নিয়োগ মামলায় নিম্ন আদালতে কেন ট্রায়াল শুরু হচ্ছেনা? সিবিআইকে ডিভিশন বেঞ্চ

- আপডেট : ১১ মার্চ ২০২৪, সোমবার
- / 15
মোল্লা জসিমউদ্দিন: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কলকাতা হাইকোর্টের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চে চলছে এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানি। সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি সাহার জামিনের আবেদন এখনই মঞ্জুর করল না কলকাতা হাইকোর্ট এর ডিভিশন বেঞ্চ ।ধৃতদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে বেঞ্চ। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ‘আগামী তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি’। সিবিআইকে ওই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে বেঞ্চের তরফে। এদিন শুনানি পর্বে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচার প্রক্রিয়া (ট্রায়াল) শুরু না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। তিনি এদিন জানান , ‘ট্রায়াল শুরু করে অভিযুক্তদের সাজা না দিলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষের মন থেকে ওই দুর্নীতি আবছা হয়ে যাবে। এই পুরো প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা কোনও কাজে লাগবে না’।সিবিআইয়ের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, ‘কেন আপনারা দ্রুত ট্রায়াল শুরু করছেন না। সাজা ঘোষণা না হলে একটি দুর্নীতিকে প্রশয় দেওয়া হবে। জাপান, সিঙ্গাপুর অনেক উন্নত দেশ। তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত সাজা ঘোষণা করে। এই ক্ষেত্রে দুর্নীতি প্রতিষ্ঠিত হলে কেন ট্রায়াল শুরু করাই যাচ্ছে না?’সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন এজলাসে জানান, ‘চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সামান্য কিছু অংশ বাকি রয়েছে। সেটি দ্রুত সম্পূর্ন করা হবে’।
জামিন চেয়ে আদালতে কুন্তলের আইনজীবী বলেন , ‘আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ছয় জনের চাকরির বিনিময়ে চার কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি’। অপরদিকে, নীলাদ্রির আইনজীবী বলেন , ‘তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে দুই লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। সেই টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে’।বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ,-‘ কত টাকা কে নিয়েছে? সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। অপরাধ হয়েছে কি না আদালত তা দেখতে চায়। আর্থিক অপরাধের তদন্ত করছে ইডি। টাকার বিষয়টি তারাই জানাবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের দ্রুত সাজা দেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে বিচার ব্যবস্থা অর্থহীন হয়ে পড়বে’। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া শুরুর বন্দোবস্ত করার জন্য সিবিআইকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃতদের জামিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সপ্তাহের মধ্যে সিবিআইকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।নিয়োগ মামলার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শুরু করা যায়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বাগচী জানান, ‘বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে অভিযুক্তদের সাজা না দিলে পুরো বিষয়টি হাস্যকর হয়ে যাবে। মানুষের মন থেকে ওই দুর্নীতি আবছা হয়ে যাবে। এই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টা কোনও কাজে লাগবে না’। সিবিআই নিয়োগ মামলার চার্জশিট পেশ করলেও কিছু তদন্ত বাকি আছে বলে জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, -‘চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। তদন্তের সামান্য কিছু অংশ বাকি রয়েছে। তা দ্রুত সম্পূর্ণ করা হবে’। তিন সপ্তাহ পরে এই মামলার (জামিন বিষয়ক) পরবর্তী শুনানি রয়েছে।