২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেকেন্দ্রবাদে গুদামে আগুন, ঝলসে পুড়ে মৃত্যু ১১ জন শ্রমিকের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, বুধবার
  • / 15

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গুদামের মধ্যে আগুনে পুড়ে ঝলসে মৃত্যু হল ১১ জন শ্রমিকের।  বাঁচার চেষ্টায় দরজার সামনেও পৌঁছতে পারেননি তারা। শুধুই ভিতর থেকে ভেসে আসছিল আর্ত চিৎকার।  তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদের ভোইগুডায় ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাঠের গুদামে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব সোমেশ কুমারকে দেহগুলি সুরক্ষিতভাবে বিহারে পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে আটটি দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও তিনটি দেহ পাওয়া যায়। সবকটি দেহই গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কর্মীদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। কর্মীরা আদতে বিহারের বাসিন্দা। কর্মসূত্রেই সেকেন্দ্রাবাদে থাকতেন।

আরও পড়ুন: বেকবাগানে বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

পুলিশ সূত্রে খবর, সেকেন্দ্রাবাদের ভোইগুডায় মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ একটি কাঠের স্ক্রাপ গোডাউনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। গোডাউনের ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ ও কাঠ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গুদামের মধ্যে মোট ১২ জন কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে আসতে পারলেও, বাকিরা আগুনে পুড়ে মারা যান।

আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন ইসরো প্রধান K Kasturirangan

ভোররাতে আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একাধিক দমকল বাহিনী। প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও গোডাউনের বেশ কিছু অংশে ফায়ার পকেট থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সেকেন্দ্রবাদে গুদামে আগুন, ঝলসে পুড়ে মৃত্যু ১১ জন শ্রমিকের

আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ গুদামের মধ্যে আগুনে পুড়ে ঝলসে মৃত্যু হল ১১ জন শ্রমিকের।  বাঁচার চেষ্টায় দরজার সামনেও পৌঁছতে পারেননি তারা। শুধুই ভিতর থেকে ভেসে আসছিল আর্ত চিৎকার।  তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদের ভোইগুডায় ঘটনা। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, কাঠের গুদামে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন তেলেঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন। রাজ্যের মুখ্যসচিব সোমেশ কুমারকে দেহগুলি সুরক্ষিতভাবে বিহারে পাঠানোর ব্যবস্থা করার নির্দেশও দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: ফের শহরের দু’প্রান্তে বিধ্বংসী আগুন

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রথমে আটটি দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে আরও তিনটি দেহ পাওয়া যায়। সবকটি দেহই গান্ধী হাসপাতালে পাঠানো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কর্মীদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন বলে জানা গেছে। কর্মীরা আদতে বিহারের বাসিন্দা। কর্মসূত্রেই সেকেন্দ্রাবাদে থাকতেন।

আরও পড়ুন: বেকবাগানে বহুতলে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৮টি ইঞ্জিন

পুলিশ সূত্রে খবর, সেকেন্দ্রাবাদের ভোইগুডায় মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ একটি কাঠের স্ক্রাপ গোডাউনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। গোডাউনের ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ ও কাঠ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গুদামের মধ্যে মোট ১২ জন কর্মী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন সুরক্ষিতভাবে বেরিয়ে আসতে পারলেও, বাকিরা আগুনে পুড়ে মারা যান।

আরও পড়ুন: প্রয়াত প্রাক্তন ইসরো প্রধান K Kasturirangan

ভোররাতে আগুন লাগার খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একাধিক দমকল বাহিনী। প্রায় কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও গোডাউনের বেশ কিছু অংশে ফায়ার পকেট থাকার আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।