০৩ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র মিললে তেরো বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

কিবরিয়া আনসারি
  • আপডেট : ৩১ অগাস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার
  • / 32

পারিজাত মোল্লা: মেডিকেল ছাড়পত্র পেলেই এক তেরো বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী কিশোরীর ২৬ সপ্তাহের ভ্রণ অপসারিত করবে এসএসকেএম। দেশের শীর্ষ আদালত যেখানে ২৮ সপ্তাহের ভ্রুণ অপসারণের অনুমতি দিয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

আদালত সুত্রে প্রকাশ, পূর্ব মেদিনীপুরের চিফ মেডিকেল অফিসারকে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, ‘অবিলম্বে তিনি ওই কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসবেন। কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম মেডিকেল বোর্ড গড়বে। মেডিকেল ছাড়পত্র পেলে সম্ভব হলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গর্ভপাত করতে হবে’। নতুন প্রাণ সৃষ্টির খবর পরিবারে আনন্দ নিয়ে আসে। এমন ক্ষেত্রে সৃষ্ট হয় অসীম যন্ত্রণা। পূর্ব মেদিনীপুরের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি হাইকোর্টের লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির দ্বারস্থ হয়। ওই কমিটি ব্যতিক্রমীভাবে কিশোরীর অভিভাবক হিসেবে গর্ভপাতের জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করে।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

 

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন বিচারপতি Joymalya Bagchi

ওই নাবালিকার বাবা-মা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ১৩ বছরের নাবালিকা ও তার বোন থাকত দাদুর কাছে। অভাবের মধ্যেই দিন কাটে। আর সেই সুযোগেই পাশের বাড়ির কাকু খাবার দেওয়ার নামে মাঝেমধ্যেই নাবালিকাকে বাড়িতে ডাকত। সেইসময় কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন করা হত। তারপরই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। ২৫ সপ্তাহ ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পূর্ব মেদিনীপুরের নাবালিকার পরিবার।

 

প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই আদালত ১১ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। কয়েক মাস আগেই পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় পঞ্চম শ্রেণীর ১১ বছরের নাবালিকা। তারপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ওই নাবালিকা বাবা-মা আদালতের দ্বারস্থ হন। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা ভেবেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। এসএসকেএম হাসপাতালে গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদক

কিবরিয়া আনসারি

Kibria obtained a master's degree in journalism from Aliah University. He has been in journalism since 2018, gaining work experience in multiple organizations. Focused and sincere about his work, Kibria is currently employed at the desk of Purber Kalom.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মেডিকেল বোর্ডের ছাড়পত্র মিললে তেরো বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের

আপডেট : ৩১ অগাস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার

পারিজাত মোল্লা: মেডিকেল ছাড়পত্র পেলেই এক তেরো বছরের কিশোরীর গর্ভপাতের অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশ অনুযায়ী কিশোরীর ২৬ সপ্তাহের ভ্রণ অপসারিত করবে এসএসকেএম। দেশের শীর্ষ আদালত যেখানে ২৮ সপ্তাহের ভ্রুণ অপসারণের অনুমতি দিয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলায় রাজ্যের স্বস্তি, মামলায় জরুরি হস্তক্ষেপে ‘না’ হাইকোর্টের, নিয়োগে রইল না বাধা

আদালত সুত্রে প্রকাশ, পূর্ব মেদিনীপুরের চিফ মেডিকেল অফিসারকে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের নির্দেশ, ‘অবিলম্বে তিনি ওই কিশোরীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসবেন। কিশোরীকে পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম মেডিকেল বোর্ড গড়বে। মেডিকেল ছাড়পত্র পেলে সম্ভব হলে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে গর্ভপাত করতে হবে’। নতুন প্রাণ সৃষ্টির খবর পরিবারে আনন্দ নিয়ে আসে। এমন ক্ষেত্রে সৃষ্ট হয় অসীম যন্ত্রণা। পূর্ব মেদিনীপুরের চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি হাইকোর্টের লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির দ্বারস্থ হয়। ওই কমিটি ব্যতিক্রমীভাবে কিশোরীর অভিভাবক হিসেবে গর্ভপাতের জন্য আদালতের অনুমতি প্রার্থনা করে।

আরও পড়ুন: হাওড়ায় রামনবমী পালনে আয়োজকদের ‘কড়া শর্তাবলি’ দিল কলকাতা হাইকোর্ট

 

আরও পড়ুন: শপথ নিলেন বিচারপতি Joymalya Bagchi

ওই নাবালিকার বাবা-মা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ১৩ বছরের নাবালিকা ও তার বোন থাকত দাদুর কাছে। অভাবের মধ্যেই দিন কাটে। আর সেই সুযোগেই পাশের বাড়ির কাকু খাবার দেওয়ার নামে মাঝেমধ্যেই নাবালিকাকে বাড়িতে ডাকত। সেইসময় কিশোরীকে শারীরিক নির্যাতন করা হত। তারপরই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে সে। ২৫ সপ্তাহ ৪ দিনের অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী। এমন পরিস্থিতিতে গর্ভপাতের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পূর্ব মেদিনীপুরের নাবালিকার পরিবার।

 

প্রসঙ্গত, চলতি মাসেই আদালত ১১ বছরের নাবালিকার গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল। কয়েক মাস আগেই পাড়ায় খেলতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হয় পঞ্চম শ্রেণীর ১১ বছরের নাবালিকা। তারপর অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ওই নাবালিকা বাবা-মা আদালতের দ্বারস্থ হন। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই নাবালিকার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার কথা ভেবেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। এসএসকেএম হাসপাতালে গর্ভপাত করানোর নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।