১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডিজিটাল মুদ্রা কী? সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সিতে(CBDC) কি লাভ ?

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 14

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : এবার ভারতে চালু হবে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা(Currency) । যার নাম হবে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)। এ দিন কেন্দ্রীয় বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।ডিজিটাল মুদ্রা(Currency) আসলে ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা বা ইলেক্ট্রনিক টাকা।এটি একধরনের মুদ্রা(Currency)। যা শুধু ডিজিটাল রূপে পাওয়া যায়। ফিজিক্যালি নয়। ব্যাংক নোট বা পয়সা হল ফিজিক্যাল কারেন্সি ।

ডিজিটাল মুদ্রা ফিজিক্যাল মুদ্রার মতই। তবে এটি তাৎক্ষণিক লেনদেন এবং সীমান্তহীন মালিকানা হস্তান্তর এর সুযোগ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ ভার্চুয়াল মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেনসি।কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ জারি করে থাকে।প্রথাগত মুদ্রার (Currency) মত এই মুদ্রাগুলো দিয়েই ফিজিক্যাল পণ্য বা সেবা কেনা যায়।

আরও পড়ুন: ‘সাধারণের জন্য শূন্য এই বাজেট’, ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর

সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি

সিবিডিসি হল নগদ টাকার একটি ডিজিটাল আকার, যা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা আইনি টেন্ডার। এটি নগদ মুদ্রার (Currency) মতই বিনিময় যোগ্য মুদ্রা। আরবিআই-য়ের ডিজিটাল কারেন্সি, ফিয়াট মুদ্রার(Currency) মতোই এই হবে বলে জানা গিয়েছে।

ডিজিটাল কারেন্সি হল এমন একটি অর্থ যা মূল মুদ্রার ডিজিটাল আকার। ব্যবহারকারীর কাছে একটি মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন ওয়ালেট থাকলেই এই মুদ্রা লেনদেন করা যাবে। নগদ ১০০ টাকা ও ডিজিটাল ১০০ টাকার মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকছে না। দু’টির মানই সমান। শুধু একটি নগদ ও একটি ডিজিটাল।
ইনভেস্টোপিডিয়া অনুযায়ী, ডিজিটাল মুদ্রার(Currency) মূল লক্ষ্যই হল টাকার লেনদেন আরও সহজ পদ্ধতিতে করা।
পাশাপাশি এই সাহায্যে প্রথাগত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনেকের মতে, সিবিডিসি-র সাহায্যে আর্থিক পরিষেবায় বড় ক্ষেত্র উন্মোচিত হতে পারে। প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই বা দ্রুত কোনও ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে কিনা তাও জানা নেই, সেইসব এলাকার মানুষও ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ও সিবিডিসি কী একই?

ক্রিপ্টোকারেন্সি গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। কিন্তু তা কোনও ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতাধীন নয়। সিবিডিসি ডিজিটাল মুদ্রার(Currency) মধ্যে প্রথম, যা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আওতায় তৈরি হচ্ছে। ফলে সিবিডিসি-র সঙ্গে বিটকয়েনের ক্রিপ্টোকারেন্সি তফাৎ রয়েছে।ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির নগদ মুদ্রার সঙ্গে মিল নেই, এগুলি ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করা সম্পদ। বেশিরভাগ দেশই ক্রিপ্টোকারেন্সিক্রিকে মান্যতা দেয়নি। কিন্তু সিবিডিসি হল দেশের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা, যা আনছে আরবিআই। অর্থাৎ সরকার দ্বারা অনুমোদিত।

ডিজিটাল রুপি কীভাবে লেনদেন করা যেতে পারে সে সম্পর্কে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বেশ কয়েকটি মডেলের প্রস্তাব রয়েছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে সম্ভবত দেশবাসীকে ডিজিটাল রুপি লেনদেনের বিষয়ে বিশদে বিবরণ দেবে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডিজিটাল মুদ্রা কী? সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সিতে(CBDC) কি লাভ ?

