২০ জুন ২০২৫, শুক্রবার, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বেজিংয়ে বৈঠক করলেন সউদি আরব ও ইরানের বিদেশমন্ত্রী

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৩, শুক্রবার
  • / 69

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিভেদ ভুলে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৈঠকে বসলেন মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান ও সউদি আরবের বিদেশমন্ত্রীরা। দুই দেশের  সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সাত বছর পর এই প্রথম বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হল। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও সউদি আরবের বিদেশমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহানের মধ্যে এই বৈঠক হয়। ২০১৬ সালের পর প্রথমবার নিজেদের মধ্যে আলোচনায়ব বসল মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ। তেহরান বলেছে, চিনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির অধীন দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের পথ প্রশস্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে এ যেন এক নতুন বসন্ত। ইরান-বিরোধী জোট গঠনের পাশ্চাত্য প্রচেষ্টা এর ফলে অনেকটাই হোঁচট খাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

 আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ানকে চিনে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও সউদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান দুই দেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান ও সউদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক পুনরুদ্ধার এবং দুই দেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় চালু করার বিষয়ে নির্বাহী পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেছেন। সউদি ও ইরানের পতাকার সামনে দুই নেতাকে হাত নাড়াতে, কথা বলতে এবং হাসতে দেখা গেছে। এর আগে দীর্ঘদিন দূরে থাকার পর গত মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয় ইরান ও সউদি আরব। সম্প্রতি সউদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিন পিং। এ সময় ইরানের সঙ্গে দউদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন দুই নেতা। এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করেছে চিন। ২০১৬ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই বড় দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সে বছর শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সউদি আরব। এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে হামলা চালান ইরানের বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করে আরব। এখন সাত বছরের মাথায় দুই দেশ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত হয়েছে। শীঘ্রই তাদের দূতাবাস খোলা হবে পরস্পর দুই দেশে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

বেজিংয়ে বৈঠক করলেন সউদি আরব ও ইরানের বিদেশমন্ত্রী

আপডেট : ৭ এপ্রিল ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: বিভেদ ভুলে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বৈঠকে বসলেন মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান ও সউদি আরবের বিদেশমন্ত্রীরা। দুই দেশের  সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার সাত বছর পর এই প্রথম বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হল। চিনের রাজধানী বেজিংয়ে ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও সউদি আরবের বিদেশমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহানের মধ্যে এই বৈঠক হয়। ২০১৬ সালের পর প্রথমবার নিজেদের মধ্যে আলোচনায়ব বসল মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ। তেহরান বলেছে, চিনের মধ্যস্থতায় এক চুক্তির অধীন দুই দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপনের পথ প্রশস্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে এ যেন এক নতুন বসন্ত। ইরান-বিরোধী জোট গঠনের পাশ্চাত্য প্রচেষ্টা এর ফলে অনেকটাই হোঁচট খাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

 আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সউদ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির-আবদুল্লাহিয়ানকে চিনে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান ও সউদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুবরাজ ফয়সাল বিন ফারহান দুই দেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় চালু করার পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন।

 বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান ও সউদির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক পুনরুদ্ধার এবং দুই দেশের দূতাবাস ও কনস্যুলেট পুনরায় চালু করার বিষয়ে নির্বাহী পদক্ষেপের ওপর জোর দিয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় করেছেন। সউদি ও ইরানের পতাকার সামনে দুই নেতাকে হাত নাড়াতে, কথা বলতে এবং হাসতে দেখা গেছে। এর আগে দীর্ঘদিন দূরে থাকার পর গত মাসে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে সম্মত হয় ইরান ও সউদি আরব। সম্প্রতি সউদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট জিন পিং। এ সময় ইরানের সঙ্গে দউদি আরবের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন দুই নেতা। এই কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় মধ্যস্থতা করেছে চিন। ২০১৬ সাল থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এ দুই বড় দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। সে বছর শিয়া সম্প্রদায়ের প্রভাবশালী ধর্মীয় নেতা নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সউদি আরব। এ ঘটনার প্রতিবাদে তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে হামলা চালান ইরানের বিক্ষোভকারীরা। এর জেরে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছেদ করে আরব। এখন সাত বছরের মাথায় দুই দেশ সম্পর্ক পুনরুদ্ধারে সম্মত হয়েছে। শীঘ্রই তাদের দূতাবাস খোলা হবে পরস্পর দুই দেশে।