২৭ নভেম্বর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘নো মুসলিম বোর্ড’ সরানো হবে কেরলের একটি মন্দির থেকে

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার
  • / 109

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেরলের একটি মন্দির থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ‘নো মুসলিম বোর্ড’।  সম্প্রতি মন্দির কর্তৃপক্ষ এমনই ঘোষণা দিয়েছেন।  মুসলিমরা যেন মন্দিরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য মন্দিরের প্রবেশ পথেই মালওয়ালি ভাষায়  লেখা সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়েই চলছিল বিতর্ক। সম্প্রতি মন্দির  কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, মুসলিমদের প্রবেশাধিকার বহু বছর ধরেই নিষিদ্ধ ছিল ওই  মন্দিরে। গত বছর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রবেশের পক্ষে  এবং বিপক্ষে বিতর্ক হয়। মন্দিরের এক পরিচালক বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই ‘বোর্ড’ মন্দিরে কোনো স্থানেই থাকবে না। এই মন্দিরের ঐতিহ্য ধর্মনিরপেক্ষতা। একটি সম্প্রদায়ের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা অপমানজনক। তাই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গেরুয়াবাদীরা (বিজেপি) ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে। আপত্তিজনক মন্তব্য করায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করেছে।

প্রতিবেদক

ইমামা খাতুন

২০২২ সাল থেকে সংবাদ জগতের সঙ্গে যুক্ত। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতাতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে রিপোর্টার হিসেবে হাতেখড়ি। ২০২২ সালের শেষান্তে পুবের কলম-এর সঙ্গে যুক্ত হয়। ইমামার ভাষ্যে, The First Law of Journalism: to confirm existing prejudice, rather than contradict it.

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘নো মুসলিম বোর্ড’ সরানো হবে কেরলের একটি মন্দির থেকে

আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: কেরলের একটি মন্দির থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ‘নো মুসলিম বোর্ড’।  সম্প্রতি মন্দির কর্তৃপক্ষ এমনই ঘোষণা দিয়েছেন।  মুসলিমরা যেন মন্দিরে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য মন্দিরের প্রবেশ পথেই মালওয়ালি ভাষায়  লেখা সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই নিয়েই চলছিল বিতর্ক। সম্প্রতি মন্দির  কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, মুসলিমদের প্রবেশাধিকার বহু বছর ধরেই নিষিদ্ধ ছিল ওই  মন্দিরে। গত বছর এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। প্রবেশের পক্ষে  এবং বিপক্ষে বিতর্ক হয়। মন্দিরের এক পরিচালক বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই ‘বোর্ড’ মন্দিরে কোনো স্থানেই থাকবে না। এই মন্দিরের ঐতিহ্য ধর্মনিরপেক্ষতা। একটি সম্প্রদায়ের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা অপমানজনক। তাই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

গেরুয়াবাদীরা (বিজেপি) ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্দির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে। আপত্তিজনক মন্তব্য করায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করেছে।