২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘এ এক অন্য পার্ক স্ট্রিট’, আজ ওদের কাছেও বড়দিন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 36

ছবি- অভিজিৎ ভট্টাচার্য

বিপাশা চক্রবর্তী, কলকাতাঃ ইতিউতি চোখের চাহনি। কারুরু পাংশুটে মুখ। চোখের তলায় কালি। সোয়েটার সাইজের তুলনায় যেন একটু বেশিই বড়। প্রায় পা পর্যন্ত নেমে এসেছে। হ্যাঁ, সেই পার্ক স্ট্রিটেই দাঁড়িয়ে আছে ওরা। নামি দামি রেস্তোরাঁ থেকে যারা খেয়ে দেয়ে বের হচ্ছে তাদের কাছে ছুটে যাচ্ছে। যদি একটা কেউ বেলুন কেনে। তার পর হিসেব করে দেখে নেওয়ার পালা। আজকে ইনকাম হল ঠিক কতটা। এটা প্রতিদিনের কাজ। তবে বড়দিন মানেই প্রচুর ভিড়। তাই বাড়তি লাভ।

'এ এক অন্য পার্ক স্ট্রিট', আজ ওদের কাছেও বড়দিন

আরও পড়ুন: পার্ক স্ট্রিটের মিষ্টির দোকানে আগুন! পার্ক হোটেলের উল্টোদিকের দোকানে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন

 

আরও পড়ুন: পার্ক ষ্ট্রিটে নিজের রেস্তোরাঁয় বিরাট, দিলেন খুদের সঙ্গে পোজ

বাবা-মায়ের কাছে যখন কেউ সান্টাক্লজ কেনার বায়না করছে। বাবা ছেলের মন জোগাতে কিনে দিচ্ছে সেই খেলনা। না ওদের আবদার মেটানোর কেউ নেই। আর থাকলেও আবদার মেটানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: বর্ষবরণের উন্মাদনায় পার্ক স্ট্রিট জুড়ে মানুষের ঢল, মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ

একপাশে ছোট্ট ছেলেটা বাবা-মায়ের সঙ্গে যখন রেস্তরাঁ থেকে বড়দিন উপভোগ করতে ব্যস্ত। ঠিক তখনই পাশে কেউ এসে কোট ধরে টেনে বলছে ‘একটা সান্তাক্লজ’ টুপির দাম ২০ টাকা। নাও না দিদি’।

৮ থেকে ১০ এই বয়সেই সংসারের দায়িত্ব উঠে এসেছে কাঁধে। চোখে মুখে স্পষ্ট খিদে, সংসারের দায়িত্ব। তাও তার মধ্যেই একটা রঙিন বেলুন, থেকে সান্টা টুপি বিক্রি হলে মুখে একগাল হাসি।

এর নাম পার্ক স্ট্রিট। এ এক আলাদা কলকাতা। এখানে চারদিকে শুধু আনন্দ। সেই আনন্দের মাঝে কখন, সখনও বেজে ওঠে বিষাদের সুর। পার্ক স্ট্রিট আছে, পার্ক স্ট্রিটেই।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের কবিতার একটি লাইন ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।

 

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘এ এক অন্য পার্ক স্ট্রিট’, আজ ওদের কাছেও বড়দিন

আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার

বিপাশা চক্রবর্তী, কলকাতাঃ ইতিউতি চোখের চাহনি। কারুরু পাংশুটে মুখ। চোখের তলায় কালি। সোয়েটার সাইজের তুলনায় যেন একটু বেশিই বড়। প্রায় পা পর্যন্ত নেমে এসেছে। হ্যাঁ, সেই পার্ক স্ট্রিটেই দাঁড়িয়ে আছে ওরা। নামি দামি রেস্তোরাঁ থেকে যারা খেয়ে দেয়ে বের হচ্ছে তাদের কাছে ছুটে যাচ্ছে। যদি একটা কেউ বেলুন কেনে। তার পর হিসেব করে দেখে নেওয়ার পালা। আজকে ইনকাম হল ঠিক কতটা। এটা প্রতিদিনের কাজ। তবে বড়দিন মানেই প্রচুর ভিড়। তাই বাড়তি লাভ।

'এ এক অন্য পার্ক স্ট্রিট', আজ ওদের কাছেও বড়দিন

আরও পড়ুন: পার্ক স্ট্রিটের মিষ্টির দোকানে আগুন! পার্ক হোটেলের উল্টোদিকের দোকানে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন

 

আরও পড়ুন: পার্ক ষ্ট্রিটে নিজের রেস্তোরাঁয় বিরাট, দিলেন খুদের সঙ্গে পোজ

বাবা-মায়ের কাছে যখন কেউ সান্টাক্লজ কেনার বায়না করছে। বাবা ছেলের মন জোগাতে কিনে দিচ্ছে সেই খেলনা। না ওদের আবদার মেটানোর কেউ নেই। আর থাকলেও আবদার মেটানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: বর্ষবরণের উন্মাদনায় পার্ক স্ট্রিট জুড়ে মানুষের ঢল, মোতায়েন অতিরিক্ত পুলিশ

একপাশে ছোট্ট ছেলেটা বাবা-মায়ের সঙ্গে যখন রেস্তরাঁ থেকে বড়দিন উপভোগ করতে ব্যস্ত। ঠিক তখনই পাশে কেউ এসে কোট ধরে টেনে বলছে ‘একটা সান্তাক্লজ’ টুপির দাম ২০ টাকা। নাও না দিদি’।

৮ থেকে ১০ এই বয়সেই সংসারের দায়িত্ব উঠে এসেছে কাঁধে। চোখে মুখে স্পষ্ট খিদে, সংসারের দায়িত্ব। তাও তার মধ্যেই একটা রঙিন বেলুন, থেকে সান্টা টুপি বিক্রি হলে মুখে একগাল হাসি।

এর নাম পার্ক স্ট্রিট। এ এক আলাদা কলকাতা। এখানে চারদিকে শুধু আনন্দ। সেই আনন্দের মাঝে কখন, সখনও বেজে ওঠে বিষাদের সুর। পার্ক স্ট্রিট আছে, পার্ক স্ট্রিটেই।

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য্যের কবিতার একটি লাইন ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।