১৭ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে চালু হচ্ছে আউটডোর পরিষেবা

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, রবিবার
  • / 10

পুবের কলম প্রতিবেদক: রোগী-পরিবারের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার আগেই কিছু হাসপাতালের জন্য চালু করেছে অনলাইনে আউটডোর টিকিটের ব্যবস্থা।

এ বার রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে চালু হতে চলেছে এই পরিষেবা। বাংলার মানুষ যাতে বিনামূল্যে ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পান, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার চালু করেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় এই দুদিন হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকবে, নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

এবার রাজ্যের সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল মানুষদের ভোগান্তি কমাতে রাজ্যজুড়ে এক ও অভিন্ন আউটডোর-নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর চালু হচ্ছে আলিয়ায়

কীভাবে এই পরিষেবা প্রদান করা হবে, এই প্রসঙ্গে সমস্ত আউটডোর যুক্ত হবে উন্নত মানের কম্পিউটার ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়।

এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যে কোনও আউটডোর টিকিটের বিশেষ নম্বর ‘অ্যাকসেস’ করা যাবে স্বাস্থ্য দফতরের যে কোনও কম্পিউটার থেকেই। বড় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে রোগ ও রক্তপরীক্ষার জন্য সেখানে আর লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা ও জেলা সদরের মেডিকেল কলেজগুলি থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকার সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলে কয়েক হাজার সরকারি হাসপাতাল যুক্ত হবে এই নেটওয়ার্কে।

এই পদ্ধতিতে বিনামূল্যে রোগ বা রক্তপরীক্ষা করানো সম্ভব হবে। নতুন করে টিকিট করার প্রয়োজন পড়বে না।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, নয়া পরিকল্পনায় এলাকার হাসপাতালে নতুন করে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন পড়বে না। বড় হাসপাতালের টিকিট বাড়ির কাছের হাসপাতালে এন্ট্রি করিয়ে নিলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নির্ভর করছে জেলা, মহকুমা বা তার নীচের স্তরের হাসপাতালগুলিতে রোগ ও রক্তপরীক্ষার জন্য কী ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে, তার ওপর। কিছু কিছু বিশেষ পরীক্ষা হয় শুধুমাত্র বড় মেডিকেল কলেজগুলিতেই।

এই প্রসঙ্গে গ্রামীণ এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্য সরকার এই উদ্যোগ খুবই ভালো। ইদানিং গ্রাম-বাংলার হাসপাতালগুলিতেও বাড়ছে ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে নাজেহাল অবস্থা হয় রোগী পরিজনদের।

 

 
 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে চালু হচ্ছে আউটডোর পরিষেবা

আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: রোগী-পরিবারের সুবিধার জন্য রাজ্য সরকার আগেই কিছু হাসপাতালের জন্য চালু করেছে অনলাইনে আউটডোর টিকিটের ব্যবস্থা।

এ বার রাজ্যের সমস্ত হাসপাতালে চালু হতে চলেছে এই পরিষেবা। বাংলার মানুষ যাতে বিনামূল্যে ভাল চিকিৎসা পরিষেবা পান, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার চালু করেছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুজোয় এই দুদিন হাসপাতালের আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকবে, নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

এবার রাজ্যের সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার ওপর নির্ভরশীল মানুষদের ভোগান্তি কমাতে রাজ্যজুড়ে এক ও অভিন্ন আউটডোর-নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর চালু হচ্ছে আলিয়ায়

কীভাবে এই পরিষেবা প্রদান করা হবে, এই প্রসঙ্গে সমস্ত আউটডোর যুক্ত হবে উন্নত মানের কম্পিউটার ভিত্তিক যোগাযোগ ব্যবস্থায়।

এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যে কোনও আউটডোর টিকিটের বিশেষ নম্বর ‘অ্যাকসেস’ করা যাবে স্বাস্থ্য দফতরের যে কোনও কম্পিউটার থেকেই। বড় হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে রোগ ও রক্তপরীক্ষার জন্য সেখানে আর লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন পড়বে না।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা ও জেলা সদরের মেডিকেল কলেজগুলি থেকে শুরু করে গ্রামীণ এলাকার সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র মিলে কয়েক হাজার সরকারি হাসপাতাল যুক্ত হবে এই নেটওয়ার্কে।

এই পদ্ধতিতে বিনামূল্যে রোগ বা রক্তপরীক্ষা করানো সম্ভব হবে। নতুন করে টিকিট করার প্রয়োজন পড়বে না।

রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের দাবি, নয়া পরিকল্পনায় এলাকার হাসপাতালে নতুন করে ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন পড়বে না। বড় হাসপাতালের টিকিট বাড়ির কাছের হাসপাতালে এন্ট্রি করিয়ে নিলেই সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা।

এই পরিকল্পনা কতটা বাস্তবায়িত হবে, তা নির্ভর করছে জেলা, মহকুমা বা তার নীচের স্তরের হাসপাতালগুলিতে রোগ ও রক্তপরীক্ষার জন্য কী ধরনের পরিকাঠামো রয়েছে, তার ওপর। কিছু কিছু বিশেষ পরীক্ষা হয় শুধুমাত্র বড় মেডিকেল কলেজগুলিতেই।

এই প্রসঙ্গে গ্রামীণ এক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজ্য সরকার এই উদ্যোগ খুবই ভালো। ইদানিং গ্রাম-বাংলার হাসপাতালগুলিতেও বাড়ছে ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে নাজেহাল অবস্থা হয় রোগী পরিজনদের।