২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাওলানা আবদুর রফিক সাহেবের ইন্তেকাল

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 19

জয়নূল আবেদীন, মুর্শিদাবাদ: ইন্তেকাল করলেন মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব (ইন্না লিল্লাহি…)। বুধবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১১ রমযানী সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ির কাছে মসজিদ-সংলগ্ন গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এদিন তাঁর দোয়ায়ে মাগফিরাতে শামিল হয়েছিলেন আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও অগণিত মানুষ। মৃদু এবং মিষ্টভাষী এই মানুষটির সান্নিধ্যে যারা এসেছেন তারা সমৃদ্ধ ও মুগ্ধ হয়েছিলেন।

সারা বাংলায় পরিচিত মুখ ছিলেন জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ থানার গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন—  ১৯৩৯ সালে। এমএম পাস করে ১৯৯৬০ সালে তিনি শিক্ষকতায় যোগ দেন মুর্শিদাবাদের নিমগ্রাম বেলুড়ি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে।

আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায় মৃত্যু ভারতীয়র, আত্মহত্যা অনুমান পুলিশের

মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব শিক্ষকতার পাশাপাশি জঙ্গিপুর কলেজ থেকে প্রাতঃকালীন শাখায় ভর্তি হয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তিনি নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছিলেন বিশাল এক লাইব্রেরি। শুধু ধর্মীয় নয়, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, সমাজ, ইতিহাস, সাহিত্যের বহু রত্ন সমৃদ্ধ তাঁর নিজস্ব পাঠাগার। সুবক্তা হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।

আরও পড়ুন: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, শোক পরিবারে

১৯৭৩-এ কলকাতায় বাংলা ইসলামি প্রকাশনী ট্রাস্ট গঠিত হলে সিদ্ধান্ত হয় সাপ্তাহিক মীযান প্রকাশনার এবং ইসলামি গ্রন্থাদি প্রকাশের। তখন এই কাজে তহবিল সংগ্রহের দায় গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিদ্যাচর্চা ছাড়াও অসাধারণ সংগঠক ছিলেন মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব। জামায়াতে ইসলামী হিন্দের মুর্শিদাবাদ জেলা নাজিম পরে মুর্শিদাবাদ-সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গের নাজিম পশ্চিমবঙ্গ মজলিশে সুরার বিশিষ্ট সদস্য এবং দিল্লিস্থ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব।

আরও পড়ুন: কুনো অভয়ারণ্যে শেষ দুটি চিতার মৃত্যুর কারণ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মাওলানা আবদুর রফিক সাহেবের ইন্তেকাল

আপডেট : ১৪ এপ্রিল ২০২২, বৃহস্পতিবার

জয়নূল আবেদীন, মুর্শিদাবাদ: ইন্তেকাল করলেন মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব (ইন্না লিল্লাহি…)। বুধবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিট নাগাদ তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ১১ রমযানী সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ির কাছে মসজিদ-সংলগ্ন গোরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এদিন তাঁর দোয়ায়ে মাগফিরাতে শামিল হয়েছিলেন আত্মীয়-স্বজন ছাড়াও অগণিত মানুষ। মৃদু এবং মিষ্টভাষী এই মানুষটির সান্নিধ্যে যারা এসেছেন তারা সমৃদ্ধ ও মুগ্ধ হয়েছিলেন।

সারা বাংলায় পরিচিত মুখ ছিলেন জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ থানার গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন—  ১৯৩৯ সালে। এমএম পাস করে ১৯৯৬০ সালে তিনি শিক্ষকতায় যোগ দেন মুর্শিদাবাদের নিমগ্রাম বেলুড়ি হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে।

আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায় মৃত্যু ভারতীয়র, আত্মহত্যা অনুমান পুলিশের

মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব শিক্ষকতার পাশাপাশি জঙ্গিপুর কলেজ থেকে প্রাতঃকালীন শাখায় ভর্তি হয়ে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। অবসর গ্রহণ করেন ১৯৯৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। তিনি নিজ বাড়িতে গড়ে তুলেছিলেন বিশাল এক লাইব্রেরি। শুধু ধর্মীয় নয়, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, সমাজ, ইতিহাস, সাহিত্যের বহু রত্ন সমৃদ্ধ তাঁর নিজস্ব পাঠাগার। সুবক্তা হিসেবে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।

আরও পড়ুন: ফের ভিনরাজ্যে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের, শোক পরিবারে

১৯৭৩-এ কলকাতায় বাংলা ইসলামি প্রকাশনী ট্রাস্ট গঠিত হলে সিদ্ধান্ত হয় সাপ্তাহিক মীযান প্রকাশনার এবং ইসলামি গ্রন্থাদি প্রকাশের। তখন এই কাজে তহবিল সংগ্রহের দায় গ্রহণ করেছিলেন তিনি। বিদ্যাচর্চা ছাড়াও অসাধারণ সংগঠক ছিলেন মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব। জামায়াতে ইসলামী হিন্দের মুর্শিদাবাদ জেলা নাজিম পরে মুর্শিদাবাদ-সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গের নাজিম পশ্চিমবঙ্গ মজলিশে সুরার বিশিষ্ট সদস্য এবং দিল্লিস্থ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মাওলানা আবদুর রফিক সাহেব।

আরও পড়ুন: কুনো অভয়ারণ্যে শেষ দুটি চিতার মৃত্যুর কারণ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব