০৬ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পরাজিত ইউক্রেনের সেনা রুশ দখলে সেভেরোদনেৎস্ক

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার
  • / 21

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদনেৎস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাকে হটিয়ে শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। একইসঙ্গে সেভেরস্কি দোনেৎস নদীর পাড়ের শিল্পাঞ্চল এবং ভোরোনোভো, বরভোস্কায়া ও সিরোতিনো এলাকাও রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গেছে। এই সাফল্যের পর পরই রবিবার সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বিমান বাহিনী।

 

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বছরে পড়ল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তি ফিরবে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

কিয়েভের কয়েকটি আবাসিক ভবনে রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের। সেদেশের সাংসদ কিরা রুডিক বলেছেন, কিয়েভের বিভিন্ন অসামরিক স্থাপনায় অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এর ফলে কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।

আরও পড়ুন: নিক্কি হত্যাকাণ্ড হার মানাবে বলিউডকে, পছন্দের পাত্রীকে রীতি মেনে বিয়ে করে বন্ধুদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড় অভিযুক্ত সাহিলের  

 

আরও পড়ুন: রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফল ভালো হবে না: সউদি

স্থানীয়রা ধ্বংসস্তুপ থেকে আহতদের সরিয়ে নিতে কাজ করছেন। অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, কিয়েভের কয়েকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়ার বিমান ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি ছিল ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর আরতিউম সমরাস্ত্র কারখানা, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হতো।

 

অভিযানে রাশিয়ার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। শনিবার রাতে সেভেরোদনেৎস্ক শহরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রুশ আক্রমণের মুখে নৌকায় চড়ে সেভেরস্কি দোনেৎস নদীর অন্য পাড়ে সরে যায়। এতে করে টানা কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধ শেষে রুশ বাহিনী শহরটির দখল নেয়। সেভেরোদনেৎস্কের পর এবার লিসিচানস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে লিসিচানস্ক শহরের কয়েকটি খনি ও কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।

 

শহরের তেল শোধনাগারের বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এছাড়া বেলায়া গোরা ও প্রিভিলোয়ি আবাসিক এলাকাতেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। লিসিচানস্ক-আরতেমোভস্ক মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশ রুশ বাহিনীর দখলে গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইউক্রেনীয় বাহিনী শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

 

গোরোস্কো ও জোলোতি শহরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের নিরাপদ প্রস্থানের জন্য মহাসড়কটির কিছু অংশ রুশ বাহিনীর দখলমুক্ত রাখা জরুরি। অন্যথায় দুই শহরে মোতায়েন প্রায় পাঁচ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য রুশদের হাতে পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। দনেৎস্ক ফ্রন্টে আরতেমোভস্ক-লিসিচানস্ক মহাসড়কের পাশের দুটি শহর বেরেস্তোভোয়ি ও বেলগোরোভকার দখল নিয়ে দুই পক্ষের লড়াই চলছে।

 

উগলেগোরস্ক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দখল নিতে চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী, কিন্তু ইউক্রেনীয় সৈন্যরা এখনও তাদের ঠেকিয়ে রেখেছে। খারকিভ ফ্রন্টে রুশ বাহিনী গত মে মাসে ইউক্রেনীয়দের পাল্টা আক্রমণের মুখে হাতছাড়া হওয়া এলাকাগুলো পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। উডা, সুপভকা, দেমেনতিয়েভা ও আপার সালটভ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ চলছে। একইরকম গোলা বিনিময় চলছে ইজিউম-স্লাভিক ফ্রন্টের ক্রাসনোপোলিয়ে, প্রিসিব, বোগোরোদিশনি ও সিদোরভো অঞ্চল।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

পরাজিত ইউক্রেনের সেনা রুশ দখলে সেভেরোদনেৎস্ক

আপডেট : ২৭ জুন ২০২২, সোমবার

পূবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর সেভেরোদনেৎস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাকে হটিয়ে শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী। একইসঙ্গে সেভেরস্কি দোনেৎস নদীর পাড়ের শিল্পাঞ্চল এবং ভোরোনোভো, বরভোস্কায়া ও সিরোতিনো এলাকাও রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গেছে। এই সাফল্যের পর পরই রবিবার সকালে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বিমান বাহিনী।

 

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় বছরে পড়ল রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ শান্তি ফিরবে নাকি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ?

