০৪ অক্টোবর ২০২৫, শনিবার, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গু নিধনে সচেতনতাই একমাত্র হাতিয়ার, বার্তা ফিরহাদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার
  • / 86

পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রত্যেক বছরই বর্ষা আসলে কলকাতা পুরসভার মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মশাবাহিত রোগ। পুরসভার তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও শেষ কয়েকটা বছর ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া মৃত্যু শূন্য হয়নি। এর নেপথ্যে নাগরিকদের কিছুটা উদাসীনতাকেই দায়ী করে আসছে পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অব্যবস্থার নেপথ্যে পুর প্রশাসনকেই বারবার কাঠগড়ায় তুলে এসেছে বিরোধীরা।

এই অবস্থায় এবছর বর্ষা শুরুর আগেই মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচার শুরু করল কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে ডেঙ্গু সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান চালানো হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন: dengue in wb: বেহালায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের

ডেঙ্গু নিধনে শুধু মিছিলেই থেমে থাকছে না পুরসভা। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই কর্মকান্ডের নমুনাও নাগরিকদের সামনে তুলে ধরা হবে। আগামীতে ভ্রাম্যমান গাড়িতে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে সচেতনার প্রচারের সঙ্গেই চলবে এই প্রচার। এক-এক দিন একটি করে ওয়ার্ড ঘুরবে এই গাড়ি। কিভাবে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে, মশারি ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝানো সহ সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। এরসঙ্গেই কিভাবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা, আধিকারিকেরা ডেঙ্গু নিধনে কাজ করছে তা তুলে ধরা হবে স্ক্রিনে।

আরও পড়ুন: মসজিদবাটী পঞ্চায়েত এলাকায় চালু হল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে গোটা শহর জুড়ে ড্রোন চালিয়ে একাধিক ছবি সংগ্রহ করে কলকাতা পুরসভা। তাতে দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায় বাড়ির ছাদে ট্যাঙ্কের মুখ খোলা, যেখানে থেকে মশা জন্মাচ্ছে। অন্যদিকে, শহরের একাধিক খালি জমিকে রীতিমত ভ্যাটে পরিনত করা হয়েছে। শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, পরিত্যক্ত জমি। আর তাই এবার পরিত্যক্ত জমি নিয়েই কড়া আইন চাইছে পুরসভা। সেবিষয়ে খুব শিগ্রই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তবে বর্তমানে শুধু আবেদন-নিবেদন নীতিতেই থেমে নেই পুর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, রাস্তায় তথা বাড়ির আশেপাশে জঞ্জাল ফেলার অপরাধে শেষ ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৪৫৪ টি জায়গায় নোটিশ ধরিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ২১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবছর মামলার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। নোটিশ করার পরেও হুঁশ না ফেললে, নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করবে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মিউনিসিপ্যাল আদালতে এনে তার বিচার হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ডেঙ্গু নিধনে সচেতনতাই একমাত্র হাতিয়ার, বার্তা ফিরহাদের

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: প্রত্যেক বছরই বর্ষা আসলে কলকাতা পুরসভার মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়ায় মশাবাহিত রোগ। পুরসভার তরফ থেকে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও শেষ কয়েকটা বছর ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া মৃত্যু শূন্য হয়নি। এর নেপথ্যে নাগরিকদের কিছুটা উদাসীনতাকেই দায়ী করে আসছে পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অব্যবস্থার নেপথ্যে পুর প্রশাসনকেই বারবার কাঠগড়ায় তুলে এসেছে বিরোধীরা।

এই অবস্থায় এবছর বর্ষা শুরুর আগেই মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে নাগরিকদের সচেতন করতে প্রচার শুরু করল কলকাতা পুরসভা।

আরও পড়ুন: Chetla Agrani Club: চেতলা অগ্রণীর পুজো মণ্ডপে আগুন

শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নেতৃত্বে ডেঙ্গু সচেতনতা মূলক প্রচার অভিযান চালানো হয়। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ সহ পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা।

আরও পড়ুন: dengue in wb: বেহালায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের

ডেঙ্গু নিধনে শুধু মিছিলেই থেমে থাকছে না পুরসভা। কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সেই কর্মকান্ডের নমুনাও নাগরিকদের সামনে তুলে ধরা হবে। আগামীতে ভ্রাম্যমান গাড়িতে এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে সচেতনার প্রচারের সঙ্গেই চলবে এই প্রচার। এক-এক দিন একটি করে ওয়ার্ড ঘুরবে এই গাড়ি। কিভাবে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে, মশারি ব্যবহারের গুরুত্ব বোঝানো সহ সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। এরসঙ্গেই কিভাবে পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা, আধিকারিকেরা ডেঙ্গু নিধনে কাজ করছে তা তুলে ধরা হবে স্ক্রিনে।

আরও পড়ুন: মসজিদবাটী পঞ্চায়েত এলাকায় চালু হল সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট

প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিককালে গোটা শহর জুড়ে ড্রোন চালিয়ে একাধিক ছবি সংগ্রহ করে কলকাতা পুরসভা। তাতে দেখা গিয়েছে একাধিক জায়গায় বাড়ির ছাদে ট্যাঙ্কের মুখ খোলা, যেখানে থেকে মশা জন্মাচ্ছে। অন্যদিকে, শহরের একাধিক খালি জমিকে রীতিমত ভ্যাটে পরিনত করা হয়েছে। শহরের ডেঙ্গু পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, পরিত্যক্ত জমি। আর তাই এবার পরিত্যক্ত জমি নিয়েই কড়া আইন চাইছে পুরসভা। সেবিষয়ে খুব শিগ্রই রাজ্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। তবে বর্তমানে শুধু আবেদন-নিবেদন নীতিতেই থেমে নেই পুর কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, রাস্তায় তথা বাড়ির আশেপাশে জঞ্জাল ফেলার অপরাধে শেষ ডিসেম্বরে ৪ হাজার ৪৫৪ টি জায়গায় নোটিশ ধরিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ২১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবছর মামলার সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে ইতিমধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। নোটিশ করার পরেও হুঁশ না ফেললে, নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করবে কলকাতা পুরসভা। সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মিউনিসিপ্যাল আদালতে এনে তার বিচার হবে।