আপডেট : ১ ফেব্রুয়ারী ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : এবার ভারতে চালু হবে নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা(Currency) । যার নাম হবে সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি (সিবিডিসি)। এ দিন কেন্দ্রীয় বাজেটে ডিজিটাল মুদ্রা চালুর ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।ডিজিটাল মুদ্রা(Currency) আসলে ইলেক্ট্রনিক মুদ্রা বা ইলেক্ট্রনিক টাকা।এটি একধরনের মুদ্রা(Currency)। যা শুধু ডিজিটাল রূপে পাওয়া যায়। ফিজিক্যালি নয়। ব্যাংক নোট বা পয়সা হল ফিজিক্যাল কারেন্সি ।

ডিজিটাল মুদ্রা ফিজিক্যাল মুদ্রার মতই। তবে এটি তাৎক্ষণিক লেনদেন এবং সীমান্তহীন মালিকানা হস্তান্তর এর সুযোগ করে দেয়। উদাহরণস্বরূপ ভার্চুয়াল মুদ্রা এবং ক্রিপ্টোকারেনসি।কেন্দ্রীয় ব্যাংকও ‘ডিজিটাল মুদ্রা’ জারি করে থাকে।প্রথাগত মুদ্রার (Currency) মত এই মুদ্রাগুলো দিয়েই ফিজিক্যাল পণ্য বা সেবা কেনা যায়।

আরও পড়ুন: ‘সাধারণের জন্য শূন্য এই বাজেট’, ট্যুইট মুখ্যমন্ত্রীর

সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক ডিজিটাল কারেন্সি

সিবিডিসি হল নগদ টাকার একটি ডিজিটাল আকার, যা দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক দ্বারা জারি করা আইনি টেন্ডার। এটি নগদ মুদ্রার (Currency) মতই বিনিময় যোগ্য মুদ্রা। আরবিআই-য়ের ডিজিটাল কারেন্সি, ফিয়াট মুদ্রার(Currency) মতোই এই হবে বলে জানা গিয়েছে।

ডিজিটাল কারেন্সি হল এমন একটি অর্থ যা মূল মুদ্রার ডিজিটাল আকার। ব্যবহারকারীর কাছে একটি মোবাইল অ্যাপ ও অনলাইন ওয়ালেট থাকলেই এই মুদ্রা লেনদেন করা যাবে। নগদ ১০০ টাকা ও ডিজিটাল ১০০ টাকার মধ্যে কোনও পার্থক্য থাকছে না। দু’টির মানই সমান। শুধু একটি নগদ ও একটি ডিজিটাল।
ইনভেস্টোপিডিয়া অনুযায়ী, ডিজিটাল মুদ্রার(Currency) মূল লক্ষ্যই হল টাকার লেনদেন আরও সহজ পদ্ধতিতে করা।
পাশাপাশি এই সাহায্যে প্রথাগত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অনেকের মতে, সিবিডিসি-র সাহায্যে আর্থিক পরিষেবায় বড় ক্ষেত্র উন্মোচিত হতে পারে। প্রত্যন্ত অঞ্চল যেখানে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা নেই বা দ্রুত কোনও ব্যাঙ্ক তৈরি করা হবে কিনা তাও জানা নেই, সেইসব এলাকার মানুষও ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেনের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

ক্রিপ্টোকারেন্সি ও সিবিডিসি কী একই?

ক্রিপ্টোকারেন্সি গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়। কিন্তু তা কোনও ব্যাঙ্কিং পরিষেবার আওতাধীন নয়। সিবিডিসি ডিজিটাল মুদ্রার(Currency) মধ্যে প্রথম, যা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের আওতায় তৈরি হচ্ছে। ফলে সিবিডিসি-র সঙ্গে বিটকয়েনের ক্রিপ্টোকারেন্সি তফাৎ রয়েছে।ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলির নগদ মুদ্রার সঙ্গে মিল নেই, এগুলি ব্যক্তিগতভাবে তৈরি করা সম্পদ। বেশিরভাগ দেশই ক্রিপ্টোকারেন্সিক্রিকে মান্যতা দেয়নি। কিন্তু সিবিডিসি হল দেশের নিজস্ব ডিজিটাল মুদ্রা, যা আনছে আরবিআই। অর্থাৎ সরকার দ্বারা অনুমোদিত।

ডিজিটাল রুপি কীভাবে লেনদেন করা যেতে পারে সে সম্পর্কে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের বেশ কয়েকটি মডেলের প্রস্তাব রয়েছে। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে সম্ভবত দেশবাসীকে ডিজিটাল রুপি লেনদেনের বিষয়ে বিশদে বিবরণ দেবে।