১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুন্তল চিঠি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব সিবিআইয়ের

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 27

পুবের কলম প্রতিবেদক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল কুন্তল ঘোষকে। তিনি বর্তমানে প্রসিডেন্সি সংশোধনাগারে। তাঁর চিঠি মামলায় সিবিআই তলব করল প্রেসেডেন্সি জেল সুপার  দেবাশিস চক্রবর্তীকে। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন জেল সুপার। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। সূত্রের খবর প্রশ্ন করা হতে পারে, তিনি (কুন্তল) কী বলে সুপারের কাছ থেকে চিঠির অনুমতি চেয়েছিলেন? কার হাত দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল?— এইসব নিয়ে।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

হেস্টিংস থানা এবং নিম্ন আদালতে চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। অভিযোগ ছিল, তাঁকে চাপ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২ জুন কুন্তল মামলায় বিচারকের তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়ে সিবিআই।  এর আগের শুনানির সময় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন চার্জশিট সম্পর্কে কিছু ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য। নির্দেশ ছিল, তা দিতে হবে পরবর্তী শুনানির দিনে। গত শুক্রবার ছিল সেই দিন। আর ওইদিনেই শুনানির সময় বিচারপতির তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়ে সিবিআই।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হিরা ব্যবসায়ী Mehul Choksi, ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করবে বেলজিয়াম

বিচারক চার্জশিট নিয়ে কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। সিবিআই  সেই ব্যাখ্যার জন্য এক মাস সময় চেয়েছিল। তাতেই ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারক। বলেছিলেন, আপনারা (সিবিআই) অত্যন্ত ক্যাজুয়াল। আরও বলেছিলেন, আজ (গত শুক্রবার) ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা ছিল। এরপরেই তিনি জানিয়েছিলেন, এতদিন সময় দেওয়া যাবে না। বিচারক আরও ১৪ দিন সময় দিয়েছিলেন ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি। সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মিথ্যাচারিতা করছে,  ভুল পথে চালিত করছে তদন্তকে। এমনটাই দাবি ছিল কুন্তল ঘোষের। তাঁর আরও দাবি ছিল, ক্ষমতা থাকলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বয়ান আদালতে পেশ করুক। গত শুক্রবার কুন্তল ঘোষ এবং তাপস মণ্ডলকেও আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত চত্বর থেকেই এমন বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কুন্তল। ওইদিন তাপস অবশ্য বেশি কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন, যা বলার কুন্তল বলবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কুন্তল চিঠি মামলায় প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে তলব সিবিআইয়ের

আপডেট : ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল কুন্তল ঘোষকে। তিনি বর্তমানে প্রসিডেন্সি সংশোধনাগারে। তাঁর চিঠি মামলায় সিবিআই তলব করল প্রেসেডেন্সি জেল সুপার  দেবাশিস চক্রবর্তীকে। শুক্রবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন জেল সুপার। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হবে। সূত্রের খবর প্রশ্ন করা হতে পারে, তিনি (কুন্তল) কী বলে সুপারের কাছ থেকে চিঠির অনুমতি চেয়েছিলেন? কার হাত দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল?— এইসব নিয়ে।

 

আরও পড়ুন: ইডি সিবিআই সেজে লুটপাটের ঘটনা ঠেকাতে সিসিটিভি নজরদারি বাড়াচ্ছে লালবাজার

হেস্টিংস থানা এবং নিম্ন আদালতে চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। অভিযোগ ছিল, তাঁকে চাপ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২ জুন কুন্তল মামলায় বিচারকের তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়ে সিবিআই।  এর আগের শুনানির সময় আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন চার্জশিট সম্পর্কে কিছু ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য। নির্দেশ ছিল, তা দিতে হবে পরবর্তী শুনানির দিনে। গত শুক্রবার ছিল সেই দিন। আর ওইদিনেই শুনানির সময় বিচারপতির তীব্র তিরস্কারের মুখে পড়ে সিবিআই।

আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের চার্জশিট, ২২০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ

 

আরও পড়ুন: গ্রেফতার হিরা ব্যবসায়ী Mehul Choksi, ভারতের হাতে প্রত্যর্পণ করবে বেলজিয়াম

বিচারক চার্জশিট নিয়ে কিছু ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন। সিবিআই  সেই ব্যাখ্যার জন্য এক মাস সময় চেয়েছিল। তাতেই ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারক। বলেছিলেন, আপনারা (সিবিআই) অত্যন্ত ক্যাজুয়াল। আরও বলেছিলেন, আজ (গত শুক্রবার) ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা ছিল। এরপরেই তিনি জানিয়েছিলেন, এতদিন সময় দেওয়া যাবে না। বিচারক আরও ১৪ দিন সময় দিয়েছিলেন ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য।

নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি। সেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মিথ্যাচারিতা করছে,  ভুল পথে চালিত করছে তদন্তকে। এমনটাই দাবি ছিল কুন্তল ঘোষের। তাঁর আরও দাবি ছিল, ক্ষমতা থাকলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বয়ান আদালতে পেশ করুক। গত শুক্রবার কুন্তল ঘোষ এবং তাপস মণ্ডলকেও আদালতে পেশ করা হয়েছিল। আদালত চত্বর থেকেই এমন বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন কুন্তল। ওইদিন তাপস অবশ্য বেশি কথা বলেননি। তিনি শুধু বলেছিলেন, যা বলার কুন্তল বলবে।