২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই  

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 10

পুবের কলম প্রতিবেদক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সংগীতশিল্পী বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

জেরার নোটিশ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল এগারোটা নাগাদ নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেক সিজিও ভবনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছান বিধাননগর পুরনিগমের মেয়ের পরিষদ দেবরাজ। সেখানে তদন্তকারী আধিকারিকেরা তৃনমূলের জেলা ওই যুব নেতাকে মুখোমুখি বসিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জেরার সেই পর্ব মিটিয়ে এদিন দেড়টা নাগাদ সিজিও ছেড়ে বেরিয়ে যান বিধায়কের স্বামী।

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ধৃতদের ২ দিন সিবিআই হেফাজত

এরই আগে সিবিআই দফতরে প্রবেশের মুখে তদন্তে ‘সহযোগিতা’ করার কথা জানিয়ে সিজিও চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ জেলা যুবনেতা দেবরাজ বলে যান, “একটি নোটিশ পেয়ে তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে এসেছি। ভিতরে কি হবে সেটা ওনারা (সিবিআই) বলবেন। তারা যা জানতে চাইবেন, তার জন্য আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে, আমি সেটা বলব”।

এদিন টানা প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা জেরা শেষে সিজিও ছাড়ার আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই অফিস চত্বরে দাঁড়িয়ে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দেবরাজ সাংবাদিকদের বলে গেলেন, “তদন্তকারীদের যা যা প্রশ্ন ছিল,  নির্ধারিত সেই প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি। এবং এও বলেছি, পরবর্তী সময়ে আবার ডাকা হলে নিশ্চয়ই আসব। তদন্তের কাজের সহযোগিতা করব”।

সিবিআই সূত্রের খবর,  ২০২১ রাজ্য বিধানসভার ভোট পরবর্তী হিংসায় বাগুইআটি কেষ্টপুর অঞ্চলে প্রসেনজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির খুনের অভিযোগ ওঠে। ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ পাওয়া যায়। জানা গেছে, প্রসেনজিৎ বিজেপির কর্মী ছিলেন। মর্মান্তিক ওই মৃত্যুর ঘটনার পর সিবিআইয়ের কাছে দায়ের হয় অভিযোগ। তাতে বিধায়ক অদিতির স্বামী ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদ করতে মঙ্গলবার দেবরাজকে ডেকে পাঠায় সিবিআই।

যদিও মর্মান্তিক ওই ঘটনায় এদিন দেবরাজের বক্তব্য, “ঘটনা কি ঘটেছিল, সেটা তদন্তের মধ্যে উঠে আসবে। তবে যেকোনো মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। রাজনৈতিকভাবে তার পরিবারের কোনো সহযোগিতা লাগলে, তাতে থাকব”।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই  

আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০২২, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের সংগীতশিল্পী বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীকে ডেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই।

জেরার নোটিশ পেয়ে মঙ্গলবার সকাল এগারোটা নাগাদ নিজের আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সল্টলেক সিজিও ভবনে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসে পৌঁছান বিধাননগর পুরনিগমের মেয়ের পরিষদ দেবরাজ। সেখানে তদন্তকারী আধিকারিকেরা তৃনমূলের জেলা ওই যুব নেতাকে মুখোমুখি বসিয়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। জেরার সেই পর্ব মিটিয়ে এদিন দেড়টা নাগাদ সিজিও ছেড়ে বেরিয়ে যান বিধায়কের স্বামী।

আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ধৃতদের ২ দিন সিবিআই হেফাজত

এরই আগে সিবিআই দফতরে প্রবেশের মুখে তদন্তে ‘সহযোগিতা’ করার কথা জানিয়ে সিজিও চত্বরে দাঁড়িয়ে সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ জেলা যুবনেতা দেবরাজ বলে যান, “একটি নোটিশ পেয়ে তদন্তের কাজে সহযোগিতা করতে এসেছি। ভিতরে কি হবে সেটা ওনারা (সিবিআই) বলবেন। তারা যা জানতে চাইবেন, তার জন্য আমার কাছে যতটুকু তথ্য আছে, আমি সেটা বলব”।

এদিন টানা প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা জেরা শেষে সিজিও ছাড়ার আগে কেন্দ্রীয় সংস্থার সেই অফিস চত্বরে দাঁড়িয়ে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দেবরাজ সাংবাদিকদের বলে গেলেন, “তদন্তকারীদের যা যা প্রশ্ন ছিল,  নির্ধারিত সেই প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি। এবং এও বলেছি, পরবর্তী সময়ে আবার ডাকা হলে নিশ্চয়ই আসব। তদন্তের কাজের সহযোগিতা করব”।

সিবিআই সূত্রের খবর,  ২০২১ রাজ্য বিধানসভার ভোট পরবর্তী হিংসায় বাগুইআটি কেষ্টপুর অঞ্চলে প্রসেনজিৎ দাস নামে এক ব্যক্তির খুনের অভিযোগ ওঠে। ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ পাওয়া যায়। জানা গেছে, প্রসেনজিৎ বিজেপির কর্মী ছিলেন। মর্মান্তিক ওই মৃত্যুর ঘটনার পর সিবিআইয়ের কাছে দায়ের হয় অভিযোগ। তাতে বিধায়ক অদিতির স্বামী ‘দাপুটে’ তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদ করতে মঙ্গলবার দেবরাজকে ডেকে পাঠায় সিবিআই।

যদিও মর্মান্তিক ওই ঘটনায় এদিন দেবরাজের বক্তব্য, “ঘটনা কি ঘটেছিল, সেটা তদন্তের মধ্যে উঠে আসবে। তবে যেকোনো মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক। রাজনৈতিকভাবে তার পরিবারের কোনো সহযোগিতা লাগলে, তাতে থাকব”।