০৫ অক্টোবর ২০২৫, রবিবার, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ বিচারপতি, বিজেপি নেতা খুনের মামলায় জবাব চাইলো হাইকোর্ট

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার
  • / 78

পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। এক খুনের মামলায় স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা ক্ষুদ্ধ হলেন বিচারপতি। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে মূল অভিযুক্তকে জামিন মুক্ত করতে ‘চক্রান্ত’ করেছে পুলিশ। এদিন এই মামলার শুনানিতে এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কেন চার্জশিট জমা দিতে পুলিশের ১ দিন বেশি সময় লাগল? তা পরের শুনানিতে ব্যাখ্যা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ।

 

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

আদালত সুত্রে প্রকাশ, চলতি বছরের গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে খুন করা হয় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। ওই ঘটনায় একাধিক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতারির ৯০ দিন পরেও চার্জশিট জমা না পড়ায় গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্তরা। ঠিক তার পরদিন আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ময়না থানার পুলিশ। বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে দায়ের মামলাটি সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমরা কোনও মামলার তদন্তভার সিবিআই বা সিআইডি কে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ এই মামলা। পুলিশের পেশ করা রিপোর্টই বলছে, গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তার পরও সেদিন চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার পর ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়। এতে স্পষ্ট, মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে চক্রান্তে যুক্ত পুলিশও’।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুজো কমিটি

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন, ‘মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যুক্ত করা হলেও কী ভাবে অভিযুক্তরা জামিন পেল? বিজয়কৃষ্ণবাবুকে বোমা মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হলেও কেন বিস্ফোরক আইনের ধারা মামলায় যুক্ত করা হল না?’ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে বলে আদালত স্পষ্ট নির্দেশ জারি করেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ বিচারপতি, বিজেপি নেতা খুনের মামলায় জবাব চাইলো হাইকোর্ট

আপডেট : ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, সোমবার

পারিজাত মোল্লা: সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এর এজলাসে প্রশ্নের মুখে পুলিশ। এক খুনের মামলায় স্থানীয় থানার পুলিশের ভূমিকা ক্ষুদ্ধ হলেন বিচারপতি। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে মূল অভিযুক্তকে জামিন মুক্ত করতে ‘চক্রান্ত’ করেছে পুলিশ। এদিন এই মামলার শুনানিতে এই চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। কেন চার্জশিট জমা দিতে পুলিশের ১ দিন বেশি সময় লাগল? তা পরের শুনানিতে ব্যাখ্যা করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ।

 

আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সব হস্টেল বন্ধ রাখতে হবে: calcutta high court

আদালত সুত্রে প্রকাশ, চলতি বছরের গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে খুন করা হয় বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে। ওই ঘটনায় একাধিক তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতারির ৯০ দিন পরেও চার্জশিট জমা না পড়ায় গত ৪ অগাস্ট জামিন পেয়ে যায় মূল অভিযুক্তরা। ঠিক তার পরদিন আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ময়না থানার পুলিশ। বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে সিবিআই তদন্তের দাবিতে দায়ের মামলাটি সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমরা কোনও মামলার তদন্তভার সিবিআই বা সিআইডি কে দিতে চাই না। কিন্তু কেন আমাদের এই কাজ করতে হয় তার স্পষ্ট উদাহরণ এই মামলা। পুলিশের পেশ করা রিপোর্টই বলছে, গত ৪ অগাস্টই চার্জশিট তৈরি হয়ে গিয়েছিল। তার পরও সেদিন চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়নি। মূল অভিযুক্ত জামিন পাওয়ার পর ৫ অগাস্ট চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়। এতে স্পষ্ট, মূল অভিযুক্তকে জামিন পাইয়ে দিতে চক্রান্তে যুক্ত পুলিশও’।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুজো কমিটি

 

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন, ‘মামলায় এসসি-এসটি আইনের ধারা যুক্ত করা হলেও কী ভাবে অভিযুক্তরা জামিন পেল? বিজয়কৃষ্ণবাবুকে বোমা মারতে মারতে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হলেও কেন বিস্ফোরক আইনের ধারা মামলায় যুক্ত করা হল না?’ কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছেন, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে পুলিশকে বলে আদালত স্পষ্ট নির্দেশ জারি করেছে।