২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অমানবিক, ৫০ জন শিশু পড়ুয়াকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে বেত্রাঘাত

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার
  • / 37

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের পর ঝাড়খণ্ড। ফের প্রকাশ্যে অমানবিক ঘটনা। ৫০ জনেরও বেশি শিশু পড়ুয়াকে লাইনে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে চলল মারধর। স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারণেই অধ্যক্ষ চন্দন কুমার শর্মা এমন অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের পালামুর সাতবারওয়া থানার ভোগু গ্রামের ইন্ডিয়ান পাবলিক স্কুলে।

জানা গিয়েছে, গ্রামে প্রতি বছরই ‘কালশ যাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সবাই অংশগ্রহণ করেন। গত সোমবার তাদের গ্রামে খামডিহে আয়োজিত ওই ‘কালশ যাত্রা’য় অংশ নিয়েছিল পড়ুয়ারা। যে কারণেই ইউকেজি থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিশু পড়ুয়ারা স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারেনি। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ‘ক্লাসে অনুপস্থিত থাকাই অধ্যক্ষ তাদের লাঠি দিয়ে নির্বিচারে মারধর করেছেন’। মারধরের কথা বাবা-মা’কে না বলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও পড়ুয়াদের অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিহারে নিহত আরও এক মাওবাদী কমান্ডার

 

আরও পড়ুন: হোলি উৎসব: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ডের গিরিডি

পঞ্চম শ্রেণীর আরেক ছাত্র বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষ স্যারকে বলেই গ্রামে ‘কালশ যাত্রা’য় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের লাঠি দিয়ে নির্বিচারে মারধর করেন। শরীরে লাঠির দাগ বসে গিয়েছে’। পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে বাবা-মা’কে ঘটনাটি জানায়। শরীরে লাঠির দাগ দেখে ক্ষিপ্ত বাবা-মা স্থানীয় থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ জানান। যদিও পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। সাতবারওয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত কুমার সোনি জানিয়েছেন, ‘এবিষয়ে কোনও লিখিত পায়নি। তবে ঘটনাটা জেনেছি। বিশদ বিবরণ জানার জন্য স্কুলের অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, তদন্ত শেষ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

আরও পড়ুন: আদিবাসী যুবকের সঙ্গে প্রেম, বোনকে কুপিয়ে খুন করল দাদারা

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অমানবিক, ৫০ জন শিশু পড়ুয়াকে এক সারিতে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে বেত্রাঘাত

আপডেট : ৩০ অগাস্ট ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের পর ঝাড়খণ্ড। ফের প্রকাশ্যে অমানবিক ঘটনা। ৫০ জনেরও বেশি শিশু পড়ুয়াকে লাইনে দাঁড় করিয়ে নির্বিচারে চলল মারধর। স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারণেই অধ্যক্ষ চন্দন কুমার শর্মা এমন অমানবিক ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঝাড়খণ্ডের পালামুর সাতবারওয়া থানার ভোগু গ্রামের ইন্ডিয়ান পাবলিক স্কুলে।

জানা গিয়েছে, গ্রামে প্রতি বছরই ‘কালশ যাত্রা’ অনুষ্ঠিত হয়। তাতে সবাই অংশগ্রহণ করেন। গত সোমবার তাদের গ্রামে খামডিহে আয়োজিত ওই ‘কালশ যাত্রা’য় অংশ নিয়েছিল পড়ুয়ারা। যে কারণেই ইউকেজি থেকে পঞ্চম শ্রেণীর শিশু পড়ুয়ারা স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারেনি। পড়ুয়াদের অভিযোগ, ‘ক্লাসে অনুপস্থিত থাকাই অধ্যক্ষ তাদের লাঠি দিয়ে নির্বিচারে মারধর করেছেন’। মারধরের কথা বাবা-মা’কে না বলার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। অন্যথায় তাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলেও পড়ুয়াদের অভিযোগ।

আরও পড়ুন: বিহারে নিহত আরও এক মাওবাদী কমান্ডার

 

আরও পড়ুন: হোলি উৎসব: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের উত্তপ্ত ঝাড়খণ্ডের গিরিডি

পঞ্চম শ্রেণীর আরেক ছাত্র বলেন, ‘আমরা অধ্যক্ষ স্যারকে বলেই গ্রামে ‘কালশ যাত্রা’য় অংশ নিতে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের লাঠি দিয়ে নির্বিচারে মারধর করেন। শরীরে লাঠির দাগ বসে গিয়েছে’। পড়ুয়ারা বাড়ি ফিরে বাবা-মা’কে ঘটনাটি জানায়। শরীরে লাঠির দাগ দেখে ক্ষিপ্ত বাবা-মা স্থানীয় থানায় গিয়ে মৌখিক অভিযোগ জানান। যদিও পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। সাতবারওয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অমিত কুমার সোনি জানিয়েছেন, ‘এবিষয়ে কোনও লিখিত পায়নি। তবে ঘটনাটা জেনেছি। বিশদ বিবরণ জানার জন্য স্কুলের অধ্যক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি, তদন্ত শেষ হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

আরও পড়ুন: আদিবাসী যুবকের সঙ্গে প্রেম, বোনকে কুপিয়ে খুন করল দাদারা