১৯ জুন ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিষেক ও সুব্রত বক্সির সঙ্গে দলীয় বৈঠক, মুর্শিদাবাদ নাম যুক্ত রাখার আর্জি সাংসদ ও বিধায়কদের

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 28

মুহাম্মদ মুস্তাক আলি: বুধবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাম্যাক স্ট্রিটের অফিসে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ও রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের সব তৃণমূল বিধায়ক ও দুজন সাংসদকে নিয়ে এক দলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ বিভাজিত হওয়ার পর জেলাগুলির নাম কি হবে, সে প্রসঙ্গও ওঠে।

মুর্শিদাবাদ জেলা তার জনসংখ্যা ও বিরাট আয়তনের জন্য বিভক্ত হওয়ার প্রয়োজন বলে দীর্ঘদিন ধরে সমাজকর্মী থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী মহল ও রাজনীতিবিদ্রা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

আরও পড়ুন: হাজারও মুসল্লির ঢল, উৎসবের আবহে ঈদ-উল-আযহা’র নামায সম্পন্ন লোহরপুর ঈদগাহ ময়দানে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবার ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলাকে বিভক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে কোহিতুর, নবাবপাসন্দ, রানিপাসন্দ আমে মাতবে ১ মাসব্যাপী আম উৎসব

অন্যান্য জেলা বিভাজনকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু অনেকে আপত্তি তুলেছেন মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভাগ করার পর নয়া বিভাজিত জেলাগুলির নাম কি হবে তা নিয়ে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর নাম নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন, তাহলে কি ঐহিত্যবাহী মুর্শিদাবাদ নামটি জেলা হিসেবে থাকবে না? অবশ্য রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে একথা বলেনি যে, জেলা হিসেবে মুর্শিদাবাদের নাম থাকছে না। মুখ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ঘোষণায় বলেছিলেন, ‘মুর্শিদাবাদ জেলা তো আছে, বহরমপুর ও জঙ্গিপুর হবে’।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে সমবায় নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার, দফায় দফায় সংঘর্ষ-হাতাহাতি

এই ঘোষণায় অনেকে মনে করতে থাকেন, তাহলে কি মুর্শিদাবাদ নামটি থাকছে না? এ নিয়ে জেলার হিন্দু-মুসলিমদের আপত্তির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নাখোদা মসজিদের ইমাম শফিক কাসেমী, সাংসদ খলিলুর রহমান, মন্ত্রী আখরুজ্জামানের মতো অনেকেই চিঠি লিখে এ বিষয়টিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদরা একযোগে সকলেই বিভাজিত জেলাগুলির সঙ্গে ‘মুর্শিদাবাদ’ নামটি যুক্ত রাখার আর্জি জানান। খলিলুর রহমান, আবু তাহের খান, সৌমিক হোসেন, মুহাম্মদ আখরুজ্জামান, মুহাম্মদ আলি প্রমুখ  জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদ নামের সঙ্গে জেলার মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এই জেলার ইতিহাস গৌরবময়। সারাবিশ্বে বাংলা ও ভারতের ইতিহাস প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের নাম সম্ভ্রমের সঙ্গে উচ্চারিত হয়। বিধায়ক-সাংসদরা মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে জেলা বিভাজিত করে উত্তর ও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ নাম রাখার প্রস্তাব দেন বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের দাবি, সুব্রত বক্সি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবটি গভীর সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অভিষেক ও সুব্রত বক্সির সঙ্গে দলীয় বৈঠক, মুর্শিদাবাদ নাম যুক্ত রাখার আর্জি সাংসদ ও বিধায়কদের

আপডেট : ৪ অগাস্ট ২০২২, বৃহস্পতিবার

মুহাম্মদ মুস্তাক আলি: বুধবার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাম্যাক স্ট্রিটের অফিসে বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ও রাজ্য সম্পাদক সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের সব তৃণমূল বিধায়ক ও দুজন সাংসদকে নিয়ে এক দলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে মুর্শিদাবাদ বিভাজিত হওয়ার পর জেলাগুলির নাম কি হবে, সে প্রসঙ্গও ওঠে।

মুর্শিদাবাদ জেলা তার জনসংখ্যা ও বিরাট আয়তনের জন্য বিভক্ত হওয়ার প্রয়োজন বলে দীর্ঘদিন ধরে সমাজকর্মী থেকে শুরু করে বুদ্ধিজীবী মহল ও রাজনীতিবিদ্রা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

আরও পড়ুন: হাজারও মুসল্লির ঢল, উৎসবের আবহে ঈদ-উল-আযহা’র নামায সম্পন্ন লোহরপুর ঈদগাহ ময়দানে

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সোমবার ঘোষণা করেন, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়া জেলাকে বিভক্ত করা হবে।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে কোহিতুর, নবাবপাসন্দ, রানিপাসন্দ আমে মাতবে ১ মাসব্যাপী আম উৎসব

অন্যান্য জেলা বিভাজনকে মানুষ স্বাগত জানিয়েছে। কিন্তু অনেকে আপত্তি তুলেছেন মুর্শিদাবাদ জেলাকে ভাগ করার পর নয়া বিভাজিত জেলাগুলির নাম কি হবে তা নিয়ে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর নাম নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকেন, তাহলে কি ঐহিত্যবাহী মুর্শিদাবাদ নামটি জেলা হিসেবে থাকবে না? অবশ্য রাজ্য সরকার স্পষ্ট করে একথা বলেনি যে, জেলা হিসেবে মুর্শিদাবাদের নাম থাকছে না। মুখ্যমন্ত্রী তাৎক্ষণিক ঘোষণায় বলেছিলেন, ‘মুর্শিদাবাদ জেলা তো আছে, বহরমপুর ও জঙ্গিপুর হবে’।

আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদে সমবায় নির্বাচন ঘিরে ধুন্ধুমার, দফায় দফায় সংঘর্ষ-হাতাহাতি

এই ঘোষণায় অনেকে মনে করতে থাকেন, তাহলে কি মুর্শিদাবাদ নামটি থাকছে না? এ নিয়ে জেলার হিন্দু-মুসলিমদের আপত্তির কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। নাখোদা মসজিদের ইমাম শফিক কাসেমী, সাংসদ খলিলুর রহমান, মন্ত্রী আখরুজ্জামানের মতো অনেকেই চিঠি লিখে এ বিষয়টিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুব্রত বক্সির সঙ্গে বৈঠকে তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদরা একযোগে সকলেই বিভাজিত জেলাগুলির সঙ্গে ‘মুর্শিদাবাদ’ নামটি যুক্ত রাখার আর্জি জানান। খলিলুর রহমান, আবু তাহের খান, সৌমিক হোসেন, মুহাম্মদ আখরুজ্জামান, মুহাম্মদ আলি প্রমুখ  জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য, মুর্শিদাবাদ নামের সঙ্গে জেলার মানুষের ভাবাবেগ জড়িয়ে রয়েছে। এই জেলার ইতিহাস গৌরবময়। সারাবিশ্বে বাংলা ও ভারতের ইতিহাস প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের নাম সম্ভ্রমের সঙ্গে উচ্চারিত হয়। বিধায়ক-সাংসদরা মুর্শিদাবাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে জেলা বিভাজিত করে উত্তর ও দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ নাম রাখার প্রস্তাব দেন বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের দাবি, সুব্রত বক্সি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাবটি গভীর সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস ব্যক্ত করেছেন।