২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুরভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে ত্রিপুরা সরকার, একের পর এক জবাব তলব

পুবের কলম
  • আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার
  • / 19

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে পুরভোট মামলার শুনানি নিয়ে প্রশ্নের মুখে ত্রিপুরা সরকার। লাগাতার চলা হিংসা রুখতে সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে রিপোর্ট তলব করে শীর্ষ আদালত। ত্রিপুরার ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ জানতে দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্ট পুরভোট মামলায় কোথায় কত রাজ্য পুলিশ মোতায়েন হচ্ছে? ত্রিপুরায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে? বাইরে থেকে বাহিনী আনা হতে পারে তা জানতে চেয়েছে। পরবর্তী শুনানি আজ বিকেল ৩.৪৫ নাগাদ।

আরও পড়ুন: শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বাইডেনের ক্ষমতা সীমিত

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রচারের শেষ দিন, নির্বাচনের দিন এবং ফলপ্রকাশ পর্যন্ত কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা বিপ্লব দেবের সরকার করেছে, তাও জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানিই মঙ্গলবার চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে।

ত্রিপুরা নির্বাচনের সময়সূচি পরিবর্তনের বিবেচনা করার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতে মঙ্গলবার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের আইনজীবী। আদালতে তৃণমূলের আইনজীবী বলেছেন, ‘রাজনৈতির কর্মী এবং তাঁদের বাড়ির মহিলা-শিশুদের বাড়ি থেকে বের করে এনে মারা হচ্ছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে কী ভাবে মানুষ ভোট দিতে বাড়ি থেকে বেরবেন? আকাশ ভেঙে পড়বে নির্বাচনের দিন পরিবর্তন হলে। ১৭টি হিংসার ঘটনা। কোনও গ্রেফতারি নেই।’

উল্লেখ্য, বার বার তৃণমূলের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। রক্তাক্ত ও আহত হয়েছিলেন তৃণমূল যুব নেতা সুদীপ রাহা, যুব নেত্রী জয়া দত্ত, আহত দেবাংশু ভট্টাচার্য। আক্রান্ত হন রাজ্যসভার তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব। এই হামলার প্রতিবাদে এবং আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবারেও এবার সায়নীর গ্রেফতারীর প্রতিবাদ জানিয়ে পাশে দাঁড়াতে আসেন অভিষেক। তবে তার পথসভা বাতিল করল ত্রিপুরা পুলিশ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার জামিন পান তিনি।

বিপ্লব দেবের রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তি নিয়ে এর আগে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পুরভোট অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে করতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দল যেন ভোট প্রচারে নেমে বাধার মুখে না পড়ে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যেন প্রচার পর্ব চলে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই আগরতলার পরিস্থিতি উত্তপ্ত।

এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকেই বিপ্লব দেবের সরকারে বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার আদালতকে সম্মান করি, কিন্তু এখন দেখছি বিজেপি সুপ্রিম কোর্টকেও মানে না।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুরভোট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে ত্রিপুরা সরকার, একের পর এক জবাব তলব

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২১, মঙ্গলবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ সুপ্রিম কোর্টে পুরভোট মামলার শুনানি নিয়ে প্রশ্নের মুখে ত্রিপুরা সরকার। লাগাতার চলা হিংসা রুখতে সরকার কি কি পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে রিপোর্ট তলব করে শীর্ষ আদালত। ত্রিপুরার ডিজিপি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে তা জানাতে নির্দেশ জানতে দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্ট পুরভোট মামলায় কোথায় কত রাজ্য পুলিশ মোতায়েন হচ্ছে? ত্রিপুরায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে? বাইরে থেকে বাহিনী আনা হতে পারে তা জানতে চেয়েছে। পরবর্তী শুনানি আজ বিকেল ৩.৪৫ নাগাদ।

আরও পড়ুন: শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বাইডেনের ক্ষমতা সীমিত

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রচারের শেষ দিন, নির্বাচনের দিন এবং ফলপ্রকাশ পর্যন্ত কী নিরাপত্তার ব্যবস্থা বিপ্লব দেবের সরকার করেছে, তাও জানতে চেয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সোমবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার শুনানিই মঙ্গলবার চলছে দেশের শীর্ষ আদালতে।

ত্রিপুরা নির্বাচনের সময়সূচি পরিবর্তনের বিবেচনা করার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতে মঙ্গলবার আবেদন জানিয়েছেন তৃণমূলের আইনজীবী। আদালতে তৃণমূলের আইনজীবী বলেছেন, ‘রাজনৈতির কর্মী এবং তাঁদের বাড়ির মহিলা-শিশুদের বাড়ি থেকে বের করে এনে মারা হচ্ছে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে কী ভাবে মানুষ ভোট দিতে বাড়ি থেকে বেরবেন? আকাশ ভেঙে পড়বে নির্বাচনের দিন পরিবর্তন হলে। ১৭টি হিংসার ঘটনা। কোনও গ্রেফতারি নেই।’

উল্লেখ্য, বার বার তৃণমূলের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ত্রিপুরা। রক্তাক্ত ও আহত হয়েছিলেন তৃণমূল যুব নেতা সুদীপ রাহা, যুব নেত্রী জয়া দত্ত, আহত দেবাংশু ভট্টাচার্য। আক্রান্ত হন রাজ্যসভার তৃণমূলের সাংসদ সুস্মিতা দেব। এই হামলার প্রতিবাদে এবং আক্রান্ত কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবারেও এবার সায়নীর গ্রেফতারীর প্রতিবাদ জানিয়ে পাশে দাঁড়াতে আসেন অভিষেক। তবে তার পথসভা বাতিল করল ত্রিপুরা পুলিশ। খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হন তৃণমূলের সায়নী ঘোষ। মঙ্গলবার জামিন পান তিনি।

বিপ্লব দেবের রাজ্যে রাজনৈতিক অশান্তি নিয়ে এর আগে শীর্ষ আদালতে মামলা করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুস্মিতা দেব। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, পুরভোট অবাধ এবং সুষ্ঠু ভাবে করতে হবে। কোনও রাজনৈতিক দল যেন ভোট প্রচারে নেমে বাধার মুখে না পড়ে। শান্তিপূর্ণ ভাবে যেন প্রচার পর্ব চলে। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরেই আগরতলার পরিস্থিতি উত্তপ্ত।

এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকেই বিপ্লব দেবের সরকারে বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমার আদালতকে সম্মান করি, কিন্তু এখন দেখছি বিজেপি সুপ্রিম কোর্টকেও মানে না।