১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সউদি বাদশাহকে তেহরানে আমন্ত্রণ জানালেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 35

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার সউদি আরবের বাদশাহ সালমানকে তেহরানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ সাত বছর পর সম্পর্ক স্থাপনের পর উভয় পক্ষ থেকেই একের পর এক ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে রমযানের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে সরাসরি বৈঠক আয়োজিত হয়েছে।

এছাড়া এর আগে সউদি বাদশাহ ইরানের প্রেসিডেন্টকে রিয়াদে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এখন সউদি বাদশাহকে ইরান সফরে আমন্ত্রণ জানাল তেহরান। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি এই আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সউদির বাদশাহকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

এছাড়া আগামী ৯ মের মধ্যে দুই দেশ একে অপরের রাজধানীতে কূটনৈতিক মিশন চালু করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। ইরানি মুসল্লিরা যাতে এবারের পবিত্র হজে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য উভয় দেশ সময়মতো দূতাবাসগুলো সক্রিয় করার ওপর জোর দিচ্ছে। এরইমধ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দূতাবাস ও কনস্যুলেট পরিদর্শন করেছেন।

এর আগে অনেকটা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যেকার সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা। গত ৯ মার্চ দুই দেশ সম্মত হয় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করতে। বিষয়টি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে গত ৬ এপ্রিল ইরান ও সউদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বেজিংয়ে বৈঠক করেন। দূতাবাস পুনরায় চালুর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আবারও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। আর এই পুরো বিষয়টি হয়েছে চীনের মধ্যস্থতায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে ক্রমশ চিনের দিকে ঝুঁকছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় বেজিং-এর এই সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সউদি বাদশাহকে তেহরানে আমন্ত্রণ জানালেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: এবার সউদি আরবের বাদশাহ সালমানকে তেহরানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘ সাত বছর পর সম্পর্ক স্থাপনের পর উভয় পক্ষ থেকেই একের পর এক ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে রমযানের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বিদেশমন্ত্রীদের মধ্যে সরাসরি বৈঠক আয়োজিত হয়েছে।

এছাড়া এর আগে সউদি বাদশাহ ইরানের প্রেসিডেন্টকে রিয়াদে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় এখন সউদি বাদশাহকে ইরান সফরে আমন্ত্রণ জানাল তেহরান। ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি এই আমন্ত্রণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সউদির বাদশাহকে তেহরান সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।

এছাড়া আগামী ৯ মের মধ্যে দুই দেশ একে অপরের রাজধানীতে কূটনৈতিক মিশন চালু করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। ইরানি মুসল্লিরা যাতে এবারের পবিত্র হজে অংশ নিতে পারেন, সে জন্য উভয় দেশ সময়মতো দূতাবাসগুলো সক্রিয় করার ওপর জোর দিচ্ছে। এরইমধ্যে উভয় দেশের প্রতিনিধিরা নিজ নিজ দূতাবাস ও কনস্যুলেট পরিদর্শন করেছেন।

এর আগে অনেকটা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যেকার সম্পর্ক স্থাপনের আলোচনা। গত ৯ মার্চ দুই দেশ সম্মত হয় কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় স্থাপন করতে। বিষয়টি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে গত ৬ এপ্রিল ইরান ও সউদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বেজিংয়ে বৈঠক করেন। দূতাবাস পুনরায় চালুর আগে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আবারও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। আর এই পুরো বিষয়টি হয়েছে চীনের মধ্যস্থতায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে ক্রমশ চিনের দিকে ঝুঁকছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় বেজিং-এর এই সফল কূটনৈতিক প্রচেষ্টায়।