০১ অগাস্ট ২০২৫, শুক্রবার, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টে জামিন পেলেন না মানিক ভট্টাচার্য

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 105

পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের জামিন বিষয়ক মামলা। এদিন এজলাসে সওয়াল-জবাব পর্বে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী জানান, -‘জেলা প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ তার দায় এড়াতে পারে না’। এরপরই মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক বলে আবেদন জানানো হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চ এদিন তাঁর জামিনের আবেদন পত্রপাঠ বাতিল করে দিয়েছে।

এদিন ইডি’র আইনজীবী আদালতে বলেন, “মানিক ভট্টাচার্য কিছু করেনি বলা হচ্ছে তারপরও অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট উদ্ধার করেছে সিবিআই। আমরা আর্থিক দুর্নীতি দেখছি। মামলায় দেখানো হয়েছে কীভাবে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এখানে সবাই বলে টাকা আমার নয়। পার্থও বলবে অর্পিতার টাকা ওর নয়।”এই সওয়ালের মাঝেই বিচারপতি ইডি’র কাছে জানতে চান, ‘আপনার হাতে এমন কোনও ওএমআর শিট আছে যেটা প্রভাবিত করা হয়েছে ?” যার উত্তরে ইডি’র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “কারা চাকরি পেয়েছে কারা পায়নি সেটা তদন্ত করছে সিবিআই। আমরা মানি ট্রেলের তদন্ত করছি। বাড়ি থেকে তালিকার সিডি পাওয়া গিয়েছে । অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছে ।”বিচারপতির পালটা প্রশ্ন, “পর্ষদ সভাপতির বাড়িতে তালিকার সিডি থাকতেই পারে। তার বাড়িতে কেস ফাইল থাকতে পারে না ?”

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যর তরফে আইনজীবী বলেন, “ইডি বলছে ক্রাইমের তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআই-এর চার্জশিটে আমার মক্কেলের নাম নেই। আমার মক্কেল টাকা নিয়েছে এই ধরনের সরাসরি কোনও তথ্য বা প্রমাণও নেই।”মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী আরও বলেন, “প্রেডিকেট অফ অফেন্সের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিবিআই কেসে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষা কবচ দিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি নয়। তাপস মণ্ডল, তাপস ঘোষ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ও কুন্তলের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ। যা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ করেছে। সে নিয়োগ প্রাক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়।”আইনজীবীর আরও দাবি, “মেধা তালিকা প্রকাশ করে বোর্ড। তারপরই তো জেলা প্রাথমিক বোর্ড নিয়োগ করে।চার্জশিটে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ নেই। তিনি সরাসরি তো টাকা নেননি। তার কোনও প্রমাণও নেই।”

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ তার দায় এড়াতে পারে না । এরপরই মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক বলে আবেদন জানানো হয়। জেলেই থাকতে হবে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘এই মুহূর্তে জামিন দিলে ইডির তদন্তে প্রভাব পড়বে। সমাজে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না’।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হাইকোর্টে জামিন পেলেন না মানিক ভট্টাচার্য

আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে উঠে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের জামিন বিষয়ক মামলা। এদিন এজলাসে সওয়াল-জবাব পর্বে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী জানান, -‘জেলা প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ তার দায় এড়াতে পারে না’। এরপরই মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক বলে আবেদন জানানো হয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গেল বেঞ্চ এদিন তাঁর জামিনের আবেদন পত্রপাঠ বাতিল করে দিয়েছে।

এদিন ইডি’র আইনজীবী আদালতে বলেন, “মানিক ভট্টাচার্য কিছু করেনি বলা হচ্ছে তারপরও অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট উদ্ধার করেছে সিবিআই। আমরা আর্থিক দুর্নীতি দেখছি। মামলায় দেখানো হয়েছে কীভাবে বিপুল আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে। এখানে সবাই বলে টাকা আমার নয়। পার্থও বলবে অর্পিতার টাকা ওর নয়।”এই সওয়ালের মাঝেই বিচারপতি ইডি’র কাছে জানতে চান, ‘আপনার হাতে এমন কোনও ওএমআর শিট আছে যেটা প্রভাবিত করা হয়েছে ?” যার উত্তরে ইডি’র আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “কারা চাকরি পেয়েছে কারা পায়নি সেটা তদন্ত করছে সিবিআই। আমরা মানি ট্রেলের তদন্ত করছি। বাড়ি থেকে তালিকার সিডি পাওয়া গিয়েছে । অ্যাডমিট কার্ডও পাওয়া গিয়েছে ।”বিচারপতির পালটা প্রশ্ন, “পর্ষদ সভাপতির বাড়িতে তালিকার সিডি থাকতেই পারে। তার বাড়িতে কেস ফাইল থাকতে পারে না ?”

আরও পড়ুন: দিল্লিতে আটক পরিযায়ী শ্রমিকদের কি বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে?  কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট চাইলো হাইকোর্ট 

অন্যদিকে মানিক ভট্টাচার্যর তরফে আইনজীবী বলেন, “ইডি বলছে ক্রাইমের তদন্ত করছে সিবিআই। সিবিআই-এর চার্জশিটে আমার মক্কেলের নাম নেই। আমার মক্কেল টাকা নিয়েছে এই ধরনের সরাসরি কোনও তথ্য বা প্রমাণও নেই।”মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী আরও বলেন, “প্রেডিকেট অফ অফেন্সের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সিবিআই কেসে সুপ্রিম কোর্ট রক্ষা কবচ দিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সরাসরি নয়। তাপস মণ্ডল, তাপস ঘোষ, সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ও কুন্তলের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযোগ। যা করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ করেছে। সে নিয়োগ প্রাক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নয়।”আইনজীবীর আরও দাবি, “মেধা তালিকা প্রকাশ করে বোর্ড। তারপরই তো জেলা প্রাথমিক বোর্ড নিয়োগ করে।চার্জশিটে আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ নেই। তিনি সরাসরি তো টাকা নেননি। তার কোনও প্রমাণও নেই।”

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ তার দায় এড়াতে পারে না । এরপরই মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক বলে আবেদন জানানো হয়। জেলেই থাকতে হবে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতিকে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের পর্যবেক্ষণ, ‘এই মুহূর্তে জামিন দিলে ইডির তদন্তে প্রভাব পড়বে। সমাজে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না’।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট