার্মা কোম্পানিগুলির কাছ থেকে উপহার নিতে পারবেন না চিকিৎসকেরা, একগুচ্ছ নিয়ম জারি এনএমসি-র

এইমস ভুবনেশ্বরে এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর চিকিৎসক ও প্রফেসর আশুতোষ বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, একজন ডাক্তারের দায়িত্ব হল রোগীকে সুস্থ করে তোলা। তবে দেবাশিস যে শুধু ভাল চিকিৎসক তা নয়,  ভাল মানুষও বটে। তিনি আরও জানান, ওই মহিলা এখন একেবারে সুস্থ। রবিবার তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়েছে হাসপাতাল থেকে।