১৫ জুন ২০২৫, রবিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেরিকার সঙ্গে ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তি চায় ইরান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার
  • / 303

পারমাণবিক কর্মসূচি

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক:  পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ওমানে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ওমানের রাজধানী মাস্কাটে এই আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তেহরান বলছে, এদিনই বিষয়টি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেন, তেহরান একটি বাস্তব ও ন্যায্য চুক্তির সন্ধান করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটন যদি সদিচ্ছা দেখায়, তাহলে আলোচনা এগিয়ে নিতে কোনো বাধা থাকবে না। অন্যদিকে, আলোচনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি চাই ইরান একটি চমৎকার, মহান, সুখী দেশ হোক। কিন্তু তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।”

আরও পড়ুন: গাজার পাশে ইন্দোনেশিয়া, অস্থায়ী আশ্রয় পাবেন ১,০০০ শরণার্থী

আরও পড়ুন: ইসরাইলের প্রতিরক্ষা সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় বসেন ট্রাম্প। এর আগে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এবারও তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থা নিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিধর দেশ ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পকে হুমকি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরাইল। ৩০ মার্চ ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ ইরান যদি একটি চুক্তি না করে, তাহলে দেশটিতে বোমাবর্ষণ করা হবে।’ এরপর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইরানকে হুমকি না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে আলোচনায় যুক্ত থাকতে তেহরানের সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করা।

আরও পড়ুন: ইরানে হামলা, বিশ্বজুড়ে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে

আরও পড়ুন: ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরাইল

আরও পড়ুন: ইসরাইলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, তেল আবিবে বিস্ফোরণ ও ধ্বংসের খবর

গত দুই বছরে গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ হয়েছে; ইরান ও ইসরাইল একে অপরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকার উৎখাত হয়েছে, এদিকে লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরী লক্ষ্য করে হুতিরা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনা পুরোপুরি ভেস্তে গেলে বিশ্বের সিংহভাগ তেল রফতানিকারক অঞ্চলটিতে সংঘাত চরম আকার ধারণ করতে পারে। কাছাকাছি যেসব দেশে মার্কিন ঘাঁটি আছে, সে দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে তেহরান বলেছে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হামলায় এ দেশগুলো যদি অংশীদার হয়, তবে তাদেরকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমেরিকার সঙ্গে ন্যায্য ও সম্মানজনক চুক্তি চায় ইরান

আপডেট : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার

পারমাণবিক কর্মসূচি

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক:  পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ওমানে উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় বসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। ওমানের রাজধানী মাস্কাটে এই আলোচনার নেতৃত্ব দেবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তেহরান বলছে, এদিনই বিষয়টি নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চায় তারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা আলী শামখানি বলেন, তেহরান একটি বাস্তব ও ন্যায্য চুক্তির সন্ধান করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ও বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবের জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, ওয়াশিংটন যদি সদিচ্ছা দেখায়, তাহলে আলোচনা এগিয়ে নিতে কোনো বাধা থাকবে না। অন্যদিকে, আলোচনা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “আমি চাই ইরান একটি চমৎকার, মহান, সুখী দেশ হোক। কিন্তু তাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।”

আরও পড়ুন: গাজার পাশে ইন্দোনেশিয়া, অস্থায়ী আশ্রয় পাবেন ১,০০০ শরণার্থী

আরও পড়ুন: ইসরাইলের প্রতিরক্ষা সদর দফতর গুঁড়িয়ে দিল ইরান

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে ক্ষমতায় বসেন ট্রাম্প। এর আগে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে একটি পারমাণবিক চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ায় যুক্তরাষ্ট্র। এবারও তেহরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থা নিয়েছেন তিনি। মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিধর দেশ ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পকে হুমকি বলে মনে করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইসরাইল। ৩০ মার্চ ট্রাম্প হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ ইরান যদি একটি চুক্তি না করে, তাহলে দেশটিতে বোমাবর্ষণ করা হবে।’ এরপর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইরানকে হুমকি না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত হবে আলোচনায় যুক্ত থাকতে তেহরানের সিদ্ধান্তকে মূল্যায়ন করা।

আরও পড়ুন: ইরানে হামলা, বিশ্বজুড়ে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়ে চলেছে

আরও পড়ুন: ইব্রাহিমি মসজিদ বন্ধ করে দিল ইসরাইল

আরও পড়ুন: ইসরাইলে সরাসরি আঘাত হানল ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র, তেল আবিবে বিস্ফোরণ ও ধ্বংসের খবর

গত দুই বছরে গাজা ও লেবাননে যুদ্ধ হয়েছে; ইরান ও ইসরাইল একে অপরের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, সিরিয়ায় বাশার আল-আসাদের সরকার উৎখাত হয়েছে, এদিকে লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরী লক্ষ্য করে হুতিরা একের পর এক হামলা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান আলোচনা পুরোপুরি ভেস্তে গেলে বিশ্বের সিংহভাগ তেল রফতানিকারক অঞ্চলটিতে সংঘাত চরম আকার ধারণ করতে পারে। কাছাকাছি যেসব দেশে মার্কিন ঘাঁটি আছে, সে দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে তেহরান বলেছে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হামলায় এ দেশগুলো যদি অংশীদার হয়, তবে তাদেরকে ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে।