১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমিশনের অফিস হাইকোর্টে আনবার হুঁশিয়ারি কেন দিলেন প্রধান বিচারপতি?

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 56

পারিজাত মোল্লা:  পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বারবার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে  বিশেষত কলকাতা হাইকোর্টে। ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এর। সেইসঙ্গে এও নির্দেশ , -‘ নির্দেশ জারির দুদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে’। তারপর বাহিনীর রিক্যুইজিশন পাঠানো নিয়ে আলোচনা করতে সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়। তা নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একপর্যায়ে চরম তিরস্কার করলো  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়,  ‘আপনাদের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে না আপনারা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার সদিচ্ছা আছে। আমরা কী করব?

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

নির্বাচন কমিশনের দফতরটা সরোজিনী নায়ডু সরণি থেকে হাইকোর্টে নিয়ে চলে আসব কি?’এর আগের শুনানিতে কমিশনকে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন আদালতে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।আদালত এদিন কমিশন কে জানায়, ‘আপনারা তো কাজের কাজ কিছু করছেন না। ৮ জুলাই সকাল বেলাও কি দেখছি, দেখব বলবেন?’ হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট বলেছে, ভয়হীন পরিবেশে ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। মানুষের যাতে আস্থা বাড়ে সেই কাজ করতে হবে।৮০০ কোম্পানির মধ্যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী এলেও এখনও ৪৮৫ কোম্পানি আসা বাকি। তা নিয়ে কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়াশাও রয়েছে। বুধবার সকালে হাইকোর্টে হলফনামায় সই করতে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সেই সময়ে সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কি আসবে না? জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তো বলেনি যে আসবে না। তো আমি কী করে সেই কথা বলব।’ তবে এদিনের শুনানিতে আবার কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কমিশনের যা যা করা উচিত তা তারা করছে না। তা নিয়েও ভর্ত্‍সনা শুনতে হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।এখন দেখার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

আরও পড়ুন: হিন্দুদের ট্রাস্টে মুসলিমদের জায়গা দেবেন? ওয়াকফ মামলায় কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

 

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কমিশনের অফিস হাইকোর্টে আনবার হুঁশিয়ারি কেন দিলেন প্রধান বিচারপতি?

আপডেট : ২৯ জুন ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা:  পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বারবার সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে  বিশেষত কলকাতা হাইকোর্টে। ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে পঞ্চায়েত ভোট করানোর নির্দেশ রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এর। সেইসঙ্গে এও নির্দেশ , -‘ নির্দেশ জারির দুদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে’। তারপর বাহিনীর রিক্যুইজিশন পাঠানো নিয়ে আলোচনা করতে সেই সময়সীমা পেরিয়ে যায়। তা নিয়ে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার শুনানিতে বুধবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে একপর্যায়ে চরম তিরস্কার করলো  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

এদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়,  ‘আপনাদের কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে না আপনারা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করার সদিচ্ছা আছে। আমরা কী করব?

আরও পড়ুন: ফাঁসি নয় যাবজ্জীবন, ৪০ বছর জেল প্রেমিক সুশান্ত চৌধুরীর

নির্বাচন কমিশনের দফতরটা সরোজিনী নায়ডু সরণি থেকে হাইকোর্টে নিয়ে চলে আসব কি?’এর আগের শুনানিতে কমিশনকে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে হবে। এদিন আদালতে ১৫ পাতার রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।আদালত এদিন কমিশন কে জানায়, ‘আপনারা তো কাজের কাজ কিছু করছেন না। ৮ জুলাই সকাল বেলাও কি দেখছি, দেখব বলবেন?’ হাইকোর্ট এদিন স্পষ্ট বলেছে, ভয়হীন পরিবেশে ভোট করানোর দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে। এ ব্যাপারে ২০০ শতাংশ সহযোগিতা করতে হবে রাজ্য সরকারকে। মানুষের যাতে আস্থা বাড়ে সেই কাজ করতে হবে।৮০০ কোম্পানির মধ্যে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী এলেও এখনও ৪৮৫ কোম্পানি আসা বাকি। তা নিয়ে কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়াশাও রয়েছে। বুধবার সকালে হাইকোর্টে হলফনামায় সই করতে গিয়েছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। সেই সময়ে সাংবাদিকরা তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী কি আসবে না? জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার তো বলেনি যে আসবে না। তো আমি কী করে সেই কথা বলব।’ তবে এদিনের শুনানিতে আবার কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে কমিশনের যা যা করা উচিত তা তারা করছে না। তা নিয়েও ভর্ত্‍সনা শুনতে হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।এখন দেখার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার?

আরও পড়ুন: হিন্দুদের ট্রাস্টে মুসলিমদের জায়গা দেবেন? ওয়াকফ মামলায় কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

 

আরও পড়ুন: সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে রাজ্যের করা মামলা খারিজ, ‘অধিকার নেই’ বলল হাইকোর্ট