২২ জুন ২০২৫, রবিবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামিন পেলেন বুলডোজারে ঘর খোয়ানো সমাজকর্মী জাভেদ

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
  • / 32

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জামিন পেলেন ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা জাভেদ মুহাম্মদ। শনিবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। নবী সা-র বিরুদ্ধে নূপুর শর্মার অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে গোটা দেশ যখন তোলপাড় তখন নূপুরের মন্তব্যের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন জাভেদও। ২০২২-এর ১০ জুন ইলাহাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।

জাভেদ জামিন পেলেও আপাতত কারাগারেই থাকতে হবে তাঁকে। একটি মামলায় জামিন পেলেও আরও দুটি মামলায় জামিন পাওয়া বাকি। সেগুলি এখনও বিচারাধীন। জাভেদের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত। দুটি মামলা, কোভিড ১৯ নির্দেশিকা লঙ্ঘনের জন্য দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক সৌম্য বিশ্বনাথনের খুনিদের জামিন

১০ জুন গ্রেফতার করা হয় জাভেদকে। ১১ জুন বুলডোজ করে দেওয়া হয় তাঁরই বাড়ি। দাদাগিরি দেখাতে ‘বাহুবলি’ প্রয়াগরাজ অথারিটি নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে জাভেদের বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এই দাদাগিরিকে বৈধ করতে তারা ঘোষণা করে যে জাভেদের বাড়ি অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Breaking: প্রভাবশালী তত্ত্বে ফের খারিজ পার্থর জামিন

প্রয়াগরাজ প্রশাসনের এমন জুলুমের নিন্দা হয়েছিল বিদেশেও। সবথেকে আশ্চর্যের কথা হল যার ঘর বুলডোজ করা হয়েছিল, জেলে ঢোকানো হয়েছিল তাকেই। এই মামলায় জামিন দিতে গিয়ে বিচারপতি সমীর জৈনের বেঞ্চ বলে ‘জামিন একটি নিয়ম, জেল একটি ব্যতিক্রম। শাস্তিমূলক উদ্দেশ্যে জামিন প্রত্যাখ্যান করা যায় না।’ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট বলে ‘আবেদনকারী জাভেদ এই ধরনের সহিংসতার জন্য দায়ী বলে মনে হচ্ছে না। তার পাশে দাঁড়াতে যদি তাঁর সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত হন, তারা যদি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন তাহলে তার দায় আবেদনকারীর নয়।’

আরও পড়ুন: স্পেসএক্সে চাকরি পেল ১৪ বছরের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত

জাভেদের আইনজীবী এসএফএ নাকভি বলেন, তাঁর মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবকটিই ভিত্তিহীন। তাছাড়া কারো কাছে এমন প্রমাণ নেই যে জাভেদ সরাসরি সহিংসতায় জড়িত ছিলেন। তিনি যে পরোক্ষে জনগণকে উস্কানি দিয়েছিলেন এমন কোনও প্রমাণও নেই। সুতরাং বাকিদের সহিংসতার জন্য একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে আটকে রাখা যায় না। সেই যুক্তিতেই আদালত এই মামলা থেকে জাভেদকে জামিন দিয়েছে। জাভেদের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ, কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তাঁকে এমন নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জামিন পেলেন বুলডোজারে ঘর খোয়ানো সমাজকর্মী জাভেদ

আপডেট : ৩০ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: জামিন পেলেন ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা জাভেদ মুহাম্মদ। শনিবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। নবী সা-র বিরুদ্ধে নূপুর শর্মার অবমাননাকর মন্তব্যের বিরুদ্ধে গোটা দেশ যখন তোলপাড় তখন নূপুরের মন্তব্যের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়েছিলেন জাভেদও। ২০২২-এর ১০ জুন ইলাহাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।

জাভেদ জামিন পেলেও আপাতত কারাগারেই থাকতে হবে তাঁকে। একটি মামলায় জামিন পেলেও আরও দুটি মামলায় জামিন পাওয়া বাকি। সেগুলি এখনও বিচারাধীন। জাভেদের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছেন তাঁর বিরুদ্ধে ১১ টি মামলা করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি বিদ্যুৎ সংক্রান্ত। দুটি মামলা, কোভিড ১৯ নির্দেশিকা লঙ্ঘনের জন্য দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক সৌম্য বিশ্বনাথনের খুনিদের জামিন

১০ জুন গ্রেফতার করা হয় জাভেদকে। ১১ জুন বুলডোজ করে দেওয়া হয় তাঁরই বাড়ি। দাদাগিরি দেখাতে ‘বাহুবলি’ প্রয়াগরাজ অথারিটি নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা না করে জাভেদের বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। এই দাদাগিরিকে বৈধ করতে তারা ঘোষণা করে যে জাভেদের বাড়ি অবৈধভাবে নির্মিত হয়েছিল।

আরও পড়ুন: Breaking: প্রভাবশালী তত্ত্বে ফের খারিজ পার্থর জামিন

প্রয়াগরাজ প্রশাসনের এমন জুলুমের নিন্দা হয়েছিল বিদেশেও। সবথেকে আশ্চর্যের কথা হল যার ঘর বুলডোজ করা হয়েছিল, জেলে ঢোকানো হয়েছিল তাকেই। এই মামলায় জামিন দিতে গিয়ে বিচারপতি সমীর জৈনের বেঞ্চ বলে ‘জামিন একটি নিয়ম, জেল একটি ব্যতিক্রম। শাস্তিমূলক উদ্দেশ্যে জামিন প্রত্যাখ্যান করা যায় না।’ ইলাহাবাদ হাইকোর্ট বলে ‘আবেদনকারী জাভেদ এই ধরনের সহিংসতার জন্য দায়ী বলে মনে হচ্ছে না। তার পাশে দাঁড়াতে যদি তাঁর সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত হন, তারা যদি সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন তাহলে তার দায় আবেদনকারীর নয়।’

আরও পড়ুন: স্পেসএক্সে চাকরি পেল ১৪ বছরের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত

জাভেদের আইনজীবী এসএফএ নাকভি বলেন, তাঁর মক্কেল সম্পূর্ণ নির্দোষ। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবকটিই ভিত্তিহীন। তাছাড়া কারো কাছে এমন প্রমাণ নেই যে জাভেদ সরাসরি সহিংসতায় জড়িত ছিলেন। তিনি যে পরোক্ষে জনগণকে উস্কানি দিয়েছিলেন এমন কোনও প্রমাণও নেই। সুতরাং বাকিদের সহিংসতার জন্য একজন নির্দোষ ব্যক্তিকে আটকে রাখা যায় না। সেই যুক্তিতেই আদালত এই মামলা থেকে জাভেদকে জামিন দিয়েছে। জাভেদের পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ, কেবল ধর্মীয় পরিচয়ের কারণেই তাঁকে এমন নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে।