১৬ জুন ২০২৫, সোমবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাহুল গান্ধীকে লেখা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন: অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্টভাবে জানান

চামেলি দাস
  • আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার
  • / 93

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:   মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত রাহুল গান্ধীর লেখার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাকে স্পষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছে। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি ও তার সঙ্গীরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কারচুপি করেছে, এবং সংবাদপত্রে মন্তব্য না করে নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের করার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

গত ৭ জুন রাহুল গান্ধীর লেখা প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি দাবি করেন, পাঁচটি পর্যায়ে বিজেপি এবং তার সহযোগীরা নির্বাচন কারচুপি করেছে। তিনি বলেন, প্রথমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে পছন্দের লোককে নিয়োগ, দ্বিতীয়ত ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, তৃতীয়ত ভোটের হার বাড়ানো, চতুর্থত ভুয়ো ভোট দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ, এবং পঞ্চমত নির্বাচন নথি নষ্ট করা।

আরও পড়ুন: ভোটের হার জানতে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষনা নির্বাচন কমিশনের  

এছাড়াও, রাহুল গান্ধী ২০২৩ সালের নির্বাচনী কমিশনার নিয়োগ সংশোধনী আইনের সমালোচনা করেছেন, যা তিনি দাবি করেন স্বচ্ছতার প্রশ্নে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এই আইনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পরিবর্তে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কমিশনার বাছাই কমিটিতে রাখা হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষেই ঝুঁকে আছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের কথাতেই আত্মসমর্পণ, এবার মোদিকে খোঁচা রাহুলের

বিজেপি এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে, দাবি করেছে যে কংগ্রেস শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে এসব অভিযোগ করছে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালন্য জানিয়েছেন, কংগ্রেস যেসব রাজ্যে জয়ী হয়েছে, সেখানে নির্বাচন স্বচ্ছভাবে হয়েছে, কিন্তু বিজেপি যেখানে জয়ী হয়েছে সেখানে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাহুল গান্ধির

রাহুল গান্ধী এক্সহ্যান্ডেলে লিখেছেন, মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী কারচুপি ২০২৪ সালে বিহারে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য রাজ্যেও ঘটতে পারে, যেখানে বিজেপি পরাজিত হতে পারে। ২০২৩ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, অজিত পাওয়ারের এনসিপি এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনার ‘মহাযুতি’ জোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩৫টি আসন জিতেছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের মধ্যে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাহুল গান্ধীকে লেখা প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশন: অভিযোগ থাকলে নির্দিষ্টভাবে জানান

আপডেট : ১০ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক:   মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত রাহুল গান্ধীর লেখার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তাকে স্পষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছে। রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন যে বিজেপি ও তার সঙ্গীরা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কারচুপি করেছে, এবং সংবাদপত্রে মন্তব্য না করে নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ দায়ের করার আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

গত ৭ জুন রাহুল গান্ধীর লেখা প্রকাশিত হয়, যেখানে তিনি দাবি করেন, পাঁচটি পর্যায়ে বিজেপি এবং তার সহযোগীরা নির্বাচন কারচুপি করেছে। তিনি বলেন, প্রথমে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে পছন্দের লোককে নিয়োগ, দ্বিতীয়ত ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, তৃতীয়ত ভোটের হার বাড়ানো, চতুর্থত ভুয়ো ভোট দিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ, এবং পঞ্চমত নির্বাচন নথি নষ্ট করা।

আরও পড়ুন: ভোটের হার জানতে বড় সিদ্ধান্ত ঘোষনা নির্বাচন কমিশনের  

এছাড়াও, রাহুল গান্ধী ২০২৩ সালের নির্বাচনী কমিশনার নিয়োগ সংশোধনী আইনের সমালোচনা করেছেন, যা তিনি দাবি করেন স্বচ্ছতার প্রশ্নে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, এই আইনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির পরিবর্তে একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে কমিশনার বাছাই কমিটিতে রাখা হয়েছে, যা কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষেই ঝুঁকে আছে।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের কথাতেই আত্মসমর্পণ, এবার মোদিকে খোঁচা রাহুলের

বিজেপি এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে, দাবি করেছে যে কংগ্রেস শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে এসব অভিযোগ করছে। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালন্য জানিয়েছেন, কংগ্রেস যেসব রাজ্যে জয়ী হয়েছে, সেখানে নির্বাচন স্বচ্ছভাবে হয়েছে, কিন্তু বিজেপি যেখানে জয়ী হয়েছে সেখানে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ।

আরও পড়ুন: পাকিস্তানী হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন প্যাকেজ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি রাহুল গান্ধির

রাহুল গান্ধী এক্সহ্যান্ডেলে লিখেছেন, মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী কারচুপি ২০২৪ সালে বিহারে এবং পরবর্তীতে অন্যান্য রাজ্যেও ঘটতে পারে, যেখানে বিজেপি পরাজিত হতে পারে। ২০২৩ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি, অজিত পাওয়ারের এনসিপি এবং একনাথ শিন্ডের শিবসেনার ‘মহাযুতি’ জোট ২৮৮টি আসনের মধ্যে ২৩৫টি আসন জিতেছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিরোধীদের মধ্যে।