২৪ জুন ২০২৫, মঙ্গলবার, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচারকরা সিআইএ এজেন্ট’

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২২, রবিবার
  • / 12

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মাহসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচার করা দুই নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সিআইএ, এমআই-৬, মোসাদ এবং সউদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে ইরান সরকার। এই সাংবাদিকরা হলেন- নিলুফার হামেদি এবং এলাহে মুহম্মদি। এদের দু’জনকেই কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্জন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি মারা যাওয়ার পরে হাসপাতালে তার পরিবারের ছবি তুলেছিলেন নিলুফার হামেদি। আমিনির জানাযায় নারীদের হিজাব খুলে ফেলার খবর প্রকাশ করেছিলেন এলাহে মুহম্মদি। গত সপ্তাহে জাতীয় টিভিতে ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রক ও ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কাজ করার অভিযোগ তোলে। ওই দুই পশ্চিমাপন্থী সাংবাদিকের প্রচারিত খবরের কারণেই দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই বিক্ষোভে ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে আটক করেছে ইরানি পুলিশ। উল্লেখ্য, ইরান প্রথম থেকে দেশের অস্থিরতা ও বিক্ষোভের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করে আসছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও সর্বোচ্চ নেতা খামেনি জানান, ইরানের ইসলামি চরিত্র ধ্বংস করতে চক্রান্ত করছে যায়নবাদী সরকার ও তার সমর্থকরা। পশ্চিমারা চাইছে, ইরানি মহিলাদের মাথা থেকে ধর্মীয় পোশাক খুলে ফেলে দেশর মূল্যবোধ ও নীতিকে নষ্ট করতে। উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সি এক কুর্দ তরুণী পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। চলমান এই বিক্ষোভে শতাধিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। শুরুতে এই বিক্ষোভ হিজাবের বিরুদ্ধে ছিল কিন্তু বর্তমানে এটি পশ্চিমা উসকানিতে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায় মৃত্যু ভারতীয়র, আত্মহত্যা অনুমান পুলিশের

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচারকরা সিআইএ এজেন্ট’

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মাহসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচার করা দুই নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সিআইএ, এমআই-৬, মোসাদ এবং সউদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলেছে ইরান সরকার। এই সাংবাদিকরা হলেন- নিলুফার হামেদি এবং এলাহে মুহম্মদি। এদের দু’জনকেই কয়েক সপ্তাহ ধরে নির্জন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি মারা যাওয়ার পরে হাসপাতালে তার পরিবারের ছবি তুলেছিলেন নিলুফার হামেদি। আমিনির জানাযায় নারীদের হিজাব খুলে ফেলার খবর প্রকাশ করেছিলেন এলাহে মুহম্মদি। গত সপ্তাহে জাতীয় টিভিতে ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রক ও ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কাজ করার অভিযোগ তোলে। ওই দুই পশ্চিমাপন্থী সাংবাদিকের প্রচারিত খবরের কারণেই দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই বিক্ষোভে ৪০ জনেরও বেশি সাংবাদিককে আটক করেছে ইরানি পুলিশ। উল্লেখ্য, ইরান প্রথম থেকে দেশের অস্থিরতা ও বিক্ষোভের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করে আসছে। প্রেসিডেন্ট রাইসি ও সর্বোচ্চ নেতা খামেনি জানান, ইরানের ইসলামি চরিত্র ধ্বংস করতে চক্রান্ত করছে যায়নবাদী সরকার ও তার সমর্থকরা। পশ্চিমারা চাইছে, ইরানি মহিলাদের মাথা থেকে ধর্মীয় পোশাক খুলে ফেলে দেশর মূল্যবোধ ও নীতিকে নষ্ট করতে। উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সি এক কুর্দ তরুণী পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ইরান। চলমান এই বিক্ষোভে শতাধিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। শুরুতে এই বিক্ষোভ হিজাবের বিরুদ্ধে ছিল কিন্তু বর্তমানে এটি পশ্চিমা উসকানিতে সরকার-বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের আমেরিকায় মৃত্যু ভারতীয়র, আত্মহত্যা অনুমান পুলিশের