০২ জুন ২০২৫, সোমবার, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা দিতে হবে, নির্ধারণ করে দিল নবান্ন

চামেলি দাস
  • আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার
  • / 96

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ছোট  কিংবা বড় রাজ্যে যে কোনও ধরনের ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স করে নেওয়া খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ব্যবসা করতে যেমন সুবিধা হয় তেমনি ছোটখাটো ঋণের ক্ষেত্রেও এই ট্রেড লাইসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে এই ট্রেড লাইসেন্স বানানো নিয়ে নানারকম অভিযোগ উঠে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কর বাবদ যতটুকু অর্থ বরাদ্দ করা উচিত তার থেকে বেশি পরিমাণে অর্থ নেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে। এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে নবান্নে। এমনকি সেই অভিযোগ নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশও করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও।

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় জয়েন্টে মেয়েদের মধ্যে সেরা দেবদত্তাকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর

গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের রাজ্যের এক প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই ট্রেড লাইসেন্সের নামে অতিরিক্ত কর আদায় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই পুর বা পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়তি করের বোঝা চাপানো যাবে না। তাই এবার এই প্রেক্ষাপটে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হল।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেল নারী ক্ষমতায়ণ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে তৈরি শর্ট ফিল্ম

সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে ট্রেড লাইসেন্স বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে সমস্ত ক্ষেত্রেই রাজ্যে ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্যের কিছু পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়ে থাকে কিন্তু এখন থেকে সেটি আর হবে না। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম বাড়তি টাকা আর দেবে না পুরসভাগুলি। আর এই একই নিয়ম জারি করা থাকবে ট্রেড লাইসেন্স রিনিউওয়ালের ক্ষেত্রেও।

আরও পড়ুন: রাজ্য থেকে শেষ হল হজযাত্রার কর্মসূচি

এদিন পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন ফি-র মতো কোনও অর্থ না নেওয়ার বার্তা যেমন দেওয়া হয়েছিল ঠিক তেমনই কোনও ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত টাকা নেওয়া যাবে, তারও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল।

ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট, হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী এই ট্রেড লাইসেন্স বাবদ সর্বোচ্চ কত টাকা নেওয়া যাবে, তা ধার্য রয়েছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ট্রেড লাইসেন্সের জন্য সর্বোচ্চ কত টাকা দিতে হবে, নির্ধারণ করে দিল নবান্ন

আপডেট : ৩০ মে ২০২৫, শুক্রবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ছোট  কিংবা বড় রাজ্যে যে কোনও ধরনের ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স করে নেওয়া খুবই জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ব্যবসা করতে যেমন সুবিধা হয় তেমনি ছোটখাটো ঋণের ক্ষেত্রেও এই ট্রেড লাইসেন্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যে এই ট্রেড লাইসেন্স বানানো নিয়ে নানারকম অভিযোগ উঠে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে কর বাবদ যতটুকু অর্থ বরাদ্দ করা উচিত তার থেকে বেশি পরিমাণে অর্থ নেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে। এই নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে নবান্নে। এমনকি সেই অভিযোগ নিয়ে এবার ক্ষোভ প্রকাশও করেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও।

আরও পড়ুন: সর্বভারতীয় জয়েন্টে মেয়েদের মধ্যে সেরা দেবদত্তাকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর

গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের রাজ্যের এক প্রশাসনিক বৈঠক আয়োজন করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই ট্রেড লাইসেন্সের নামে অতিরিক্ত কর আদায় নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, কোনওভাবেই পুর বা পঞ্চায়েত এলাকায় বাড়তি করের বোঝা চাপানো যাবে না। তাই এবার এই প্রেক্ষাপটে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা প্রকাশ করা হল।

আরও পড়ুন: মুক্তি পেল নারী ক্ষমতায়ণ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে তৈরি শর্ট ফিল্ম

সম্প্রতি রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের তরফ থেকে ট্রেড লাইসেন্স বিষয়ক এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। যেখানে স্পষ্ট জানানো হয়েছে সমস্ত ক্ষেত্রেই রাজ্যে ব্যবসা করতে গেলে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাজ্যের কিছু পুরসভায় ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়ে থাকে কিন্তু এখন থেকে সেটি আর হবে না। ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনওরকম বাড়তি টাকা আর দেবে না পুরসভাগুলি। আর এই একই নিয়ম জারি করা থাকবে ট্রেড লাইসেন্স রিনিউওয়ালের ক্ষেত্রেও।

আরও পড়ুন: রাজ্য থেকে শেষ হল হজযাত্রার কর্মসূচি

এদিন পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন ফি-র মতো কোনও অর্থ না নেওয়ার বার্তা যেমন দেওয়া হয়েছিল ঠিক তেমনই কোনও ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কত টাকা নেওয়া যাবে, তারও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল।

ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল অ্যাক্ট, ওয়েস্ট বেঙ্গল মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট, হাওড়া মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট এবং কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী এই ট্রেড লাইসেন্স বাবদ সর্বোচ্চ কত টাকা নেওয়া যাবে, তা ধার্য রয়েছে।