খতম তালিকায় ঝাড়খণ্ডের টপ মাওবাদী কমান্ডার তুলসী

- আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, মঙ্গলবার
- / 38
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : ছত্তিশগড়ের বাসবরাজুর পর ঝাড়খণ্ডে তুলসী ভুঁইয়াকে ঝাড়খণ্ডের পালামুতে হত্যা করল পুলিশ ও সুরক্ষা বাহিনী। হুসেনাবাদে দু’দিন থেকে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ নিজেদের সফলতার কথা জানিয়েছে। মুহাম্মদগঞ্জ ও হায়দারনগর এলাকায় অপারেশনের সময় বেশকয়েকজন মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়।
সোমবার রাতে পালামুতে নিহত হয় তুলসী। এটা বড় সাফল্য দাবি করছে পুলিশ। তুলসী এই এলাকার টপ মাওবাদী কমান্ডার হিসাবে পরিচিত ছিল। ঝাড়খণ্ডে যেসব মাওবাদী নেতা নিহত হয়েছে তারা হচ্ছে মণীশ যাদব (মাথার দাম ৫ লক্ষ) কু¨ন (১০ লক্ষ), পাপ্পু লোহরা (১০ লক্ষ), প্রভাত লোহরা (৫ লক্ষ)। আর অভিযান চলছে যাদের বিরুদ্ধে তারা হচ্ছে নীতেশ (মাথার দাম ১৫ লক্ষ, সঞ্জয় (১০ লক্ষ)। ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে এখন দিনে-রাতে আগুন ঝরছে। গত মাসে ১ কোটি টাকা মাথার দাম নকশাল কমান্ডার প্রয়াগ মাঝিকে লুগু পাহাড়ি এলাকায় খতম করা হয়। তার সঙ্গে মারা যায় আরও আট জন নেতা। পালামুতে তুলসী ভুঁইয়ার সঙ্গে থাকা অন্য নেতারাও আহত হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও বারুদ।
ছত্তিশগড়ে কয়দিন আগে মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় নেতা ও পলিটব্যুরো সদস্য কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর মৃত্যুর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন মাওবাদ খতম। ছত্তিশগড় পুলিশের প্রধান অরুণ দেব গৌতম জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দেশকে মাওবাদী মুক্ত করার জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ। মনে হচ্ছে তার আগেই মাওবাদ খতম হয়ে যাবে। বাসবরাজুকে হত্যা করে কোমর ভেঙে দেওয়া হয়েছে মাওবাদীদের। মাওবাদ খতম হতে আর বেশি সময় লাগার কথা নয়। তিনি বলেন, এখন সারাদেশে মাওবাদী নিয়ন্ত্রিত এলাকা পুলিশের কবজায়। ভারতের মাটি থেকে মাওবাদ খতম এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বাসবরাজুর হত্যার পর এক পুলিশকর্তা নিজের পরিচয় না জানানোর শর্তে বিবিসিকে জানিয়েছেন, বাসবের এক সহযোগীর মোবাইল নম্বরের লোকেশন ট্র্যাক করে তারা বাসবরাজুর সন্ধান পায়। কেননা এই কমান্ডারের সঙ্গে সব সময় থাকে ৫০ জন রক্ষী ও তিন কিলোমিটার দূর থেকে এরা সজাগ হয়ে যেত। বারুদের সুড়ঙ্গ বিছিয়ে পুলিশের ক্ষতি করতে চাইত। এই টিম বেশ কয়েকবার পুলিশ ও রক্ষী বাহিনীকে টার্গেট করেছে। কিন্তু আধুনিক সরঞ্জামের কাছে হার মেনেছে বাসবরাজু।
এই বাসবরাজু কয়েক বছর আগে বলেছিল স্যাটেলাইট, জিপিএস, ইউএবি-র মাধ্যমে মাওবাদীদের অবস্থান জানার চেষ্টা হচ্ছে তবে এসব টেকনিক কোনও কাজে লাগবে না জনরোষের কাছে। কিন্তু সেই টেকনিকের কাছেই পরাস্ত হল বাসবরাজু। ছত্তিশগড়ে মৃত মাওবাদী নেতাদের লাশ ফেরত দেওয়া না দেওয়ার মামলা হয় হাইকোর্টে। অভিযোগ উঠেছে, লাশ জঙ্গলে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে, আর বহু সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন।