১৮ জুন ২০২৫, বুধবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চার মাসে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে বিস্ময় সৃষ্টি কাশ্মীরি কন্যার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার
  • / 33

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মাত্র চার মাসে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে কাশ্মীরের একটি মেয়ে।এই ঘটনায় কাশ্মীর জুড়ে  আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেন্ট্রাল কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলার সালিমা নামের এই মেয়ে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে জেলাকে গর্বিত করেছে। কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের হাতে পবিত্র কুরআন লিখে নজির স্থাপন করেছেন সালিমা।

সালিমা জানায়,”আমার দাদা এবং দাদীর আগ্রহ ছিল যে পরিবারের সমস্ত ছেলে মেয়েরা পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন করবে এবং এটি আরও ভালভাবে পড়তে এবং লিখতে শিখবে।বাড়িতে ধর্মীয় পরিবেশের কারণে, আমি পবিত্র কুরআনের সঙ্গে একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম এবং কোরআন লেখার প্রতিও একটি আবেগ তৈরি করেছিলাম। আমি ৫ নভেম্বর২০২২ তারিখে পবিত্র কোরআন লেখা শুরু করি এবং আজ আমি সম্পূর্ণ করে একটি ভাল কাজ করেছি। কাজটি হয়ে গেছে।”

আরও পড়ুন: পেরুতে চার মাসে ৩,৪০০ নারী নিখোঁজ

তার প্রতিবেশিরা বলছেন,সালিমা এত সুন্দর হাতের লেখায় কুর লিখেছেন যে দেখে মনে হচ্ছে এটি  কম্পিউটারে কম্পোজ করা।

আরও পড়ুন: মাহে রমযানে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে, আলিয়ার অনুষ্ঠানে বললেন ইমরান

সালিমা বলে, ‘আমি বি.এ ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা কাজ শেষ করে পবিত্র কোরআন লিখতাম। এই সময়ে বাবা-মা এবং পরিবারের সকল সদস্যরা খুব সহযোগিতা করেছেন। পবিত্র কোরআন লেখার সময় আমার যা যা দরকার ছিল, সব প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হয়েছিল। আমাকে প্রথমে এলাকার অনেক আলেম সাহেবরা পবিত্র কুরআন পড়তে শিখিয়েছিলেন এবং তারা পবিত্র কোরআন সম্পর্কে জানতেও আমাকে সাহায্য করেছেন।”

আরও পড়ুন: পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় হলিউডের চিত্রনাট্যকার

সালিমা বলেন, প্রথমে আমি কোরআন মুখস্ত করি এবং তারপর হাতে  কোরআন লিখতে শুরু করি এবং অবশেষে প্রায় চার মাসের স্বল্প সময়ে এই কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।”

“আমি খুব খুশি বোধ করছি”, সালিমা বলল।

স্থানীয়রা বলছেন,”আমরা গর্বিত যে আমাদের এলাকায় এমন একজন গুণী কন্যার জন্ম হয়েছে এবং একটি মহৎ কাজ করে তিনি এলাকার পাশাপাশি আমাদের গুজ্জর শ্রেণীর নাম উজ্জ্বল করেছেন, যার জন্য আমরা গর্বিত। আমরা অনুভব করি এবং আমরা আশা করি যে সরকার এই ধরনের মেয়েদের উৎসাহিত করবে।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

চার মাসে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে বিস্ময় সৃষ্টি কাশ্মীরি কন্যার

আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মাত্র চার মাসে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে কাশ্মীরের একটি মেয়ে।এই ঘটনায় কাশ্মীর জুড়ে  আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সেন্ট্রাল কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলার সালিমা নামের এই মেয়ে নিজ হাতে পবিত্র কোরআন লিখে জেলাকে গর্বিত করেছে। কয়েক মাসের মধ্যেই নিজের হাতে পবিত্র কুরআন লিখে নজির স্থাপন করেছেন সালিমা।

সালিমা জানায়,”আমার দাদা এবং দাদীর আগ্রহ ছিল যে পরিবারের সমস্ত ছেলে মেয়েরা পবিত্র কোরআন অধ্যয়ন করবে এবং এটি আরও ভালভাবে পড়তে এবং লিখতে শিখবে।বাড়িতে ধর্মীয় পরিবেশের কারণে, আমি পবিত্র কুরআনের সঙ্গে একটি বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলাম এবং কোরআন লেখার প্রতিও একটি আবেগ তৈরি করেছিলাম। আমি ৫ নভেম্বর২০২২ তারিখে পবিত্র কোরআন লেখা শুরু করি এবং আজ আমি সম্পূর্ণ করে একটি ভাল কাজ করেছি। কাজটি হয়ে গেছে।”

আরও পড়ুন: পেরুতে চার মাসে ৩,৪০০ নারী নিখোঁজ

তার প্রতিবেশিরা বলছেন,সালিমা এত সুন্দর হাতের লেখায় কুর লিখেছেন যে দেখে মনে হচ্ছে এটি  কম্পিউটারে কম্পোজ করা।

আরও পড়ুন: মাহে রমযানে পবিত্র কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে, আলিয়ার অনুষ্ঠানে বললেন ইমরান

সালিমা বলে, ‘আমি বি.এ ক্লাসে ভর্তি হয়েছি। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা কাজ শেষ করে পবিত্র কোরআন লিখতাম। এই সময়ে বাবা-মা এবং পরিবারের সকল সদস্যরা খুব সহযোগিতা করেছেন। পবিত্র কোরআন লেখার সময় আমার যা যা দরকার ছিল, সব প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হয়েছিল। আমাকে প্রথমে এলাকার অনেক আলেম সাহেবরা পবিত্র কুরআন পড়তে শিখিয়েছিলেন এবং তারা পবিত্র কোরআন সম্পর্কে জানতেও আমাকে সাহায্য করেছেন।”

আরও পড়ুন: পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতায় হলিউডের চিত্রনাট্যকার

সালিমা বলেন, প্রথমে আমি কোরআন মুখস্ত করি এবং তারপর হাতে  কোরআন লিখতে শুরু করি এবং অবশেষে প্রায় চার মাসের স্বল্প সময়ে এই কাজটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।”

“আমি খুব খুশি বোধ করছি”, সালিমা বলল।

স্থানীয়রা বলছেন,”আমরা গর্বিত যে আমাদের এলাকায় এমন একজন গুণী কন্যার জন্ম হয়েছে এবং একটি মহৎ কাজ করে তিনি এলাকার পাশাপাশি আমাদের গুজ্জর শ্রেণীর নাম উজ্জ্বল করেছেন, যার জন্য আমরা গর্বিত। আমরা অনুভব করি এবং আমরা আশা করি যে সরকার এই ধরনের মেয়েদের উৎসাহিত করবে।”