২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, দেহ ফিরিয়ে আনতে জমি বিক্রি বাবার

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শনিবার
  • / 52

REPRESENTATIVE IMAGE

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের। দেহ ফিরিয়ে আনতে জমি বিক্রি বাবার।

উল্লেখ্য, কাজের খোঁজে ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই যুবক। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,মৃত ওই যুবকের নাম যোগেন্দ্র যাদব। বয়েস ৩০ বছর। যোগেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের গঢ়বা জেলার সগমা গ্রামের বাসিন্দা। দরিদ্র পরিবারের একমাত্র সন্তান।

সংসারের খরচ টানতে ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন যোগেন্দ্র। কিন্তু সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে যায় তিনি। তার পরই মৃত্যু হয় তাঁর।

অন্যদিকে ছেলের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে  সমস্যায় পড়েন বাবা  নায়ারণ যাদব। এমনকি  যোগেন্দ্র যে সংস্থার হয়ে কাজ করতেন, সেই সংস্থার মালিককে অনুরোধ করেন তাঁর ছেলের দেহ বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করে দিতে। কিন্তু মালিক সেই অনুরোধে কর্ণপাতই করেননি বলেই অভিযোগ। শেষমেশ বেসরকারি একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ছেলের দেহ  আনার সিদ্ধান্ত নেন নারায়ণ। কিন্তু এখানেও তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া চাওয়া হয় ৬০ হাজার টাকা।

দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই বিপুল পরিমাণে টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তারপরেও হার মানেননি নারায়ণ। বাড়ির পাশেই তাঁর একটা জমি ছিল। মাত্র ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেই জমি বিক্রি করে দেয় নারায়ণ। তারপরেই যোগেন্দ্রর দেহ মহারাষ্ট্র থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন নারায়ণ।

এই প্রসঙ্গে সগমা গ্রামের প্রধান জানিয়েছেন, যোগেন্দ্রর দুই সন্তান এবং স্ত্রী রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন তিনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের, দেহ ফিরিয়ে আনতে জমি বিক্রি বাবার

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু যুবকের। দেহ ফিরিয়ে আনতে জমি বিক্রি বাবার।

উল্লেখ্য, কাজের খোঁজে ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন এক যুবক। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার পর পরই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই যুবক। ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই যুবকের।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর,মৃত ওই যুবকের নাম যোগেন্দ্র যাদব। বয়েস ৩০ বছর। যোগেন্দ্র ঝাড়খণ্ডের গঢ়বা জেলার সগমা গ্রামের বাসিন্দা। দরিদ্র পরিবারের একমাত্র সন্তান।

সংসারের খরচ টানতে ঝাড়খণ্ড থেকে মহারাষ্ট্রের সোলাপুরে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন যোগেন্দ্র। কিন্তু সেখানে গিয়েই অসুস্থ হয়ে যায় তিনি। তার পরই মৃত্যু হয় তাঁর।

অন্যদিকে ছেলের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে  সমস্যায় পড়েন বাবা  নায়ারণ যাদব। এমনকি  যোগেন্দ্র যে সংস্থার হয়ে কাজ করতেন, সেই সংস্থার মালিককে অনুরোধ করেন তাঁর ছেলের দেহ বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করে দিতে। কিন্তু মালিক সেই অনুরোধে কর্ণপাতই করেননি বলেই অভিযোগ। শেষমেশ বেসরকারি একটি অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে ছেলের দেহ  আনার সিদ্ধান্ত নেন নারায়ণ। কিন্তু এখানেও তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। ১৫০০ কিলোমিটার রাস্তার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া চাওয়া হয় ৬০ হাজার টাকা।

দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এই বিপুল পরিমাণে টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিন্তু তারপরেও হার মানেননি নারায়ণ। বাড়ির পাশেই তাঁর একটা জমি ছিল। মাত্র ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেই জমি বিক্রি করে দেয় নারায়ণ। তারপরেই যোগেন্দ্রর দেহ মহারাষ্ট্র থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন নারায়ণ।

এই প্রসঙ্গে সগমা গ্রামের প্রধান জানিয়েছেন, যোগেন্দ্রর দুই সন্তান এবং স্ত্রী রয়েছে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য ছিলেন তিনি।