কিয়েভের কয়েকটি আবাসিক ভবনে রুশ বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের। সেদেশের সাংসদ কিরা রুডিক বলেছেন, কিয়েভের বিভিন্ন অসামরিক স্থাপনায় অন্তত ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। এর ফলে কয়েকটি আবাসিক ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়।

আরও পড়ুন: নিক্কি হত্যাকাণ্ড হার মানাবে বলিউডকে, পছন্দের পাত্রীকে রীতি মেনে বিয়ে করে বন্ধুদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড় অভিযুক্ত সাহিলের  

 

আরও পড়ুন: রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞার ফল ভালো হবে না: সউদি

স্থানীয়রা ধ্বংসস্তুপ থেকে আহতদের সরিয়ে নিতে কাজ করছেন। অন্যদিকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রক বলেছে, কিয়েভের কয়েকটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে রাশিয়ার বিমান ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি ছিল ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর আরতিউম সমরাস্ত্র কারখানা, যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হতো।

 

অভিযানে রাশিয়ার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। শনিবার রাতে সেভেরোদনেৎস্ক শহরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সৈন্যরা রুশ আক্রমণের মুখে নৌকায় চড়ে সেভেরস্কি দোনেৎস নদীর অন্য পাড়ে সরে যায়। এতে করে টানা কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধ শেষে রুশ বাহিনী শহরটির দখল নেয়। সেভেরোদনেৎস্কের পর এবার লিসিচানস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে লিসিচানস্ক শহরের কয়েকটি খনি ও কারখানার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ বাহিনী।

 

শহরের তেল শোধনাগারের বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এছাড়া বেলায়া গোরা ও প্রিভিলোয়ি আবাসিক এলাকাতেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। লিসিচানস্ক-আরতেমোভস্ক মহাসড়কের বেশিরভাগ অংশ রুশ বাহিনীর দখলে গেলেও কিছু কিছু জায়গায় ইউক্রেনীয় বাহিনী শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।

 

গোরোস্কো ও জোলোতি শহরে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের নিরাপদ প্রস্থানের জন্য মহাসড়কটির কিছু অংশ রুশ বাহিনীর দখলমুক্ত রাখা জরুরি। অন্যথায় দুই শহরে মোতায়েন প্রায় পাঁচ হাজার ইউক্রেনীয় সৈন্য রুশদের হাতে পুরোপুরি অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে। দনেৎস্ক ফ্রন্টে আরতেমোভস্ক-লিসিচানস্ক মহাসড়কের পাশের দুটি শহর বেরেস্তোভোয়ি ও বেলগোরোভকার দখল নিয়ে দুই পক্ষের লড়াই চলছে।

 

উগলেগোরস্ক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের দখল নিতে চেষ্টা করছে রুশ বাহিনী, কিন্তু ইউক্রেনীয় সৈন্যরা এখনও তাদের ঠেকিয়ে রেখেছে। খারকিভ ফ্রন্টে রুশ বাহিনী গত মে মাসে ইউক্রেনীয়দের পাল্টা আক্রমণের মুখে হাতছাড়া হওয়া এলাকাগুলো পুনর্দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। উডা, সুপভকা, দেমেনতিয়েভা ও আপার সালটভ এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণ চলছে। একইরকম গোলা বিনিময় চলছে ইজিউম-স্লাভিক ফ্রন্টের ক্রাসনোপোলিয়ে, প্রিসিব, বোগোরোদিশনি ও সিদোরভো অঞ্চল।