ঘৃণা ভাষণ রুখতে আইনের ভাবনা সিদ্দারামাইয়ার

- আপডেট : ১ জুন ২০২৫, রবিবার
- / 56
পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: ঘৃণা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য কঠোর হাতে দমন করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে কর্নাটক সরকার। ঘৃণা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য ও অনলাইন জুয়া বা বেটিং বন্ধে আইন আনতে চলছে রাজ্যের কংগ্রেস শাসিত সরকার।
জানা গিয়েছে, ঘৃণা ভাষণ এবং অনলাইন জুয়া কঠোর হাতে দমন করতে দু’দিন পর্যালোচনা বৈঠক করে রাজ্য সরকার। বিধান সৌধে সমস্ত জেলার ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) এবং জেলা পঞ্চায়েতের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসারদের (সিইও) সঙ্গে নিয়ে এবিষয়ে আলোচনা করা হয়।
অথাৎ প্রশাসনিক মহল থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই আইন আনতে প্রস্তুতি শুরু করেছে কর্নাটক সরকার। শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ঘোষণা করেছেন, যে কর্ণাটক সরকার শীঘ্রই ঘৃণা ভাষণ এবং অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রয়োগ করবে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি নির্দেশ দিয়েছি যে ঘৃণামূলক ভাষণে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যে যতই প্রভাবশালী ব্যক্তি হোন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা ঘৃণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এধরণের ঘটনা মোকাবিলায় দ্রুত একটি কঠোর আইন চালু করা হবে।
সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।” প্রসঙ্গত, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ঘৃণা ভাষণ জেনো রোজকার ঘটনা। এধরণের ঘৃণা ভাষণ সমাজে হিংসা ছড়ায় এবং সম্প্রীতি নষ্ট করে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, “আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে রাজ্যের উন্নয়নের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। কর্নাটক জুড়ে শান্তি ও সাংবিধানিক মূল্যবোধ বজায় রাখতে হবে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের কড়া নির্দেশ দিয়েছি, যারা এই নীতির জন্য হুমকিস্বরূপ, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে।”
এদিকে অনলাইন জুয়ায় আশক্ত হয়ে সর্বহারা হচ্ছে বহু পরিবার। নষ্ট হচ্ছে তরুণ প্রজন্মের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। অনলাইন জুয়া সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “আইনমন্ত্রী এইচ কে পাতিল এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো নিয়ে আলোচনা করছেন। যদি কোনো আইনের প্রয়োজন হয়, তাহলে তা চালু করা হবে। তারা যে সুপারিশ দেবে তার ভিত্তিতেই আমরা এগোব।”